অসাধারণ দুর্দান্ত সাকিব, উড়ে গেল আফগানিস্তান

(১১ টা ১৯ মিনিট): বিশ্বকাপে খেলছিলেন বিশ্বসেরার মতোই। তবে কেন জানি একই দিনে ব্যাট-বলে জ্বলে উঠতে পারছিলেন না সাকিব আল হাসান। ব্যাটিংটা অবিশ্বাস্য রকমের দুর্দান্ত হলেও বোলিংয়ে প্রত্যাশা মতো উইকেট পাচ্ছিলেন না। কে জানত আফগানদের বিপক্ষে সেই আক্ষেপ এতোটা নিষ্ঠুরভাবে মেটাবেন! ব্যাট হাতে অর্ধশতক করার পর বল হাতে আফগানিস্তানকে অনেকটা একাই গুড়িয়ে দিলেন বাংলাদেশের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।

নিয়মিত বিরতিতে তুলে নিয়েছেন আফগানদের পাঁচ উইকেট। ১০ ওভার বোলিং পাঁচ উইকেট নিতে সাকিব খরচ করেছেন মাত্র ২৯ রান। সাকিবের আগুনে বোলিংয়ে শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকা আফগানিস্তান ৪৭ ওভারে ঠিক ২০০ রানে অলআউট হয়েছে। যাতে ম্যাচে ৬২ রানের বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। টাইগারদের পক্ষে ৩২ রানে দুই উইকেট পেয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। আফগানদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৯ রান করেছেন সামিউল্লাহ শেনওয়ারি। এর আগে সাকিবের ৫১, মুশফিকুর রহিমের ৮৩ রানের ওপর ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ২৬২ রান তোলে বাংলাদেশ।

সাকিবের পাঁচ উইকেট, জয়ের কাছাকাছি বাংলাদেশ (১০টা ৫৫ মিনিট): বাংলাদেশের ২৬২ রানের জবাব দিতে সাকিব আল হাসানের স্পিনে শুরু থেকেই ধুঁকছিল আফগানিস্তান। কিন্তু ধুঁকতে থাকা আফগানিস্তান সপ্তম উইকেটে হঠাৎ-ই যেন ঘুরে দাঁড়াতে চাইল। সামিউল্লাহ শেনওয়ারি ও নাজিবুল্লাহ জাদরান সপ্তম উইকেট ৫৬ রানের জুটি গড়ে ফেলেছিল। আফগানদের উঁচু হতে যাওয়া মাথা আবারও দাবিয়ে দিয়েছেন সাকিব।

৪৩তম ওভারে ফিরিয়ে দেন নাজিবুল্লাহ জাদরানকে (২৩)। পরের ওভারে রশিদ খানকে তুলে নেন মোস্তাফিজুর রহমান। ৪৩.৩ ওভার শেষে আফগানিস্তানের স্কোর ১৯১/৮। সাকিব এখন পর্যন্ত নয় ওভার বোলিং করে মাত্র ২৬ রান খরচায় নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। এর আগে ব্যাট হাতে ফিফটি পেয়েছেন সাকিব।

বিশ্বকাপ ইতিহাসে এক ম্যাচে ফিফটি এবং পাঁচ উইকেট নেওয়ার ঘটনা আছে আর মাত্র একটি। ২০১১ সালের বিশ্বকাপে এই কীর্তি গড়েছিলেন ভারতীয় অলরাউন্ডার যুবরাজ সিং।

সাকিবের অনন্য ইতিহাস (১০টা ১৮ মিনিট): বিশ্বকাপটা দুহাত ভরেই দিচ্ছে সাকিব আল হাসানকে। রানের বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন সেই শুরু থেকেই। এখন পর্যন্ত চলতি বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক সাকিব। বোলিংও করছিলেন দুর্দান্ত, কিন্তু প্রত্যাশামতো উইকেট মিলছিল না। আজ সেই আক্ষেপ ঘুচল।

