হেসেখেলেই সিরিজ জিতল শ্রীলঙ্কা

(১০টা ২৩ মিনিট): বলা হচ্ছিল বৃষ্টিতে ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়াতে বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কাকে হারানোর সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে বাংলাদেশের। কিন্তু কথাটার যথার্থতা প্রমাণ করতে পারল কই বাংলাদেশ! শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুটিতে তো সেভাবে প্রতিরোধই গড়তে পাড়ল না টাইগাররা।

প্রথম ওয়ানডেতে বড় ব্যবধানে হারা বাংলাদেশ আজও বড় ব্যবধানে হেরেছে। ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাবেই স্বাগতিকদের চেয়ে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ম্যাচটা ৭ উইকেটে হারল তামিম ইকবালের দল। এই হারে এক ম্যাচ আগেই সিরিজ হার নিশ্চিত হয়ে গেল বাংলাদেশের। সিরিজের তৃতীয় ম্যাচটা না জিতলে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা নিয়ে দেশে ফিরতে হবে তামিমের দলকে। সিরিজের শেষ ম্যাচটা মাঠে গড়াবে আগামী ৩১ জুলাই।

আজ ব্যাটিংয়ে বাকিদের ব্যর্থতার মধ্যে মেহেদি হাসান মিরাজকে নিয়ে একাই যা লড়লেন মুশফিকুর রহিম। ১১০ বল খেলে ৯৮ রান খেলে অপরাজিত ছিলেন মুশফিক। মেহেদি ৪৯ বল খেলে করেন ৪৩। পরে বোলিংয়ে কেউ মুশফিক হতে পারেননি।

মোস্তাফিজুর রহমান পরপর দুটি উইকেট তুলে নিয়ে আশা দেখালেও পরে সেই ধারটা ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশি বোলাররা। যাতে ৪৪.৪ ওভারে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়েই জয়ের জন্য ২৪২ রান তুলে ফেলে শ্রীলঙ্কা। স্বাগতিকদের হয়ে আভিস্কা ফের্নান্দো করেন সর্বোচ্চ ৮২ রান। এছাড়া কুশল মেন্ডিস ৪১ ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ৫২ রান করে অপরাজিত ছিলেন।

মোস্তাফিজের জোড়া আঘাত (৯টা ২০ মিনিট): মাঝারি স্কোর নিয়ে বোলিং করতে নামা বাংলাদেশের শুরুতেই উইকেট দরকার ছিল। সেই দাবি মিটেনি। তবে মোস্তাফিজুর রহমান পরপর দুই উইকেট এনে দিলে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে বাংলাদেশ শিবিরে। শ্রীলঙ্কার দলীয় ১২৯ রানের মাথায় ৮২ করা অভিষ্কা ফের্নান্দোকে ফেরান মোস্তাফিজ। ১৪৮ রানের মাথায় কুশল পেরেরাকেও (৩০) ফিরিয়ে দেন মোস্তাফিজ। ২৮ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ১৪৮/৩।

ফের্নান্দোকে ফেরালেন মোস্তাফিজ (৮টা ৫৭ মিনিট): সেঞ্চুরির দিকে এগুতে থাকা শ্রীলঙ্কান ওপেনার অভিষ্কা ফের্নান্দোকে ফিরিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। শুরু থেকেই বাংলাদেশি বোলারদের কচুকাটা করা ফের্নান্দো ফিরেছেন ৭৫ বল খেলে ৮২ রান করে। ৯টি চার ২টি ছক্কার সাহায্যে এই রান করেছেন লঙ্কান ওপেনার। ২৩ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ১৩৭/২।

মিরাজের উইকেট, শ্রীলঙ্কার একশ’ পার (৮টা ২৯ মিনিট): ব্যাটিংয়ের মতো বাংলাদেশের বোলিংয়ের সূচনাও হয়েছে বেশ বাজে। শ্রীলঙ্কার টস অর্ডারের বিপক্ষে দাঁড়াতেই পারছে না বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ। এসবের মধ্যে একমাত্র স্বস্তি মেহেদি হাসান মিরাজের একটা উইকেট।

দারুণ খেলতে থাকা লঙ্কান ওপেনার দিমুথ কারুনারত্নেকে ফিরিয়েছেন মিরাজ। ওদিকে, শ্রীলঙ্কার দলীয় স্কোর একশ’ ছাড়িয়েছে। ১৭ ওভার শেষে লঙ্কানদের স্কোর ১০৫/১। অভিষ্কা ফের্নান্দো ৬০ বলে ৬৯ রান করে অপরাজিত আছেন।

