স্নায়ুর যুদ্ধে জিতল পাকিস্তান

(১১ টা ০৫ মিনিট): ৪৫ ওভার পর্যন্ত ম্যাচটা আফগানিস্তানিদের দিকেই ঝুঁকে ছিল। কিন্তু ৪৬ ওভারে গুলবাদিন নাইবের বাজে বোলিংয়ের সুযোগ নিয়ে ১৮ রান তুলে পাকিস্তানকে ম্যাচে ফেরান পাক অলরাউন্ডার ইমাদ ওয়াসিম। শেষ পর্যন্ত এই ইমাদেই ৩ উইকেটের শ্বাসরুদ্ধকর এক জয় পেয়েছে সরফরাজ বাহিনী।

ইমাদ সাত নম্বরে নেমে ৫৪ বল খেলে ৫০ রানের ম্যাচজয়ী এক ইনিংস খেলেছেন।  পাকিস্তানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রাহক বাবর আজম করেছেন ৪৫ রান। ৩৬ রান করা ইমাম-উল হক তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। আফগানিস্তানের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ নবি ও মুজিব-উর রহমান।

সরফরাজের বিদায়, চাপের মুখে পাকিস্তান (১০টা ১২ মিনিট): আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২২৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে রীতিমতো ধুঁকছে পাকিস্তান। দলীয় ১৫৬ রানেই ৬ উইকেট হারিয়েছে সরফরাজ বাহিনী। স্বীকৃত সকল ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর পাকিস্তানের ইনিংস সামলাচ্ছেন তরুণ অলরাউন্ডার ইমাদ ওয়াশিম ও শাদাব খান। ৪১ ওভার শেষে পাকিস্তানের দলীয় সংগ্রহ ১৬১/৬। শেষ ৫৪ বলে জয়ের জন্য পাকিস্তানের দরকার ৬৭ রান।

তিন উইকেট নেই পাকিস্তানের (৯টা ০৬ মিনিট): আফগানিস্তানের ২২৭ রানের জবাব দিতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলে ফখর জামানকে হারালেও তারপর বেশ ভালোই এগুচ্ছিল পাকিস্তান। দ্বিতীয় উইকেটে ৭২ রানের একটা পার্টনারশিপ গড়ে পাকিস্তানকে টানছিলেন বাবর আজম (৪৬) ও ইমাম-উল হক (৩৬)। তবে মাত্র নয় রানের ব্যবধানে এই দুই ব্যাটসম্যান ফিরে গেলে এই মুহূর্তে কিছুটা বিপদে পাকিস্তান। ২৩ ওভার শেষে পাকিস্তানের স্কোর ৯৪/৩।

পাকিস্তানের প্রয়োজন ২২৮ রান (০৭:২২ মিনিট): পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে চাপে পড়েছে আফগানিস্তান। পাক তরুণ সেনসেশন শাহিন শাহ আফ্রিদির দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি আফগানরা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৯ উইকেট হারিয়ে ২২৭ রান।

পাকিস্তানের বোলিং তোপের মুখে আফগান ব্যাটসম্যানদের মধ্যে আজগর আফগান ও নাজিবুল্লাহ জর্দান করেছেন ৪২ রান। এছাড়াও উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান রহমত শাহ করেছেন ৩৫ রান। পাক বোলারদের মধ্যে ৪ উইকেট পেয়েছেন শাহিন আফ্রিদি আর দুই উইকেট করে পেয়েছেন ওহাব রিয়াজ ও ইমাদ ওয়াশিম।

বড় বিপদে আফগানিস্তান (০৫:৪০ মিনিট): পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে চাপে পড়েছে আফগানিস্তান। পাক তরুণ সেনসেশন শাহিন শাহ আফ্রিদির জোড়া আঘাতের পর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি দলটি। রহমম শাহের বিদায়ের পর আজগর আফগান কিছুটা চেষ্টা চালালেও ৩৫ বলে ৪২ রান করে শাদাব খানের বলে বোল্ড হন। পরে ইকরাম আলী খিলকেও তুলে নেন ইমাদ ওয়াশিম। ৩১ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪০ রান।

আজগরের ব্যাটে আফগানিস্তানের প্রতিরোধ (০৫:০০ মিনিট): পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই পাক তরুণ সেনসেশন শাহিন শাহ আফ্রিদির জোড়া আঘাতে খেই হারায় আফগানিস্তান। পরে ৫৭ রানে ফিরে যান রহমত শাহও। তবে শুরুর সেই ধাক্কা সামলে ইনিংস মেরামত করছেন আজগর আফগান ও ইমরান আলী খিল। ২১ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৩ উইকেট হারিয়ে ১০৭ রান।

আফগান শিবিরে আফ্রিদির জোড়া আঘাত (০৪:০০ মিনিট): পাকিস্তানের বিপক্ষে শুরুটা ভালো হলেও সেটা ধরে রাখতে পারেনি আফগানিস্তান। পাক তরুণ সেনসেশন শাহিন শাহ আফ্রিদির জোড়া আঘাতে খেই হারিয়েছে গুলাবাদিন বাহিনী। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বল করতে এসে পর পর দুই বলে আফগান অধিনায়ক গুলবাদিন নায়িব ও ফর্মে থাকা হাশমতুল্লাহ শাহিদিকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠিয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। ৬ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ২ উইকেট হারিয়ে ৩২ রান।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথমে বোলিংয়ে পাকিস্তান (০৩:১৫ মিনিট): বিশ্বকাপের ৩৬ নম্বর ম্যাচে আজ আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান। ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আফগান অধিনায়ক গুলবাদিন নাইব। অর্থাৎ অল্প সময় পর মোহাম্মদ আমির, শাহিন শাহ আফ্রিদিকে বল হাতে গতির ঝড় তুলতে দেখা যাবে।

আজকের ম্যাচে পাকিস্তানের একাদশে কোন পরিবর্তন নেই। অপর দিকে আফগানিস্তানের একাদশে পরিবর্তন এসেছে একটি। পেসার দৌলত জাদরানের বদলে একাদশে জায়গা পেয়েছেন হামিদ হাসান।

বিশ্বকাপের শুরুতে ধুঁকলেও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ানো পাকিস্তানের সেমিফাইনালের সম্ভাবনা জেগে উঠেছে। তবে সেমির সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখতে হলে আফগানদের বিপক্ষে আজ জিততেই হবে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। 

আফগানিস্তান একাদশ: গুলবাদিন নাইব (অধিনায়ক), রহমত শাহ, হাশমতুল্লাহ শাহিদি, আসগর আফগান, ছামিউল্লাহ শেনওয়ারি, মোহাম্মদ নবি, নাজিবুল্লাহ জাদরান, ইকরাম আলী খিল, রশিদ খান, হামিদ হাসান ও মুজিব-উর রহমান।

পাকিস্তান একাদশ: ইমাম-উল হক, ফখর জামান, বাবর আজম, মোহাম্মদ হাফিজ, হারিস সোহেল, সরফরাজ আহমেদ (অধিনায়ক), ইমাদ ওয়াসিম, শাদাব খান, মোহাম্মদ আমির, ওয়াহাব রিয়াজ ও শাহিন আফ্রিদি।