ব্রাজিলে অনুষ্ঠিতব্য কোপা আমেরিকা ২০১৯-এর প্রথম সেমি ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে স্বাগতিকরা। বাংলাদেশ সময় বুধবার সকালে ব্রাজিলের কাছে ০-২ গোলের ব্যবধানে হেরে যায় মেসির আর্জেন্টিনা। তবে ম্যাচটির পর থেকেই রেফারি রোড্ডি জামব্রানোর (ইকুয়েডর) বিরুদ্ধে স্বাগতিক ব্রাজিলের পক্ষে পক্ষপাত আচরণ করার অভিযোগ উঠেছে।

messi talking with referee

বিভিন্ন মাধ্যমে বলা হচ্ছে, রেফারির পক্ষপাতের কারণে অন্তত দুটি পেনাল্টি বঞ্চিত হয়েছে মেসি বাহিনী। বাংলাদেশ সময় বুধবার সকালে বেলো হরিজন্তেতে গাব্রিয়েল জেসুসের গোলে প্রথমার্ধেই এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। পরে দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রবের্তো ফিরমিনো।

দ্বিতীয়ার্ধে সত্তর মিনিটের সময় মেসির নেতৃত্বে দারুণ একটি আক্রমণ সাজানো হয়। ফিনিশিং টাচে অ্যাগুয়েরোর উদ্দেশ্যে বল বাড়িয়ে দেন মেসি। তখন ডি-বক্সের ভেতরে ব্রাজিলিয়ান রক্ষণভাগের খেলোয়াড় ও অধিনায়ক দানি আলভেস আগুয়েরোকে বাজেভাবে ট্যাকল করে ফেলে দেন। কিন্তু রেফারি ফাউলের বাঁশি বাজাননি। প্রতি আক্রমণ থেকে একদৌড়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফিরমিনো। খেলার পরিস্থিতি এমন ছিল যে, ফাউল না দেয়ায় বিস্মিত হয়ে আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার হুয়ান ফইথ জেসুসের দৌড় থামানোর কোনো চেষ্টাই করেননি। পরে জেসুসের পা থেকে পাস পেয়ে গোল করেন ফিরমিনো।

{loadtweets}url=1146261378052820992{/loadtweets}

রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্ত এরপরে আরো একবার দেখা গেছে। সেমি ফাইনালে ০-২ গোলে পিছিয়ে পরার পর খেলার ১০ মিনিট আগে একটি কর্নার পায় আর্জেন্টিনা। এ সময় সময় ব্রাজিলের আর্থার ডি-বক্সের মধ্যে ধাক্কা দিয়ে আর্জেন্টিনার নিকোলাস ওতামেন্দিকে ফেলে দেন। তখন আর্জেন্টিনার অধিনায়কসহ অনেকেই পেনাল্টির আবেদন করলেও কোন সাড়া দেননি রেফারি রোড্ডি জামব্রানো।

রেফারির বিপক্ষ অভিযোগ ওঠার আরেকটি কারণ, দুটি গুরুত্বপূর্ণ আবেদনের একটিতে ভিএআরের কোন সাহায্য নেননি রেফারি। অথচ চলতি কোপা আমেরিকাতে ভিএআর প্রযুক্তির সাহায্য নেয়ার ঘটনা বহুবার ঘটেছে। উরুগুয়ে-পেরুর মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ কোয়ার্টার-ফাইনালে উরুগুয়ের তিন তিনটি গোল বাতিল হয়ে যায় ভিএআর প্রযুক্তি সহায়তায়। কলম্বিয়ার বিপক্ষে চিলিও এ প্রযুক্তির কল্যাণে গোল পায়। এমন ঘটনা গ্রুপ পর্বেও অনেকবার ঘটেছে। অথচ আর্জেন্টিনার ক্ষেত্রে রেফারি যেন ভিএআর প্রযুক্তির কথা বেমালুম ভুলে গেলেন!

{loadtweets}url=1146241417049772032{/loadtweets}

সেমিফাইনালে ভিএআর প্রযুক্তির ব্যবহার না করায় বেজায় চটেছেন বিশ্ব ফুটবলের অবিসংবাদিত সম্রাট আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি। জাতীয় দল এবং ক্লাব ফুটবল মিলিয়ে ৭ শতাধিক ম্যাচ খেলা ঠাণ্ডা মাথার সুপারস্টারকে আগে কখনোই রেফারির বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ আনতে দেখা যায়নি।

ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মেসি বলেন, চলতি কোপা আমেরিকায় রেফারিরা অনেকবার সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে ভিএআর প্রযুক্তির সহায়তা নিয়েছিলেন। কিন্তু আজ একবারের জন্যেও ভিএআরের সাহায্য নেয়া হয়নি। বিষয়টা খতিয়ে দেখা উচিত। আশা করি, একটা দলের পক্ষে সিদ্ধান্ত নিয়ে মাঠের ভারসাম্য নষ্ট করা রেফারিদের বিষয়ে ভাববে কর্তৃপক্ষ।

{loadtweets}url=1146240495187910656{/loadtweets}

আর্জেন্টিনা অধিনায়কের মতে ম্যাচে রেফারিং ছিল খুবই বাজে। ম্যাচ শেষে মেসি বলেন, ‘ব্রাজিল বেশ আগেই গোল পেয়ে যায়। কিন্তু এরপর আগুয়েরোকে ন্যায্য পেনাল্টি দেওয়া হয়নি। আমার মনে হয়েছে আমরা দুটি পেনাল্টি পেতাম। ওটামেন্ডি আর কুন (আগুয়েরো) এর ক্ষেত্রে। কিন্তু আমাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। ম্যাচ অফিশিয়ালরা জঘন্যভাবে খেলা পরিচালনা করেছে।

ভিএআর প্রযুক্তির সহায়তা না নেয়ায় বেজায় ক্ষুব্ধ ম্যানসিটি তারকা অ্যাগুয়েরো। তিনি বলেন, মেসি বলটি বাড়ানো সময় আমি ডি-বক্সে ঢুকে পড়েছিলাম। সে সময় দানি ছোটা জেসুসকে না থামিয়ে দাঁড়িয়েছিল এবং ফাউলের অপেক্ষা করছিল।'

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.