ফের রিয়াদে ধরা তামিম, জিতল কেবল বরিশাল

জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রথম রাউন্ডের চার ম্যাচের মধ্যে ফল বেরিয়েছে মাত্র একটির। সিলেট বিভাগের বিপক্ষে প্রথম রাউন্ডের একমাত্র জয়টি পেয়েছে বরিশাল বিভাগ। ঢাকা মেট্রো-চট্টগ্রাম বিভাগ, ঢাকা বিভাগ-রাজশাহী বিভাগ ও খুলনা বিভাগ-রংপুর বিভাগের মধ্যকার বাকি তিন ম্যাচই ড্র হয়েছে।

দীর্ঘদিন পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলতে নেমেছেন বলে ঢাকা মেট্রো ও চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যকার ম্যাচে বাড়তি ফোকাস ছিল তামিম ইকবালের ওপর। অভিজ্ঞ ওপেনার প্রথম ইনিংসের মতো আজ দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটাও ছিলো বেশ দুর্দান্ত। যেভাবে খেলছিলেন মনে হচ্ছিল দীর্ঘদিনের বিরতি শেষে ফেরা তামিম হয়তো বড় ইনিংসই পেতে যাচ্ছেন। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ সেই সম্ভাবনা মাটি করে দিলেন।

প্রথম ইনিংসে তামিমকে ক্যাচ অ্যান্ড বোল্ড করা মাহমুদুল্লাহ আজ দ্বিতীয় ইনিংসে তাকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন। এলবি হয়ে ফেরার আগে ১১২ বল খেলে ৪৬ রান করেছেন তামিম। ইনিংসে চারের মার ছিল ৪টি, ছক্কা ১টি।

সম্ভাবনা জাগিয়েও তামিমের বড় ইনিংস না পাওয়ার দিনে চট্টগ্রামের হয়ে ফিফটি পেয়েছেন তিনজন। মাসুম খান করেছেন ৬১ রান। এছাড়া পিনাক ঘোষ ৫৭ ও তাসামুল হক ৫৩ রান করেন। যাতে অনুমিতভাবেই ড্র হয়েছে ঢাকা মেট্রো বনাম চিটাগং বিভাগের মধ্যকার ম্যাচটি।

তিন ফিফটিতে চট্টগ্রাম ৫ উইকেটে ২২৭ রান তুলতেই চতুর্থ দিনের খেলা শেষ হয়ে যায়। ফলে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে দুই দলকে। এর আগে ৭ উইকেটে ৩৪৯ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করা ঢাকা মেট্রো থামে ৩৫৪ রানে। খুলনার হয়ে জাবিদ হোসেন ৮৫ ও শাহিদুল ইসলাম ৮৩ রান করেন।

এদিকে, ঢাকা বিভাগ ও রাজশাহী বিভাগের মধ্যকার লিগের অপর ম্যাচটিও ড্র হয়েছে। ৬ উইকেটে ২০৬ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে ২৫৪ রানে গুটিয়ে গেছে ঢাকা বিভাগের দ্বিতীয় ইনিংস। পরে রাজশাহী দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেটে ১০৬ রান তুলতেই চতুর্থ দিনের খেলা শেষ হয়ে যায়। রাজশাহীর হয়ে প্রথম ইনিংসে রান পেলেও দ্বিতীয় ইনিংসে আজ সফল হতে পারেননি মুশফিকুর রহিম।

৬০ বলে ২১ রান করে আউট হয়েছেন মুশফিক। রাজশহীর সর্বোচ্চ স্কোরার অধিনায়ক জহুরুল ইসলাম। ৪০ রান করেছেন তিনি। লিগের অপর ম্যাচে সিলেট বিভাগকে ইনিংস ও ১৩ রানে হারিয়েছে বরিশাল বিভাগ। জাতীয় লিগের প্রথম রাউন্ডে ফল বেরিয়েছে এই একটি ম্যাচেই।

বৃষ্টির কারণে ম্যাচের প্রথম দুই দিন সেভাবে খেলা হয়নি। তবুও ম্যাচের ফল বের করলেন বরিশালের বোলাররা। প্রথম ইনিংসে সিলেটকে মাত্র ৮৬ রানে অলআউট করা বরিশালের বোলাররা দ্বিতীয় ইনিংসে প্রতিপক্ষকে গুটিয়ে দিয়েছে ১৩২ রানে। তানভির ইসলাম ৪টি ও মুনির হোসেন ৩টি উইকেট তুলে নেন। এর আগে ৮ উইকেটে ২৩১ রান তুলে নিজেদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে বরিশাল।

অন্যদিকে ইমরুলের ডাবল সেঞ্চুরিতে রংপুর বিভাগ ও খুলনা বিভাগের মধ্যকার ম্যাচটা ড্র হয়েছে। খুলনার শেখ আবু নাছের স্টেডিয়ামে ৩ উইকেটে ১৯২ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করা খুলনা ৯ উইকেটে ৪৫৪ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে।

এরপর রংপুর দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেটে ৩৩ রান তুলতেই চতুর্থ দিনের খেলা শেষ হয়। যাতে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে দুই দলকে।

ইমরুল কায়েস ৩১৯ বল খেলে ১৯ চার ৬ ছক্কায় ২০২ রান করে অপরাজিত ছিলেন। আগের দিন খুলনার দুই ওপেনার রবিউল ইসলাম রবি ৭৬ ও ইমরান উজ্জামান ৭১ রান করেন।