কার্লোস ব্রাথওয়েট, নট দিস টাইম

(২টা ৫৯ মিনিট): ২০১৬ সালের ৭ এপ্রিল কলকাতার ইডেন গার্ডেনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডের তারকা অলরাউন্ডার বেন স্টোকসের করা ২০তম ওভারে চার ছক্কা হাঁকিয়ে গোটা বিশ্বকে স্তব্ধ করে দিয়েছিলেন কার্লোস ব্রাথওয়েট। তখন ধারাভাষ্যকার বলে উঠছিলেন, কার্লোস ব্রাথওয়েট রিমেমবার দ্য নেম, হিস্ট্রি ফর উইন্ডিজ। তেমনই একটা অতিমানবীয় ইনিংসে শনিবার ম্যানচেস্টারে নিউজিল্যান্ডকে প্রায় একাই হারিয়ে দিয়েছিলেন ব্রাথওয়েট। বাট নট দিস টাইম।

২৯২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৬৪ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে উইন্ডিজ তখন থেকেই বোলারদের সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ শুরু করেন ব্রাথওয়েট। শেষ তিন ওভারে দরকার ছিল ৩৩ রান। ম্যাট হেনরির করা ৪৮তম ওভারে পরপর তিন ছক্কা হাঁকিয়ে ইডেন গার্ডেনকেই মনে করিয়ে দিচ্ছিলেন ব্রাথওয়েট। সেই ওভারে নেন তিনি ২৫ রান।

শেষ দুই ওভারে উইন্ডিজের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৮ রান। একপর্যায়ে ব্রাথওয়েট একটা ডাবল নেন। জয়ের জন্য তখন ৯ বলে প্রয়োজন ছিল ৬ রান। মনে হচ্ছিল এই বুঝি হাঁকিয়ে দিলেন ছক্কা। জেমি নিশামের ৪৯তম ওভারের শেষ বলে সজোরে হাঁকালেন ব্রাথওয়েট কিন্তু এবার আর দলের জন্য ইতিহাস করতে পারলেন না। বাউন্ডারি লাইনে বোল্টের অসাধারণ ক্যাচে প্যাভিলিয়নে ফেরত যান। উইন্ডিজ হেরে যায় ৫ রানে।

আউট হওয়ার আগে ৫ ছক্কা আর ৯ চারে ৮২ বলে ১০২ রানের অসাধারণ একটা ইনিংস খেলেন কার্লোস ব্রাথওয়েট। এর আগে গেইল করেন ৮৭ রান। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ৪ উইকেট নিয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট আর ফার্গুসেন নিয়েছেন ৩ উইকেট। এই জয়ের ফলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে চলে গেছে উইলিয়ামসনরা।

ম্যানচেস্টারে গেইল ঝড়ের আভাস (১২টা ১৫ মিনিট): ২৯২ রানের লক্ষে খেলতে নেমে শুরুটা একদমই মন্দ হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ১৬ ওভার শেষে দুই উইকেট হারিয়ে উইন্ডিজের সংগ্রহ ৯২/২। ম্যাচটা জিততে হলে এখনো ২০০ রান প্রয়োজন তবে ম্যানচেস্টারে আজ গেইল ঝড়ের আভাস পাওয়া গেছে। ইউনিভার্স খ্যাত এই মারকুটে ব্যাটসম্যান ৫৬ বলে তিনটি বিশাল ছক্কায় ৫১ রানে অপরাজিত আছেন, ঝড়তো সময়ের ব্যাপার মাত্র।

অসাধারণ উইলিয়ামসন, নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ২৯১ (১০টা ৩৩ মিনিট): দল বিপদে পড়লেই ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। গত ম্যাচে সাউথ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দুর্দান্ত এক শতক হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেছেন। আজ ম্যানচেষ্টারে মাত্র সাত রানে দুই ওপেনার হারিয়ে কিউইরা যখন বিপদে তখন আবারো ব্যাট হাতে ত্রাণকর্তা হিসেবে হাজির হলেন কেন উইলিয়ামসন।

শেষ পর্যন্ত উইলিয়ামসন ১৫৪ বলে ১৪৮ রানের একটf লড়াকু ইনিংস খেলে কটরেলের বলে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। কিউই অধিনায়ক ছাড়াও ৬৯ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছেন রস টেলর। আর শেষ দিকে হাত খুলে খেলেন জেমস নিশাম। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের দলীয় সংগ্রহ ২৯১/৮। উইন্ডিজ বোলারদের মধ্যে কটরেল নিয়েছেন চার উইকেট আর কার্লোস ব্রাথওয়েট নিয়েছেন দুই উইকেট। 

ফের দলের বিপদে শতক হাঁকালেন উইলিয়ামসন (৯টা ৪০ মিনিট): দল বিপদে পড়লেই কেন যেন ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। গত ম্যাচে সাউথ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দুর্দান্ত এক শতক হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেছেন। আজ ম্যানচেষ্টারে মাত্র সাত রানে দুই ওপেনার হারিয়ে কিউইরা যখন বিপদে তখন আবারো ব্যাট হাতে ত্রাণকর্তা হিসেবে হাজির হলেন কেন উইলিয়ামসন। উইন্ডিজ বোলারদের কাঁদিয়ে তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ১৩তম এবং বিশ্বকাপের ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি। নিউজিল্যান্ড দলপতি অপরাজিত আছেন ১২১ রানে। আর নিউজিল্যান্ডের দলীয় সংগ্রহ ৪১ ওভারে ২০৬/৩। 

(৯টা ২০ মিনিট): প্রথম ওভারেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। তবে সেই চাপটা আর ধরে রাখতে পারেনি উইন্ডিজ। তৃতীয় উইকেটে রস টেলর আর উইলিয়ামসন দুর্দান্ত এক পার্টনারশিপ দেন। ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা এই জুটি ভাঙ্গেন বোলার ক্রিস গেইল। ৩৫ তম ওভারে বল করতে আসা গেইলের শিকার হন রস টেলর। আউট হওয়ার আগে টেলর করেন ৬৯ রান। ৩৬ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের স্কোর ১৭৪/৩। 

(৮টা ৩১ মিনিট): প্রথম ওভারেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। তবে সেই চাপটা আর ধরে রাখতে পারেনি উইন্ডিজ। তৃতীয় উইকেটে ১১৪ রানের দুর্দান্ত এক জুটি গড়ে নিউজিল্যান্ডের চাপ কাটিয়ে তুলেছেন কেন উইলিয়ামসন ও রস টেলর। ফিফটি পেয়েছেন দুজনই। উইলিয়ামসন ৬০ রানে অপরাজিত। টেলর অপরাজিত ৫৬ রানে। ২৭ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের স্কোর ১২২/২। 

শুরুতেই বিপদে নিউজিল্যান্ড (৭টা ১০ মিনিট): বিশ্বকাপের ২৯তম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে নিউজিল্যান্ড-উইন্ডিজ। বাংলাদেশি সমর্থকরা আজ নিশ্চিতভাবেই উইন্ডিজকে সমর্থন দিচ্ছেন। নিউজিল্যান্ড হারলে যে বাংলাদেশের বড় লাভ! এদিকে, টস হেরে প্রথম ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে গেছে নিউজিল্যান্ড।

ইনিংসের প্রথম ওভারেই নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে দেন ক্যারিবীয়ান পেসার শেলডন কটরেল। নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনারই গোল্ডেন ডাক মেরেছেন। ইনিংসের প্রথম বলেই ফিরে যান মার্টিন গাপটিল। প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে ফিরেছেন কলিন মুনরো। আট ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের স্কোর ২৫/২। ১৪ রানে অপরাজিত আছেন কেন উইলিয়ামসন।

বোলিংয়ে রাসেলহীন উইন্ডিজ (৬টা ২৮ মিনিট): উইন্ডিজের বিপক্ষে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামছে নিউজিল্যান্ড। টস জিতে প্রথম বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উইন্ডিজ অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। আজকের ম্যাচটি জিতলে সেমিফাইনালের দৌঁড়ে অনেকটাই এগিয়ে যাবে কিউইরা।

অপর দিকে উইন্ডিজের শেষ চারের আশা খুবই ক্ষীণ। এখন পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচ খেলে মাত্র একটিতে জিতেছে ক্যারিবীয়ানরা। আজকের ম্যাচে উইন্ডিজের একাদশে তিন পরির্তন আনা হয়েছে। চোটের কারণে আজ খেলতে পারছেন না তারকা অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল। তার জায়গায় নেওয়া হয়েছে ব্রাফেটকে।

এছাড়া অফ ফর্মে থাকা ড্যারন ব্রাভোর জায়গায় খেলছেন স্পিনার অ্যাশলে নার্স। এছাড়া শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের জায়গায় সুযোগ দেওয়া হয়েছে অপর পেসার কেমার রোচকে। নিউজিল্যান্ড খেলতে নেমেছে অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে।

নিউজিল্যান্ড একাদশ: মার্টিন গাপটিল, কলিন মুনরো, কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), রস টেলর, টম লাথাম, জেমি নিশাম, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, মিচেল স্যান্টনার, ম্যাট হেনরি, লকি ফার্গুসন ও ট্রেন্ট বোল্ট।

উইন্ডিজ একাদশ: ক্রিস গেইল, এভিন লুইস, শেই হোপ, নিকোলাস পুরান, শিমরন হেটমায়ার, জেসন হোল্ডার (অধিনায়ক), কার্লোস ব্রাফেট, অ্যাশলে নার্স, কেমার রোচ, শেলডন কোল্টার ও ওশানে থমাস।