ব্যাট হাতে হাফ সেঞ্চুরি করার পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে সাত ওভার বোলিং মাত্র দশ রান খরচায় ইতোমধ্যেই চার উইকেট তুলে নিয়েছেন সাকিব। যাতে চলতি বিশ্বকাপে নয় উইকেট হলো বাংলাদেশি তারকার। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপে সাকিবের উইকেট সংখ্যা দাঁড়াল ৩১। বিশ্বকাপে এক হাজার রানের মাইলফলক আগেই পেরিয়েছেন। অর্থাৎ বিশ্বকাপে এক হাজার রান ও ৩০ উইকেটের মাইললফলক  স্পর্শ করলেন সাকিব।

বিশ্বকাপ ইতিহাসে এই কীর্তি সাকিবই প্রথম গড়লেন। কিংবদন্তি বহু অলরাউন্ডার বিশ্বকাপ খেলেছেন কিন্তু কেউই ১ হাজার রান ও ৩০ উইকেট নিতে পারেননি।

সাকিব গর্জনে কাঁপছে আফগানিস্তান (৯টা ৪৫ মিনিট): বাংলাদেশের ২৬২ রানের জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই ধুঁকছিল আফগানিস্তান। প্রথম পাওয়ার প্লেতে অবশ্য উইকেট হারায়নি আফগানরা। পাওয়ার প্লে শেষে ১১তম ওভারে আক্রমণে এসেই আফগানিস্তানের প্রথম উইকেট তুলে নেন সাকিব আল হাসান। ইনিংসের ২৮তম ওভারে আফগানদের ডানাই ভেঙে দিলেন সাকিব। এক বলের ব্যবধানে ফিরিয়ে দেন গুলবাদিন নাইব (৪৭) ও মোহাম্মদ নবিকে।

আগেই চাপে পড়া আফগানিস্তান এই মুহূর্তে অনেকটা চ্যাপ্টা। জিততে হলে এখন প্রতি ওভারে প্রায় আট করে রান তুলতে হবে আফগানদের। ৩১ ওভার শেষে চার উইকেট হারানো আফগানিস্তানের রান ১১৩। সাকিব এখন পর্যন্ত ছয় ওভার বোলিং করে মাত্র আট রানে তিন উইকেট নিয়েছেন। আফগানদের অপর উইকেটটি পেয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন।

মোসাদ্দেকে কাবু শাহিদি, চাপে আফগানিস্তান (৯টা ১৫ মিনিট): রহমত শাহ ফেরার পর তিনে নেমে বাংলাদেশি স্পিনারদের একেবারেই খেলতে পারছিলেন না হাশমতুল্লাহ শাহিদি। একটা পর্যায়ে ২২ বলে তার রান ছিল ৮! ধুঁকতে থাকা শাহিদি অবশেষে ফিরেছেন মোসাদ্দেক হোসেনের বলে। ২১তম ওভারের পঞ্চম বলে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়ার আগে ১১ রান করতে ৩১ বল খেলেন তিনি। ২১ ওভার শেষে আফগানিস্তান ৭৯/২। বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম উইকেটটি নিয়েছেন সাকিব আল হাসান।

সাকিব আসতেই উইকেট (৮টা ৩৬ মিনিট): বিশ্বকাপের প্রায় সব ম্যাচেই পাওয়ার প্লেতে স্পিনার দিয়ে বোলিং করিয়েছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। আজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম পাওয়ার প্লের পুরো দশ ওভার করলেন পেসারা। ওদিকে বাংলাদেশের ২৬২ রানের জবাব দিতে নেমে আফগানিস্তান শুরুতে ছিল বেশ সাবধানী। দুই মিলিয়ে পাওয়ার প্লেতে উইকেট মিলেনি।

তবে পাওয়ার প্লে শেষে সাকিব আল হাসান আক্রমণে আসতেই উইকেট পেয়েছে বাংলাদেশ। ১১তম ওভারের পঞ্চম বলে রহমত শাহকে (২৪) তামিম ইকবালের ক্যাচ বানান সাকিব। ১২ ওভার শেষে আফগানিস্তানের স্কোর ৫০/১। ১৭ রানে অপরাজিত আছেন গুলবাদিন নাইব।

এই মাঠেই সেদিন ২২৪ করেছিলো ভারত এই মাঠেই আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ২২৪ রান করেছিলো ভারত। সাউথহ্যাম্পটনের এই রোজ বোলেই গত শনিবার মুখোমুখি হয়েছিলো কোহলি-রশিদরা। আফগানিস্তানের সম্মিলিত বোলিং আক্রমণের মুখে সেদিন তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে পড়েছিলো বিশ্বের সেরা ব্যাটিং লাইন-আপ। পরে যদিও ম্যাচে ১১ রানের জয় পেয়েছিলো ভারত।

আজ একই মাঠে একই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যাট করে ২৬২ রান করেছে টাইগাররা। মুসফিক, সাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবালদের ব্যাটে ভর করে ৫০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে এই রান করে বাংলাদেশ। একটু পরেই জয়ের লক্ষ্যে টাইগারদের বিপক্ষে মাঠে নামবে আফগানিস্তান।

বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জিং স্কোর (৭টা ২০ মিনিট): সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিমের দায়িত্বশীল ব্যাটিং এবং শেষ দিকে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ২৪ বলে ৩৫ রানের ঝড়ো ইনিংসে আফগানিস্তানকে বড় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। সাউদাম্পটনের রোজ বোলে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামা বাংলাদেশ নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৬২ রান তুলেছে। একদিন আগে এই মাঠেই ২২৪ করে জিতেছিল ভারত।

বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৩ রান করেছেন মুশফিকুর রহিম। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫১ রান করেছেন সাকিব আল হাসান।এছাড়া তামিম ইকবাল ৩৬, মাহমুদুল্লাহ ২৭, লিটন দাস ১৬ রান করেছেন।

মাহমুদুল্লাহ আউট, দুইশ’ পেরিয়ে বাংলাদেশ (৬টা ৪৫মিনিট): মাত্র আট রানের ব্যবধানে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সাকিব আল হাসান (৫১) ও সৌম্য সরকারকে (৩) হারিয়ে বড্ড অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ব্যাটে অস্বস্তিটা কেটেছে দ্রুতই। পঞ্চম উইকেটে দুজনের পার্টনারশিপে দুজন যোগ করেন ৫৬ রান। এরপরই ব্যক্তিগত ২৭ রানে বিদায় নেন মাহমুদুল্লাহ। ৪৩ ওভার শেষে বাংলাদেশ ২০৭/৫। ৬৭ রানে অপরাজিত মুশফিকুর। 

ছক্কা হাঁকিয়ে পঞ্চাশে মুশফিক (৬টা ২৩ মিনিট): দৌলত জাদরানকে ছক্কা হাঁকিয়ে পঞ্চাশের ঘরে পা রাখলেন মুশফিকুর রাহিম। এর আগের বলেই পায়ে ব্যথা পেলেন বেশ ভালোরকম। জাদরানের বল মুশফিকের প্যাডে গিয়ে আঘাত হেনেছিলো। কিছুক্ষণ খুঁড়িয়েও হাঁটলেন মুশফিক। তার পরের বলেই বিশাল এক ছক্কা মেরে নিজের জাত চেনালেন তিনি। বর্তমানে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৮ ওভারে চার উইকেটে ১৭৭।

