ইংল্যান্ডের হারে ভালোই হলো বাংলাদেশের

ইতিহাসই বদলাতে হতো ইংল্যান্ডকে। বিশ্বকাপে গত ২৭ বছরে যে অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারেনি ইংলিশরা! ইতিহাস বদলানোর ভালো সুযোগই অবশ্য পেয়েছিল। কিন্তু শুরুটা দুর্দান্ত হলেও অজিদের মাত্র ২৮৫ রানে আটকে দেয় ইংল্যান্ড। লর্ডসে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপের কাছে এই রান আর তেমন কী!

তবে সুযোগ কাজে লাগাতে পারল কই ইংল্যান্ড। আগের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভেঙ্গে পড়েছিল ইংল্যান্ডের তারকা সমৃদ্ধ ব্যাটিং লাইনআপ। আজও তাদের ব্যাটিং দেখে মনে হলো সেদিনের সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেনি ইংলিশরা। অজি পেসারদের বিপক্ষে কেন জানি দাঁড়াতেই পারলো না বিশ্বকাপের হট ফেভারিট ইংল্যান্ড।

২৬ রানে প্রথম তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ফেলা ইংলিশ ব্যাটিং লাইনআপ পরে আর দাঁড়াতে পারেনি। একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে অনেকক্ষণ চেষ্টা করে গেলেন কেবল বেন স্টোকস। ১১৫ বলে ৮৯ রান করেছেন ইংলিশ এই অলরাউন্ডার। শেষ পর্যন্ত ৪৪.৪ ওভারে ২২১ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। ৬৪ রানের জয় পায় অস্ট্রেলিয়া।

এর আগে অ্যারন ফিঞ্চের ১০০ রানের ওপর ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ২৮৫ রান তুলে অস্ট্রেলিয়া।

২৭ করে ইংলিশদের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক জনি বেয়ারস্টো। অস্ট্রেলিয়ার সফল বোলার জেসন বেহরেন্ডফ। কোল্টার নাইলের বদলে একাদশে সুযোগ পাওয়া পেসার ৪৪ রান নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। মিচেল স্টার্ক ৪৩ রানে নিয়েছেন চার উইকেট।

অজিদের এই ৬৪ রানের জয় সবার আগে তাদের মেমিফাইনালে পৌঁছে দিয়েছে। পাশাপাশি বড্ড উপকারও হয়েছে বাংলাদেশের। বাংলাদেশের সেমিফাইনাল খেলার সম্ভাবনা আরও উজ্জল হয়েছে।

সাত ম্যাচ খেলে পয়েন্ট টেবিলের চার নম্বরে থাকা ইংল্যান্ডের পয়েন্ট আটই থাকল। সমান ম্যাচে টেবিলের পাঁচে থাকা বাংলাদেশের পয়েন্ট সাত। অর্থাৎ এক পয়েন্টের ব্যবধান। দুই দলেরই দুটি করে ম্যাচ বাকি আছে। অর্থাৎ যদি বাকি দুই ম্যাচের একটিতেও ইংল্যান্ড জিততে না পারে আর বাংলাদেশ যদি দুটি ম্যাচেই জিতে তবে বাংলাদেশই যাবে সেমিতে।

বাকি দুই ম্যাচে ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ ভারত ও নিউজিল্যান্ড। এই দুই দলকেও গত ২৭ বছর বিশ্বকাপে হারাতে পারেনি ইংলিশরা। তাছাড়া পরপর দুই ম্যাচে বাজেভাবে হেরে যাওয়া ইংল্যান্ডের আত্মবিশ্বাস যে পড়তির দিকে থাকবে তা বলা অপেক্ষা রাখে না। অপর দিকে বাংলাদেশ বাকি দুই ম্যাচ খেলবে যথাক্রমে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে।