সাকিবের ‘চোখ’ এখন আকাশে

চট্টগ্রাম টেস্টে পরাজয় প্রায় নিশ্চিত। সেটা বুঝতে বাকি নেই কারোরই। বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও দ্বিমত করলেন না। আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাঁচার একটাই রাস্তা আছে। তা হলো প্রকৃতির সহায়তা। কাল জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দিনভর বৃষ্টি খেলে দিলেই বাংলাদেশ অন্তত মান বাঁচাতে পারে।

বৃষ্টির কারণে আজ চতুর্থ দিনের খেলা শুরু হয়েছে দুই ঘণ্টা দশ মিনিট পর। খেলা শুরুর পর দুই দফা বৃষ্টি সারাদিনে খেয়ে নিয়েছে আরো দেড় ঘণ্টা। বৃষ্টিভেজা এই দিনে বাংলাদেশকে ৩৯৭ রানের বিশাল চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে আফগানিস্তান। হিমালয়তুল্য লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে আজ দিন শেষে ছয় উইকেটে ১৩৬ রান তুলেছে সাকিব আল হাসানের দল।

স্বপ্নপূরণের জন্য কাল পঞ্চম ও শেষ দিনে আফগানিস্তানের দরকার চার উইকেট। জিততে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে আরো ২৬২ রান। ম্যাচ বাঁচাতে চাইলে কালকের পুরোটা দিন কাটিয়ে দিতে হবে টাইগারদের। যা স্বাভাবিকভাবেই টাইগারদের পক্ষে অসম্ভব। আজ দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এটা মেনে নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

স্বাগতিক দলপতি বলেছেন, ‘এটা আসলে অনেক কঠিন। একমাত্র বৃষ্টিই আমাদের বাঁচাতে পারে। দেখা যাক কালকে (সোমবার) কতটুকু করা যায়।’ একটু পরই রসিকতার ছলে সাকিব বলেছেন, ‘যদি আমি আর সৌম্য সেঞ্চুরি করি তাও কঠিন। সেক্ষেত্রে একজনকে দেড় শ বা দুশো রান করতে হবে!’ হাসিমাখা মুখ নিয়ে কথাগুলো বললেও বাস্তবিক অর্থে তা সম্ভব নয়।

বাস্তবতা এখন বড্ড কঠিন। এই তো সেদিন টেস্ট খেলার স্বীকৃতি পাওয়া আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারের মুখে বাংলাদেশ। ১৯ বছরে ১১৫টি টেস্ট খেলা টাইগাররা নবজাতক আফগানদের কাছে নিঃশর্ত আত্মসমার্পণ করা কতটা বিব্রতকর? হতাশাটা আড়াল করেননি সাকিব। মেনে নিচ্ছেন আফগানদের কাছে এভাবে হারতে বসাটা দলের জন্য বড় একটা ধাক্কা। তবে বাংলাদেশ অধিনায়কের মতে অভিজ্ঞতাই শেষ কথা নয়।

উদাহরণ হিসেবে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াকে দেখালেন তিনি, ‘ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো দল দুশো বছর (প্রায় দেড় শ) ধরে টেস্ট খেলছে। এমন হলে তো ওরা কারোর কাছে হারতো না। তাহলে তো ১৫ বছর ধরে খেলে ওদের বিরুদ্ধে জেতা সম্ভব ছিল না। ক্রিকেটে এটা হতেই পারে। আফগানিস্তান ভালো খেলেছে। তবে ওদের আমরা পরীক্ষায় ফেলতে পারিনি। সেটা করতে পারলে হয়তো বোঝা যেত ওরা কতটা চাপ নিতে পারে। আমরা এটা করতে পারিনি, এটা আমাদের জন্য বড় একটা ধাক্কা।’