বাংলাদেশের বিদায় সেমিতে ভারত

(১১টা ৪৫ মিনিট): ৩১৫ রানের বিশাল লক্ষ্যে খেলতে নেমে দুর্দান্ত লড়াই করেছে বাংলাদেশ। সাকিব আর সাইফুদ্দীনের অর্ধশতকে জয়ের কাছাকাছি গিয়েও ২৮৬ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। ২৮ রানের এই পরাজয়ের ফলে টাইগার বাহিনীর বিশ্বকাপ মূলত শেষ। অন্যদিকে একম্যাচ হাতে রেখেই সেমি ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ভারত।

৩১৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১০০ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ। এরপর ম্যাচের হাল ধরেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। কিন্তু নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে টাইগার বাহিনী। ৬৬ রানে সাকিবের বিদায়ের পর দুর্দান্ত একটা জুটি গড়েন সাব্বির রহমান আর সাইফুদ্দীন। কিন্তু এই জুটি ব্যবধান কমিয়েছে মাত্র। শেষ পর্যন্ত ২৮৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ভারতের পক্ষে ৪ উইকেট নিয়েছেন জাসপ্রিত বুমরাহ আর হার্দিক পান্ডা নিয়েছেন তিন উইকেটা।

সাকিব আউট, গভীর খাদে বাংলাদেশ (১০টা ৩০ মিনিট): ৩১৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১০০ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ। এরপর ম্যাচের হাল ধরেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। কিন্তু নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে টাইগার বাহিনী। সর্বশেষ হার্দিক পান্ডার একটা লাফিয়ে ওঠা বলে ৬৬ রানের লড়াকু একটা ইনিংস খেলে আউট হন সাকিব আল হাসান। ম্যাচটি জিততে বাংলাদেশের দরকার ৮৭ বলে ১২৬ রান। 

ফিরে গেলেন দুর্দান্ত খেলতে থাকা মুশফিক (৯টা ৩৫ মিনিট): ৩১৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা একদম মন্দ হয়নি বাংলােদশের। ১০০ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারালেও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান আর দেশের অন্যতম অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর ভালোই খেলছিলেন। কিন্তু চাহালের একটি বলে লেগ শটে ক্যাচ দেন ২৩ বলে ২৪ রান করা মুশফিক। ফলে সাকিব-মুশফিক জুটিটা থেকে যায় ৪৭ রানেই। ক্রিজে এখনো অপরাজিত আছেন সাকিব আল হাসান। ২৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান।

তামিমের পর ফিরে গেলেন সৌম্য সরকারও (৯টা ০৩ মিনিট): ৩১৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ভারতের বিপক্ষে সাবধানী শুরুই করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু মোহাম্মদ সামির নিচু হয়ে আসা একটা বলে বোল্ড হয়ে যান দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। এরপর হার্দিক পান্ডার বলে কাভার পয়েন্টে মারতে গিয়ে বিরাট কোহলির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সৌম্য সরকার। দুই ওপেনারকে হারিয়ে ১৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেট হারিয়ে ৭৯ রান।

শুরুতেই সামির আঘাত, তামিমের বিদায় (৮টা ৩৫ মিনিট): ভারতের বিপক্ষে সাবধানী শুরুই করেছিল বাংলাদেশ। দেশের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল আর সৌম্য সরকার বেছে বেছে খেলছিলেন। কয়েকটা বাইন্ডারি মেরে ফর্মে ফেরার আভাস দিচ্ছিলেন তামিম ইকবাল। কিন্তু মোহাম্মদ সামির নিচু হয়ে আসা একটা বলে বোল্ড হয়ে যান দেশসেরা এই ওপেনার। ১১ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেট হারিয়ে ৪৭ রান।

ভারতকে নাগালের মধ্যেই রাখল বাংলাদেশ (৭টা ১৭ মিনিট): শুরুতে এলোমেলো থাকলেও ম্যাচের মাঝে এবং শেষ দিকে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন বাংলাদেশি বোলাররা। কাটার আর স্লোয়ারে ভারতীয়দের নাভিশ্বাস তুলে ছেড়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। দুই মিলিয়ে নির্ধারিত ওভারে নয় উইকেট হারিয়ে ৩১৪ রানের বেশি তুলতে পারেনি ভারত। টার্গেটটা বাংলাদেশের নাগালের মধ্যেই থাকল। এই মাঠে ৩১৪ মোটেও বড় স্কোর নয়।

এর আগে ব্যক্তিগত ৮ রানের মাথায় তামিম ইকবালের পিচ্ছিল হাতের সৌজন্যে ‘জীবন’ পেয়ে শুরুতে বাংলাদেশি বোলারদের কচুকাটা করেছেন রোহিত শর্মা। ভারতের অপর ওপেনার লোকেশ রাহুলও দারুণ খেলেছেন। ওপেনিং জুটিতে ১৮০ রান তুলেছিলেন দুজন। বাংলাদেশি বোলাররা দুর্দান্তভাবে ঘুড়ে দাঁড়িয়েছেন এরপরই। নেতৃত্বটা দিলেন তরুণ মোস্তাফিজুর রহমান।

এক বলের ব্যবধানে ফিরিয়েছেন বিরাট কোহলি ও হার্দিক পান্ডিয়াকে। পরে দিনেশ কার্তিক ও মহেন্দ্র সিং ধোনিকে ফিরিয়ে দ্রুত রান তোলার রাস্তাটা বন্ধ করে দিয়েছেন। শেষ বলে মোহাম্মদ শামিকে বোল্ড করেছেন মোস্তাফিজ।  সব মিলিয়ে দশ ওভার বোলিং করে ৫৯ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ। ম্যাচে সাকিব আল হাসানও দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। মাত্র একটি উইকেট পেলেও সাকিব দশ ওভারে রান দিয়েছেন মাত্র ৪১টি। রুবেল হোসেন, সৌম্য সরকারও একটি করে উইকেট পেয়েছেন।

ভারতের হয়ে রোহিত শর্মা করেছেন ১০৪ রান। ৭৭ করেছেন লোকেশ রাহুল। এছাড়া তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেছেন ঋষভ পন্ত।

মোস্তাফিজের আরেক উইকেট, বিপদে ভারত (৭টা ০৬ মিনিট): ব্যাটিংয়ের লেজ বেরিয়ে পড়েছে ভারতের। দিনেশ কার্তিককেও ফিরিয়ে দিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। বিনা উইকেটে ১৮০ রান তোলা ভারত ২৯৮ রানের মাথায় হারিয়ে ফেলল ষষ্ঠ উইকেট।  ৪৭.২ ওভারে ৮ রান করে ফিরেছেন কার্তিক। একটা সময় মনে হচ্ছিল সাড়ে তিনশ’ পেরিয়ে যাচ্ছে ভারত। কিন্তু সেটা যে হচ্ছে না তা নিশ্চিত।

ভারতকে চেপে ধরেছেন মোস্তাফিজ-সাকিবরা (৬টা ৫২ মিনিট): একটা সময় বিনা উইকেটে ১৮০ রান তুলে ফেলেছিল ভারত। দারুণ খেলছিলেন দুই ওপেনার রোকেশ রাহুল ও রোহিত শর্মা। তবে মাঝের ওভারগুলোতে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশি বোলাররা। ভারতের দুই ওপেনারের বিদায়ে পর এক বলের ব্যবধানে বিরাট কোহলি (২৬) ও হার্দিক পান্ডিয়াকে (০) ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান। অল্প সময় পর ঋষভ পন্তকে (৪১ বলে ৪৮) ফেরান সাকিব আল হাসান। 

বিনা উইকেটে ১৮০ থেকে ২৭৭ রানের মাথায় পঞ্চম উইকেট হারায় ভারত। অর্থাৎ ৯৭ রানে ভারতের পাঁচ উইকেট তুলে নিয়েছেন বাংলাদেশি বোলাররা। 

মোস্তাফিজের জোড়া আঘাতে কাঁপছে ভারত (৬টা ৩০ মিনিট): দুর্দান্ত খেলতে থাকা ভারতের রানের লাগামটা টেনে ধরেছেন কাটার মাস্টার খ্যাত মোস্তাফিজ। ৩৮ ওভারের ১৩৭ রান তুলে যখন ভারত উড়ছিল। ঠিক তখনি বল করতে আসেন বাংলাদেশের সেরা বোলার মোস্তাফিজুর রহমান। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ে এক ওভারেই ফিরে গেছেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি এবং হার্ডহিটার হার্দিক পান্ডা। ৪০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৫১/৪ রান।

অল্প রানের ব্যবধানে ভারতের দুই ওপেনার বিদায় (৫টা ৫৫ মিনিট): 'জীবন' পেয়ে বাংলাদেশী বোলারদের কচুকাটা করছিলেন রোহিত শর্মা। অপর দিকে রয়েসয়ে খেলা লোকেশ রাহুল সুযোগ দিচ্ছিলেন না। ওপেনিংয়ে ১৮০ রানের জুটি গড়েছিল ভারত। তবে স্বস্তির বিষয় অল্প রানের ব্যবধানে ফিরে গেছেন ভারতের দুই ওপেনার।

সেঞ্চুরি করার পরপরই রোহিত শর্মা (১০৪) ফিরেছেন সৌম্য সরকারের বলে। তারপর দলীয় খাতায় আর ১৫ রান যোগ হতেই ফিরেছেন লোকেশ রাহুলও। রুবেল হোসেনের গতির কাছে পুরো পরাস্ত হয়ে ৯২ বলে ৭৭ রান করে ফিরেছেন রাহুল। ৩৩ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ১৯৬/২।