মুশফিক বীরত্বে বাংলাদেশ ২৩৮ (৬টা ৪৫ মিনিট): মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরি হবে কিনা শেষ মুহূর্তে সেটাই ছিল বড় প্রশ্ন?শেষ ওভারের খেলা যখন শুরু হলো মুশফিক অপরাজিত ছিলেন ৯৬ রানে। প্রথম বলে আউট তাইজুল আউট হলে স্টাইক পেয়ে গিয়েছিলেন মুশফিক। কিন্তু দুই সিঙ্গেল নিয়ে সেঞ্চুরি সম্ভাবনাটা নিজেই শেষ করে দিয়েছেন মুশফিক।

বাংলাদেশের নির্ধারিত ৫০ ওভার যখন শেষ হলো মুশফিক তখন অপরাজিত ৯৮ রানে। ১১০ বল খেলে ৬টি চার ১টি ছক্কার সাহায্যে এই রান করেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। এর আগে আট নম্বরে নেমে ৪৯ বলে ৪৩ করে গেছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। সব মিলিয়ে নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেটে ২৩৮ রান তুলেছে বাংলাদেশ। 

১৯ রান করে বাংলাদেশের পক্ষে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তামিম ইকবাল।  শ্রীলঙ্কার হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন নুয়ান প্রদীপ, ইসুরো উদানা ও আকিলা ধনঞ্জয়া। 

সপ্তম উইকেট জুটিতে অসাধারণ মুশফিক-মিরাজ (৬টা ২১ মিনিট): নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে বড্ডই চাপে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তারপরও আটে ব্যাট করতে নেমে রয়েসয়ে খেলতে দেখা গেল না মেহেদি হাসান মিরাজকে। পাল্টা আক্রমণের পথ যেন বেছে নিতে চাইলেন তরুণ তারকা! অনেকক্ষণ ইনিংস ধরে রাখা মুশফিকুর রহিমও মিরাজের সঙ্গে হাত খুলেছেন। সপ্তম উইকেটে ৮৪ রান যোগ করেন এই দুজন। বাংলাদেশও দুইশ’ পেরিয়েছে।

অবশ্য ফিফটি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হয়েছে মিরাজকে। ৪৯ বল খেলে ৬টি চারের সাহায্যে ৪৩ রান করে ফিরেছেন মিরাজ। অপর প্রান্তে ৬৯ রানে অপরাজিত মুশফিকুর রহিম। ৪৬ ওভার শেষে বাংলাদেশ ২০১/৭।

মুশফিকের টানা দ্বিতীয় ফিফটি (৫টা ৪৩ মিনিট): দলের বাকিদের ব্যাটিং ব্যর্থতার মধ্যে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতেও দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। আজ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। বাকিদের ব্যর্থতার মিছিলে আজও দাঁড়িয়ে গেলেন মুশফিকুর রহিম।

প্রথম ম্যাচে ৬৭ করা মুশফিজ আজ এরই মধ্যে ফিফটি পেরিয়েছেন। ৭১ বলে ফিফটি পূর্ণ করা অভিজ্ঞ ক্রিকেটার এই মুহূর্তে ৫৫ রানে অপরাজিত। ৩৮ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১৫৩/৬। অপর প্রান্তে ১৮ রানে অপরাজিত তরুণ মেহেদি হাসান মিরাজ। 

বাংলাদেশের ছয় ব্যাটসম্যান সাজঘরে (৫টা ২২ মিনিট): মুশফিকুর রহিম একপ্রান্ত ধরে রেখেছেন। কিন্তু বাকিরা উইকেটের মূল্য বুঝছেন কিনা কে জানে! শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশ এরই মধ্যে ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে। শেষ ব্যাটসম্যান মোসাদ্দেক হোসেন ২৭ বল খেলে ১৩ রান করে ফিরেছেন। ৩২ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১১৭/৬।

মাহমুদুল্লাহর বিদায়, ধুঁকছে বাংলাদেশ (৪টা ৩৭ মিনিট): শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে রীতিমতো ধুঁকছে বাংলাদেশ। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে এই মুহূর্তে বেশ চাপে সফরকারীরা। ২০ ওভার শেষে ৭৩ রান তুলতেই চার উইকেট হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ।

শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফিরে গেছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। আকিলা ধনঞ্জয়ার সাদামাটা এক বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন রিয়াদ। ফেরার আগে ১৮ বল খেলে ৬ রান করেছেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার।

পঞ্চাশ পেরুতেই নেই তিন উইকেট (৪টা ১৫ মিনিট): টস জিতে ব্যাটিং উইকেটে প্রথমে ব্যাটিং নিতে একটুও দেরি করেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাটিং উইকেটে আগে ব্যাটিং করার সুবিধা কাজে লাগতে পারছে কই! দলীয় ২৬ রানে সৌম্য সরকার (১১), ৩১ রানে তামিম ইকবালকে (১৯) হারানোর পর মোহাম্মদ মিঠুনকেও হারিয়ে ফেলল বাংলাদেশ।

