নারীকে অসম্মান: নিষিদ্ধ আফগান ক্রিকেটার

এবারের বিশ্বকাপে চমক দেখানোর আশা ছিল আফগানিস্তানের। কিন্তু যুক্তরাজ্যের বড় মঞ্চে এসে পায়ের তলায় মাটি পায়নি তারা। নয় ম্যাচের সবকটিতেই হেরেছে আফগানরা। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সেও আসরটা স্মরণীয় করে রাখতে পারেননি দলটির কোনো ক্রিকেটার। বরং একেক সময় জড়িয়েছেন বিতর্কে।

সেই বিতর্কের রেশ ধরে এক বছর নিষিদ্ধ হলেন আফগান পেসার আফতাব আলম। বুধবার তাকে আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে ১২ মাসের নির্বাসন দিয়েছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)। আফতাবের অপরাধ- সাউদ্যাম্পটনে এক নারী অতিথির সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেছিলেন তিনি।

ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে আফতাবের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে এসিবি। তদন্ত প্রতিবেদনে দোষী সাব্যস্ত হন আফগান পেসার। এরপর এসিবির শৃঙ্খলা কমিটি গত সপ্তাহে তার শাস্তির ব্যাপারে সুপারিশ করে। যার ফল সামনের দিনগুলোতে ভোগ করতে হবে আফতাবকে। এসিবি জানিয়েছে, বিশৃঙ্খলা তৈরি করে খেলোয়াড়ি নীতি ভঙ্গ করেছেন তিনি।

গত ২৭ জুন আফতাবের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগের কথা জানায় আইসিসি। সাময়িক শাস্তি হিসেবে বিশ্বকাপের দল থেকে আফতাবকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। ২২ জুন ভারতের বিপক্ষে ১১ রানে হারের পরই সাউদ্যাম্পটনে টিম হোটেলে ফিরে এক নারী অতিথির সঙ্গে প্রচণ্ড বাজে ব্যবহার করেন। যেটার মাশুল এখন গুণতে হচ্ছে আফগান পেসারকে।

এই বিশ্বকাপে আরো একবার বিতর্কে জড়িয়েছিলেন আফতাব। গত ১৬ জুন ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ চলাকালীন বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে ভিআইপি গ্যালারিতে খেলা দেখার জন্য নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে ঝামেলা পাকিয়েছিলেন তিনি। বন্ধুরা অন্য গ্যালারিতে চলে গেলেও অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেখিয়ে পছন্দের আসনে বসে ম্যাচটি উপভোগ করেছিলেন আফতাব।

ওই ঘটনার পরপরই তাকে সাবধানী বার্তা দিয়েছিল এসিবি। তবু সতর্ক হননি আফতাব। শেষ পর্যন্ত নতুন বিতর্কে জড়িয়ে দল থেকে বাদ পড়েছেন তিনি। দল থেকে জায়গা হারানোর আগে বিশ্বকাপে তিনটি ম্যাচ খেলেছেন আফতাব। আসরে ২৬ বছর বয়সী তারকার সাফল্য মাত্র চার উইকেট।