রেকর্ড গড়ে ফিরলেন রোহিত (৫টা ৪০ মিনিট): ফিরতে পারতেন নয় রানের মাথায়। কিন্তু রোহিত শর্মার সহজ ক্যাচ ধরতে পারেননি তামিম ইকবাল। ভারতীয় ওপেনার ‘জীবন’ পেয়ে সেঞ্চুরিই তুলে নিয়েছেন। ইনিংসের ত্রিশতম ওভারে অনিয়মিত বোলার সৌম্য সরকারের বলে ফিরে যাওয়ার আগে ৯২ বলে ১০৪ রান করেছেন রোহিত। ফেরার আগে রেকর্ড গড়ে গেছেন ভারতীয় ওপেনার।

লোকেশ রাহুলকে সাথে নিয়ে প্রথম উইকেটে তুলেছেন ১৮০ রান। চলতি বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় ওপেনিং জুটি এটি। আর সব উইকেট জুটি মিলিয়ে ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের জুটি। আগের সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ডেও ছিল রোহিতের নাম। গত বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শিখর ধাওয়ানের সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে তুলেছিলেন ১৭৪ রান। 

ক্যাচ ছাড়ার মাশুল গুনছে বাংলাদেশ (৫টা ৮ মিনিট): ইনিংসের পঞ্চম ওভারের চতুর্থ বলটি বাউন্সার দিয়েছিলেন মোস্তাফিজুর রহিম। রোহিত শর্মা পুল করতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ তুলে দিলেন। একেবারেই সহজ ক্যাচ, কিন্তু ধরতে পারেননি তামিম ইকবাল। সেই ক্যাচ মিসের মাশুল গুনছে বাংলাদেশ।

জীবন পাওয়া রোহিত ভয়ঙ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের সামনে। ৫৪ বল খেলে ৪টি চার ৩টি ছক্কায় ৫৭ রানে অপরাজিত রোহিত। ওদিকে লোকেশ রাহুলও বেশ ভালো খেলছেন। ৭০ বলে ৮১ রানে অপরাজিত রাহুল। ২৩ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ভারতের রান ১৪৭। 

রোহিতের সহজ ক্যাচ ছাড়লেন তামিম (৩টা ৫৬ মিনিট): সঞ্জয় মাঞ্জারেকার বলেছিলেন ভারতকে হারাতে হলে রোহিত শর্মা আর বিরাট কোহলিকে শুরুতেই ফেরাতে হবে। সেই সুযোগটাও পেয়েছিল বাংলাদেশ। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানের বাউন্সার পুল করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। কিন্তু ভারতীয় ওপেনারের তুলে দেওয়া সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন তামিম ইকবাল। ছয় ওভার শেষে বিনা উইকেটে ভারতের রান ৩০।

টসে জিতে ব্যাটিংয়ে ভারত, দুই দলেই একাদশে পরিবর্তন (৩টা ১৫ মিনিট): বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের টস হয়ে গেছে। টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। আজকের ম্যাচে বাংলাদেশ-ভারত দুই দলই একাদশে দুটি করে পরিবর্তন এনেছে।

বাংলাদেশ একাদশে যুক্ত হয়েছেন অলরাউন্ডার সাব্বির রহমান ও পেসার রুবেল হোসেন। ইনজুরিতে পরা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ আজ খেলতে পারছেন না। তার বদলে একাদশে ঢুকেছেন সাব্বির। আর পেস বাড়ানোর চিন্তায় মেহেদি হাসান মিরাজকে বসিয়ে একাদশে রাখা হয়েছে রুবেল হোসেনকে।

ভারতের একাদশেও স্পিনার কমিয়ে পেসার বাড়ানো হয়েছে। কুলদ্বীপ যাদবকে বসিয়ে একাদশে ফেরানো হয়েছেন চোট থেকে ফেরা ভুবনেশ্বর কুমারকে। আর কেদার যাদবের জায়গায় ডাকা হয়েছে দিনেশ কার্তিককে।

বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, লিটন কুমার দাস, সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), সাইফুদ্দিন, রুবেল হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান।

ভারত একাদশ: রোহিত শর্মা, লোকেশ রাহুল, বিরাট কোহলি, ঋশভ পন্ত, মহেন্দ্র সিং ধোনি, দিনেশ কার্তিক, হার্দিক পান্ডিয়া, মোহাম্মদ শামি, ভুবনেশ্বর কুমার, যুগবেন্দ্র চাহাল ও জাসপ্রিত বুমরাহ।