বাংলাদেশ শিবিরে জোড়া আঘাত (৫টা ৫৪ মিনিট): ফিফটির পরই ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। তারপর ওপেনিংয়ের বদলে পাঁচে ব্যাটিং করতে নামা সৌম্য সরকার দাঁড়াতেই পারলেন না। মুজিব-উর রহমানের বলে ধুঁকতে থাকা সৌম্য ১০ বলে ৩ রান করে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েন। মাঠ ছাড়ার আগে বাংলাদেশের রিভিউটাও নষ্ট করে গেছেন সৌম্য। ৩৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৫৩/৪। ৩৯ রানে অপরাজিত আছেন মুশফিকুর রহিম।  

ফিফটি করেই ফিরলেন সাকিব (৫টা ৪৫ মিনিট): বিশ্বকাপে রীতিমতো রান মেশিনে পরিণত হওয়া সাকিব আল হাসান আরেকটা ফিফটি তুলে নিলেন আজ। অবশ্য ফিফটির পর এগুতে পারেননি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৬৬ বলে ফিফটি পূর্ণ করা সাকিব ফিরেছেন ৫১ রান করে। ২৯.২ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৪৩/৩। ৩২ রানে ক্রিজে আছেন মুশফিকুর রহিম।

আজ ৫১ রানের ইনিংসটির মাধ্যমে দুই অর্জন হয়েছে সাকিবের। আবারও চলতি বিশ্বকাপের শীর্ষ রানসংগ্রাহক বনে গেছেন বাংলাদেশের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। সাত ইনিংস খেলা সাকিবের বর্তমান রান ৪৭৩, চলতি বিশ্বকাপে যা সর্বোচ্চ রান। সব বিশ্বকাপ মিলিয়ে এক হাজার রানও পূর্ণ হয়েছে ওয়ানডে দলের সহ-অধিনায়কের। বাংলাদেশের পক্ষে সাকিবই প্রথম বিশ্বকাপে এক হাজার রান করলেন।

রশিদ-আম্পায়ারের বিরুদ্ধে সাকিবের জয় (৪টা ৫৮ মিনিট): দারুণ এগুতে থাকা বাংলাদেশ তামিম ইকবালকে হারিয়ে হঠাৎ বিপদে পড়ে যায়। বিপদ আরও বাড়তে পারত যদি সাকিব আল হাসান রিভিউ না নিতেন। ১৭তম ওভারের শেষ বলে মোহাম্মদ নবির বলে বোল্ড হন তামিম। পরের বলেই রশিদ খানের বলে সাকিবকে এলবিডব্লিউ দেন আম্পায়ার। সাথে সাথেই রিভিউ নেন সাকিব।

পরে দেখা যায়, রশিদের বল ছিল স্ট্যাম্পের ওপরে। আউটের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হয় আম্পায়ারকে। তামিমের বিদায়ের পর সাকিবের সঙ্গে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন মুশফিকুর রহিম। ২০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৯৫/২। ৩১ রানে ব্যাট করছেন সাকিব আল হাসান। তার সাথে ব্যক্তিগত ৬ রানে অপরাজিত মুশফিকুর রহিম।  

আবারও সেট হয়ে তামিমের বিদায় (৪টা ৪৮ মিনিট): উইন্ডিজের বিপক্ষে ৪৮ রান করার পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে করেছিলেন ৭৪ বলে ৬২। মনে হচ্ছিল চেনা ছন্দে বুঝি ফিরছেন তামিম ইকবাল। কিন্তু আজ আবারও সেই পুরনো রোগ পেয়ে বসল অভিজ্ঞ ওপেনারকে। আফগানিস্তানের বিপক্ষেও আউট হয়েছেন সেট হয়ে। ৫৩ বল খেলে ৩৬ রান করে সরাসরি বোল্ড হয়েছেন মোহাম্মদ নবির বলে। ১৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৮৫/২।

সাকিব-তামিমে এগুচ্ছে বাংলাদেশ (৪টা ৩০ মিনিট): ডানহাতি, বাঁহাতি কম্বিনেশন আনতে সৌম্য সরকারের বদলে তামিম ইকবালের সঙ্গে লিটন কুমার দাসকে ওপেনিংয়ে পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ। তরুণ লিটন ভালোভাবেই এগুচ্ছিলেন, কিন্তু বেশিদূর যেতে পারেননি। ব্যক্তিগত ১৬ রানের মাথায় ফিরে গেছেন মুজিবুর রহমানের বলে। লিটনের বিদায়ের পর বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন দুই সিনিয়র ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। 

ইতোমধ্যে পঞ্চাশ পেরিয়েছে দুজনের পার্টনারশিপ। ১৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৭৩/১। ২৩ রানে ব্যাট করছেন সাকিব আল হাসান। তার সাথে ৩০ রানে অপরাজিত তামিম। 

সুবিধা নিতে গিয়ে অসুবিধায় বাংলাদেশ (৪টা ০৭ মিনিট): বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের হয়ে নিয়মিতই বোলিং ইনিংস ওপেন করছেন তরুণ স্পিনার মুজিব-উর- রহমান। ডানহাতি অফস্পিনারের বিপক্ষে সুবিধা নিতে ওপেনিংয়ে পরিবর্তন এনেছিল বাংলাদেশ। বাঁ-হাতি সৌম্য সরকারের বদলে তামিম ইকবালের সঙ্গে ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে নেমেছিলেন ডান হাতি লিটন কুমার দাস। বেশ ভালোই খেলছিলেন অবশ্য লিটন। কিন্তু সেই মুজিবের একটি বল অফসাইডে খেলতে গিয়ে হঠাৎ ক্যাচ তুলে দেন হযরতুল্লাহ শাহিদিকে।

১৭ বলে ১৬ রান করে ফিরেছেন তরুণ লিটন। সাত ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৩১/১। ১০ রানে ব্যাট করছেন তামিম ইকবাল। তার সাথে ব্যক্তিগত ৩ রানে ব্যাটিং করছেন সাকিব আল হাসান। 

দুই পরিবর্তন নিয়ে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ (৩টা ১৫ মিনিট): বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচে টস জিতেছেন গুলবাদিন নাইব। বৃষ্টিভেজা উইকেটে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আফগান অধিনায়ক। অর্থাৎ কিছুক্ষণ পর ব্যাট হাতে নামছেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার।

আজকের ম্যাচে একাদশে দুই পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। আগের ম্যাচে ইনজুরির কারণে খেলতে পারেননি মোসাদ্দেক হোসেন ও সাইফুদ্দিন। তাদের জায়গায় খেলানো হয়েছিল সাব্বির রহমান ও রুবেল হোসেনকে। আজ রুবেল-সাব্বিরকে বসিয়ে একাদশে ডাকা হয়েছে ফিট মোসাদ্দেক-সাইফুদ্দিনকে।

এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে ছয় ম্যাচ খেলে পয়েন্ট টেবিলের ছয় নম্বরে বাংলাদেশ। শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকা, উইন্ডিজকে হারিয়েছে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষের ম্যাচটি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের পয়েন্ট পাঁচ। অপর দিকে পয়েন্ট টেবিলের সবার নিচে থাকা আফগানিস্তানের ভাণ্ডারে কোন পয়েন্ট নেই। ছয় ম্যাচ খেলে ছয়টিতেই হেরেছে আফগানরা।

বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মোসাদ্দেক হোসেন, লিটন দাস, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, সাইফুদ্দিন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক) ও মোস্তাফিজুর রহমান।

আফগানিস্তান একাদশ: গুলবাদিন নাইব (অধিনায়ক), সামিউল্লাহ শেনওয়ারি, রহমত শাহ, হাশমতুল্লাহ শাহিদি, আসগর আফগান, মোহাম্মদ নবি, নাজিবুল্লাহ জাদরান, ইকরাম আলী খিল, রশিদ খান, দৌলত জাদরান ও মুজিবুর রহমান।