ইকুয়েডরের জালে আর্জেন্টিনার গোল উৎসব

আগের ম্যাচে দুই গোল পিছিয়ে থেকেও হারেনি আর্জেন্টিনা। দ্বিতীয়ার্ধে দারুণভাবে ফিরে এসে জার্মানিকে ২-২ গোলে রুখে দিয়েছিল দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ওই ম্যাচটা ড্র হলেও আর্জেন্টাইনদের চোখেমুখে ছিল বিজয়ের উচ্ছ্বাস। মেসি, অ্যাগুয়েরো, ডি মারিয়াকে ছাড়া এমন ফল দারুণ কিছুই বলতে হবে।

এই ত্রয়ীকে ছাড়াই আজ প্রত্যাশিত জয় দিয়ে প্রত্যাবর্তন করেছে ল্যাটিন আমেরিকান জায়ান্টরা। তাও আবার প্রতিপক্ষ ইকুয়েডরকে দুমড়ে-মুচড়ে দিয়ে। প্রদর্শনী ম্যাচটিতে প্রতিবেশী দলটিকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছেন স্কালোনির শিষ্যরা। ম্যাচের সাত গোল করেছেন আলাদা সাতজন। দুটি করেছেন ইকুয়েরের ফুটবলাররা।

দুই অর্ধে তিনটি করে মোট ছয়টি গোল করেছে আর্জেন্টিনা। গোলমুখ খোলার জন্য অবশ্য ২০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে তাদের। ইকুয়েডরের বিপদসীমায় ১২ মিনিটের ঝড়ের শুরু এই গোল দিয়েই। লুকাস অ্যালারিও গোল করে উচ্ছ্বাসে ভাসান আর্জেন্টিনাকে। সাত মিনিটের ব্যবধানে স্কোর লাইন ২-০ করে কোপা আমেরিকায় তৃতীয় হওয়া দলটা।

গোলটা অবশ্য আর্জেন্টিনা পেয়েছে উপহার হিসেবে। স্কালোনির দলের মুহুর্মুহু আক্রমণের তোপে আত্মঘাতী গোল করে বসেন ইকুয়েডর ডিফেন্ডার জাইরো এসপিঞ্জো ইজকুয়ের্ডো। একটু পরই পেনাল্টি থেকে আর্জেন্টিনার পক্ষে তৃতীয় গোল করেন লিয়েন্দ্রো প্যারেডেস। তিন গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে লড়াইয়ে ফেরার আভাস দিয়েছিল ইকুয়েডর। ৪৯ মিনিটে আর্জেন্টিনাকে একটি গোল ফিরিয়ে দেন অ্যাঞ্জেল মেনা (৩-১)। গোল হজমের পর ফের ইকুয়েরের রক্ষণদুর্গে হিংস্র বাঘের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে স্কালোনির দল। এরপর শুরু হলো কুড়ি মিনিটের দ্বিতীয় দফার ঝড়।

এই সময়ে আর্জেন্টিনা করেছে তিন গোল। একে একে স্কোরারশিটে নাম তুললেন জার্মান পেজেলা, নিকোলাস ডমিঙ্গুয়েজ ও লুকাস ওকাম্পাস। শেষের জন গোল করেছিলেন দলের আগের ম্যাচেও। এসব তরুণের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখে কে বলবে আর্জেন্টিনা ম্যাচটা খেলেছে আক্রমণভাগের সেরা তিন অস্ত্রকে ছাড়াই!