ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না এমপি নুসরাতকে

প্রথমবারের জন্য লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করতে এসে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাটের সংসদ সদস্য অভিনেত্রী নুসরাত জাহান বলেছিলেন, ‘আমাকে একবার ফোন করবেন চলে আসবো৷’

সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছে ২৩ মে৷ বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের মানুষ নুসরাতের ওপর ভরসা রেখেছেন৷ কিন্তু ফলাফল ঘোষণার ১৬ দিনের মধ্যেই নুসরাতের লোকসভা কেন্দ্রের সন্দেশখালিতে রাজনৈতিক সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন চার বিজেপি এবং একজন তৃণমূল কর্মী৷

কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে না নুসরাতকে। স্থানীয় গণমাধ্যম কলকাতা২৪ দাবি করছে, রোববার সকালে নুসরাতের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে নির্বাচনের সময় ব্যবহৃত তার ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়াসহ একাধিক মাধ্যমে বাংলার সাধারণ মানুষ জানতে চাইছেন ভোট পরবর্তী সহিংসতা রুখতে কী ব্যবস্থা নিচ্ছেন বসিরহাটের নব নির্বাচিত এমপি? নিহতদের পরিবারের প্রতিই বা তার কী বক্তব্য রয়েছে?

তবে ফোনে না পাওয়া গেলেও হোয়াটসঅ্যাপে নুসরতের একটি বিবৃতি এসেছে বলে খবরে বলা হয়েছে৷

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বন্ধুরা পুরো বিষয়টির (সন্দেশখালির রাজনৈতিক সংঘর্ষ) নিয়ন্ত্রণ নেওয়া হয়েছে৷ আমাদের প্রত্যেকের উচিৎ ওখানে শান্তি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা৷ ধর্মনিরপেক্ষতা এবং মনুষ্যত্ব থেকেই মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা রইল৷ তারা কোন রাজনৈতিক দল করেন সেটা এখানে গুরুত্বপূর্ণ নয়৷ মনুষ্যত্ব প্রথমে৷ তাই আমি সংবাদমাধ্যমকে অনুরোধ করব আপনারা আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করুন৷ বসিরহাট এখন সংবেদশীল জায়গা৷ ওখানে সবাই যাতে সুস্থ এবং সুরক্ষিত থাকেন সেটা আমরা নিশ্চিত করব৷’

প্রসঙ্গত, শনিবার বসিরহাটের সন্দেশখালির ঘটনায় সুকান্ত মণ্ডল, প্রদীপ মণ্ডল, তপন মণ্ডল এবং দেবদাস মণ্ডল নামের চার কর্মী-সমর্থক খুন হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে বিজেপির পক্ষ থেকে। এখনও ১৮ জন কর্মী নিখোঁজ বলেও বিজেপির দাবি৷

অন্যদিকে, কাইয়ুম মোল্লা নামের এক তৃণমূল কর্মীও প্রাণ হারিয়েছেন এই সংঘর্ষে৷