এমন উইকেট চাননি সাকিব

চট্টগ্রামের উইকেট বরাবরই রহস্যময়ী। রহস্য উদঘাটনে টেস্ট শুরুর আগে থেকেই পর্যবেক্ষণের চেষ্টা করেছেন। ম্যাচ শুরুর আগের দিনও উইকেট দেখে শারীরিক অঙ্গভঙ্গিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বুঝিয়ে দিয়েছিলেন- যেমনটা চেয়েছেন তেমনটা হয়নি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সরাসরি বলে দিলেন নিজেদের অসন্তুষ্টির কথা।

এমনিতেই উইকেট অপ্রত্যাশিত। তারওপর মুদ্রা নিক্ষেপের লড়াইয়ে রশিদ খানের কাছে হেরেছেন সাকিব। এই দুইয়ে মিলিয়ে চট্টগ্রাম টেস্টের শুরু থেকেই ব্যাকফুটে টাইগাররা। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে তো চূড়ান্তভাবে চাপে রয়েছে স্বাগতিক শিবির। প্রথম ইনিংসে আফগানিস্তানের চেয়ে ১৪৮ রান পিছিয়ে আছে দল। হাতে অক্ষত আছে মোটে দুই উইকেট।

প্রথম দিনের খেলা শেষে পাঁচ উইকেটে স্কোর বোর্ডে ২৭১ রান জমা করেছিল বাংলাদেশ। আজ দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনেই আফগানদের থামিয়ে দিয়েছেন সাকিবরা। অল আউট হওয়ার আগে রশিদ খানরা করেছেন ৩৪২ রান। উইকেট ও কন্ডিশন বিবেচনায় এটা অনেক রান। কারণ চট্টগ্রামে প্রথম ইনিংসে তিন শ রান করা দল হারে না।

আফগানদের দ্রুত গুটিয়ে দেওয়ার পর স্বস্তি পায়নি বাংলাদেশ ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণে। এই বিপর্যয়ে ব্যাটসম্যানদের দায় যেমন আছে তেমনি উইকেটেরও। স্বাগতিক দল হিসেবে যেমন উইকেট প্রত্যাশিত ছিল তার ছিটেফোটা প্রতিফলন মেলেনি। উল্টো সম্ভ্রম নিয়ে টানাপোড়েন অবস্থা হয়েছিল বাংলাদেশের। টাইগাররা ফলোঅনের শঙ্কা এড়িয়েছে লোয়ার অর্ডার ও মুমিনুল হকের ব্যাটিং দৃঢ়তায়।

দিন শেষে আট উইকেটে ১৯৪ রান করেছে বাংলাদেশ। স্কোর বোর্ডে এমন চেহারায় স্বাভাবিকভাবেই হতাশ স্বাগতিক অধিনায়ক। দিনের খেলা শেষে আজ দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে নিজের হতাশার কথা জানিয়েছেন সাকিব। একই সঙ্গে কোনো রাগঢাক না রেখেই উইকেট নিয়ে নিজেদের হতাশার কথা বলে দিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেন, ‘আমরা যেহেতু এ ধরনের উইকেট আশা করিনি, তাই আমাদের জন্য কঠিন। আমরা সবাই অনেক অবাক। আমরা এরকম কিছুই আশা করিনি। আমরা যা আশা করেছিলাম তার পুরোই বিপরীত।’ পরিস্থিতি যেমনই হোক, এখন থেকে ফিরতে মরিয়া সাকিব। ক্রিকেটে অনেককিছুই হয় তাই আশা ছাড়ছেন না তিনি; স্বপ্ন দেখছেন ভালোকিছুর। তৃতীয় দিনে আফগানদের সঙ্গে ব্যবধান যতটা সম্ভব কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সাকিব।