২৮ বছরে প্রথম নবজাতকের মুখ দেখলো যে শহর

বিগত ২৮ বছরের মধ্যে কোন শিশু জন্ম নেয়নি উত্তর ইতালির ওসটানা নামক একটি শহরে। বিষয়টি অনেকের কাছে আশ্চর্যের মনে হলেও এটিই সত্যি! অতঃপর সেই ১৯৮৭ সাল থেকে শুরু হওয়া ২৮ বছরের দীর্ঘ বন্ধাত্ব ভেঙ্গে শহরটি এবার এক ফুটফুটে নবজাতকের মুখ দেখলো।

ইতালির এই শহরটিতে জনসংখ্যার ঘনত্ব নেই বললেই চলে। ২৮ বছর পর শিশুটি জন্ম নেয়ার পর নতুন অতিথিসহ শহরটির জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো মাত্র ৮৫ জনে।

দেশটির গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, গত একশো বছর ধরেই ওসটানা শহর জনসংখ্যা কম নিয়েই বসবাস করে আসছে। গত শতকের শুরুতে ওসটানার জনসংখ্যা ছিল প্রায় এক হাজার এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে শহরের জনসংখ্যা ধীরে ধীরে আরো কমতে থাকে। সর্বশেষ ৮৪ জনে এসে দাড়ায়।

সম্প্রতি শহরটির মেয়য় গিয়াকোমো লোমবার্ডো ইটালির 'লা স্টাম্পা' নামের একটি পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মেয়র বলেন, '১৯৭৫ সাল থেকে শহরের জনসংখ্যা দ্রুত কমতে থাকে। ১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৮৭ সালের মধ্যে এই শহরে জন্ম নেয় মাত্র ১৭টি শিশু।তারপর ১৯৮৭ সালের পর থেকে ওসটানা কোন নবজাতকের মুখ দেখেনি।'

ইটালির ছোট ছোট প্রায় শহরেই এই ধরনের চিত্র কমবেশি চোখে পড়বে। কাজের ক্ষেত্র না থাকায় শহরগুলো থেকে তরুণরা কাজের সন্ধানে বড় বড় শহরে পাড়ি জমানোর ফলে জনশূন্য হয়ে পড়ছে ছোট ছোট শহরগুলো।

তবে ওসটানা শহরের মেয়র তার শহরকে এই পরিস্থিতি থেকে বের করে নিয়ে আসার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির মাধ্যমে শহরের জনসংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন তিনি।

পাবলোর বাবা জোসে এবং মা সিলভিয়াও আসলে এই শহর ছেড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। কিন্তু কাছাকাছি জায়গায় একটা কাজের প্রস্তাব পাওয়ার পর তারা থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

আপনি আরো পড়তে পারেন 

জাকারবার্গ কেন ধূসর রঙের টি শার্ট পরেন?

মাটি দিয়ে তৈরি বিদ্যুৎবিহীন ফ্রিজ!

বাদুড়কে নকল করে পথ দেখছে অন্ধ বালক!