আরো অসহায় আফগানিস্তান

বিশ্বকাপে সবাইকে চমকে দেওয়ার আশায় ছিল আফগানিস্তান। কিন্তু বড় মঞ্চে এসে খেই হারিয়ে ফেলেছেন রশিদ-নবি-নাইবরা। বিশ্বকাপে এসে নির্মম বাস্তবতা টের পাচ্ছেন তারা। একের পর এক ম্যাচ হেরেই চলছে এশিয়ার উঠতি শক্তি। শনিবার আরো একটা ম্যাচ হেরে গেছে আফগানরা।

অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এশিয়ার দলটির হার প্রায় অবধারিতই ছিল। কারণটা তাদের ব্যাটিং বিভাগ। বিশ্বকাপের এবারের আসরে আফগানরা যে কটি ম্যাচ খেলেছে তার প্রায় সবকটিতেই ব্যাটিং নিয়ে ভুগতে হয়েছে তাদের। কাল দক্ষিণ আফ্রিকার দুর্দান্ত বোলিংয়ে তো মাত্র ১২৫ রানে (৩৪.১ ওভার) গুটিয়ে গেছে তারা!

তবে বৃষ্টির কারণে প্রোটিয়াদের লক্ষ্যমাত্রা বেড়ে হয়েছে ১২৭। সেখানেও হেসে খেলেই পৌঁছে যায় ফ্যাফ ডু প্লেসির দল। ডি/এল পদ্ধতিতে দক্ষিণ আফ্রিকা জিতেছে ১১৬ বল ও নয় উইকেট হাতে রেখেই। আফগানদের হারিয়ে স্বস্তির একটা নিঃশ্বাস ফেলল দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বকাপের পঞ্চম ম্যাচে এসেই যে প্রথম জয়ের স্বাদ পেয়েছে তারা!

টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামা আফগানিস্তানের শুরুটা মন্দ ছিল না। উদ্বোধনী জুটিতে ৩৯ রান যোগ করেন দুই ওপেনার হযরতুল্লাহ জাজাই ও নুর আলি জাদরান। এরপরই ধসে পরে আফগানদের ব্যাটিং লাইন। বিনা উইকেটে ৩৯ থাকা দলটা ৭৭ রানের মধ্যে হারিয়ে ফেলে সাত উইকেট। পরে রশিদ খানের ব্যাটে মান বাঁচানো দলীয় শত পার করেছে আফগানিস্তান।

প্রোটিয়াদের তোপে আফগানদের আটজন যেতে পারেননি দুই অংকে। দশকের ঘরে পৌঁছেছেন কেবল দুই ওপেনার এবং রশিদ। জাজাই ২২ এবং জাদরান ৩২ রান করেছেন নুর আলি। নয় নম্বরে ব্যাট করতে এসেছে ২৫ বলে ৩৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন রশিদ। ক্যামিও ইনিংসে ছয়টি চার মেরেছেন তিনি।

২৯ রানে চার উইকেট তুলে নিয়ে আফগানদের ধসিয়ে দিয়েছেন ইমরান তাহির। যা তার হাতে তুলে দিয়েছে ম্যাচ সেরার স্বীকৃতি। ১৩ রানে ক্রিস মরিসের শিকার তিন উইকেট। অ্যান্ডিলে ফেলুখায়ো নিয়েছেন দুই উইকেট। অন্যটার মালিক কাগিসো রাবাদা।

সহজ লক্ষ্যে ‌ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে এক শ ছাড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১০৪ রানের জুটি ভাঙে কুইন্টন ডি কক বিদায় নিলে। ৭২ বলে আটটি চারে ৬৮ রানে আউট হয়েছেন প্রোটিয়া ওপেনার। তবে সঙ্গী হারালেও সঙ্গ হারায়নি প্রোটিয়ারা। ৮৩ বলে ৪১ রানে অজেয় ছিলেন হাশিম আমলা। ১৭ বলে ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন ফেলুখায়ো।