রিজার্ভ ডে নিয়ে আইসিসির সাফাই

বিশ্বকাপের এখনো এক তৃতীয়াংশও হয়নি। আজ ১৭ নম্বর ম্যাচ খেলতে মাঠে নেমেছে পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু এরই মধ্যে ম্যাচ পরিত্যক্তের রেকর্ড গড়ে ফেলেছে এবারের বিশ্বকাপ। ১৭ ম্যাচের মধ্যে বৃষ্টির কারণে তিনটি ম্যাচই পরিত্যক্ত হয়েছে। অতীতের কেনো বিশ্বকাপেই দুইটির বেশি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়নি।

স্বভাবতই এসব নিয়ে কথা উঠছে। বৃষ্টির মৌসুম জেনেও কেন ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো? সেখানে নিলেও কেন রিজার্ভ ডে রাখা হলো না ইত্যাদি ইত্যাদি। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার পর বাংলাদেশের প্রথম কোচ স্টিভ রোডস রিজার্ভ ডে না রাখার কড়া সমালোচনা করেছেন।

তবে এসব সমালোচনা একেবারেই পাত্তা দিচ্ছে না ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসি। সংস্থাটির যুক্তি রিজার্ভ ডে’তেও তো বৃষ্টি হতে পারত! আইসিসির বিদায়ী প্রধান নির্বাহী ডেভিড রিচার্ডসন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘রিজার্ভ ডে রাখা হলে বিশ্বকাপের দৈর্ঘ্য লম্বা হয়ে যাবে। বাস্তব দৃষ্টিতে তা জটিল আকার ধারণ করতো।’

তিনি বলেন, ‘ পিচ তৈরিতে একটা প্রভাব পড়তো। দলগুলোর স্বস্তি, ভ্রমণ, থাকার ব্যবস্থা ও ভেন্যু পাওয়া যাবে কিনা এসব কিছুই প্রভাব ফেলতো। এমনকি ব্রডকাস্টের জন্য যেসব সুবিধা আছে সেগুলো মাথায় রাখতে হয়েছে। দর্শকরা যারা এত সময় ধরে মাঠে থাকবে তাদের কথাও ভাবতে হবে। আর রিজার্ভ ডে তেও বৃষ্টি হবে না, এর কোন নিশ্চয়তা নেই।’

রিচার্ডসন বলেন, ‘ম্যাচকে ঘিরে কাজ করছেন প্রায় ১ হাজার ২০০ স্টাফ। এদের সঙ্গে সব কিছুই যুক্ত এমনকি সম্প্রচারও। ফলে পুরো দেশজুড়ে যাত্রার ফলে রিজার্ভ ডে রাখতে গেলে স্টাফদের সংখ্যাও বাড়াতে হবে। এসব সবকিছু বিবেচনায় করেই নক আউট পর্বে রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছে। কারণ গ্রুপ পর্বে সবচেয়ে বেশি ৪৫টি ম্যাচ খেলা হবে।’