দলীয় ৫২ রানর মাথায় ২৩ বলে ১২ রান করে ফিরেছেন মোহাম্মদ মিঠুন। ১৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৫৭/৩। ২৩ বল খেলে ৯ রান করে অপরাজিত মুশফিকুর রহিম। তার সাথে ৭ বলে ৩ রান করে অপরাজিত মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।

ফের ব্যর্থ তামিম (৩টা ৪৫ মিনিট): শুরুতে ধীর গতিতে এগিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিলেন। তারপর সেই চাপ কাটিয়ে উঠার চেষ্টা যে করছেন সেটা ব্যাটিং দেখেই বুঝা যাচ্ছিল। তামিম ইকবাল আউট হয়ে গেলেন সেটা করতে গিয়েই। ইসুরো উদানার অফস্ট্যাম্পের সামনের বল অফসাইডে হাঁকিয়েছিলেন। ব্যাটে-বলে করতে পারলেন না।

ব্যাটের কোনায় লেগে বল লাগল স্ট্যাম্পে, বোল্ড। ফেরার আগে দুই চারে ১৯ রান করতে ৩১ বল খেলেছেন তামিম। প্রথম পাওয়ার প্লের দশ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৩৫/২।

চিৎপটাং তামিম, সৌম্যের বিদায় (৩টা ৩০ মিনিট): শ্রীলঙ্কা সিরিজের প্রথম ম্যাচে তামিম ইকবালের আউটের কথা মনে আছে! লাসিথ মালিঙ্গার ভয়ঙ্কর এক ইয়র্কার মাটি স্পর্শ করার আগ মুহূর্তে হালকা বাঁক নিয়েছিল। সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করেও স্ট্যাম্প বাঁচাতে পারেননি তামিম। বোল্ড হওয়ার পাশাপাশি ভূ-পতিতও হতে হয়েছিল বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ককে।

আজ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মলিঙ্গা নেই। তবে নুয়ান প্রদীপের বলে আজও চিৎপটাং হলেন তামিম। অবশ্য আউট হতে হয়নি। এলবিডাব্লিউয়ের আবেদনে আম্পায়ার আউট দেননি, পরে রিভিউ নিয়েও সফল হতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। অর্থাৎ শুরুতেই রিভিউ হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা।

তবে সেই যাত্রাই তামিকে হারাতে না হলেও সৌম্য সরকার কিছুক্ষণ পরই ‘আলসেমি’তে উইকেট দিয়ে এলেন। সেই নুয়ান প্রদীপের সাদামাটা এক ফুলটস ব্যাটে-বলে করতে পারলেন সৌম্য। ১৩ বলে ১১ রান করে ফিরে যান তরুণ ওপেনার। 

এক পরিবর্তন নিয়ে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ (২টা ৪১ মিনিট): সিরিজের প্রথম ম্যাচে বড় ব্যবধানে হরেছে বাংলাদেশ। সিরিজে টিকে থাকতে হলে হলে দ্বিতীয় ম্যাচটা জিততেই হবে। এমন সমীকরণ নিয়ে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল।

বাংলাদেশ একাদশে আজ একটি পরিবর্তন। পেসার রুবেল হোসেনের বদলে একাদশে জায়গা দেওয়া হয়েছে স্পিনার তাইজুল ইসলামকে।  শ্রীলঙ্কাও তাদের একাদশে এক পরিবর্তন এনেছে। লাসিথ মালিঙ্গা সিরিজের প্রথম ম্যাচ খেলে অবসরে গেছেন। তার জায়গায় শ্রীলঙ্কা দলে ঢুকেছেন ইসুরো উদানা। সিরিজের প্রথম ম্যাচে শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩১৪ রান তুলেছিল শ্রীলঙ্কা। পরে বাংলাদেশ ২২৩ রানে গুটিয়ে গেলে ৯১ রানে জিতে সিরিজে ১-০তে এগিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। 

শ্রীলঙ্কা একাদশ: অভিস্কা ফের্নান্দো, দিমুথ কারুনারত্নে (অধিনায়ক), কুশাল পেরেরা, কুশলা মেন্ডিস, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস, লাহিরু থিরিমান্নে, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, আকিলা ধনঞ্জয়া, ইসুরো উদানা, নুয়ান প্রদীপ ও লাহিরু কুমারা।

বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিঠুন, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ, শফিউল ইসলাম, তাইজুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান।