পিএইচডি গবেষক দুই দলিতকে দিয়ে টয়লেট পরিষ্কার!

ভারতের বানারাস হিন্দু ইউনিভার্সিটির (বিএইচইউ) এক নারী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে দুই দলিত পিএইচডি গবেষককে টয়লেট পরিষ্কারে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে। এসময় তাদের জাতপাত নিয়েও বিভিন্ন মন্তব্য করা হয়। ন্যাশনাল কমিশন ফর শিডিউলড ট্রাইবস (এনসিএসটি) এর সভাপতির এক প্রতিবেদনের সূত্র ধরে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

চলতি বছরের মার্চে বিএইচইউ’র অধিভুক্ত মহিলা মহাবিদ্যালয়ে (এমএমভি) এক সেমিনার চলাকালে এই ঘটনা ঘটে। ভূক্তভোগি দুই শিক্ষার্থীর একজন উপজাতি গোষ্ঠী এবং অন্যজন তফসিলি জাতির অন্তর্ভুক্ত। তারা এই কলেজের শিক্ষার্থী এবং অভিযুক্ত শিক্ষিকা গার্হস্থ্য বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক।

ঘটনার সাক্ষী এবং নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, অভিযুক্ত অধ্যাপকের অধীনে বছর খানেক আগেও তিনি ক্লাস করেছেন। দলিত গবেষকদের মতো তিনিও বাধ্য হয়েছিলেন একই কাজ করতে। শ্রেণিকক্ষে একনায়কের মতো ক্ষমতা দেখাতেন ওই শিক্ষিকা। এছাড়া যৌনতাপূর্ণ ও বর্ণবাদী মন্তব্যও করতেন ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে। প্রশাসনের বিরুদ্ধে যারা মুখ খুলেছেন, তাদের সঙ্গে তিনি সমস্যা করেছেন বলে জানান এই শিক্ষার্থী।

তিনি আরও জানান, গত ২০১৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হেনস্তার শিকার হন কিছু ছাত্রী। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ছাত্রাবাসে আসেন তাদের সঙ্গে দেখা করতে। এসময় শিক্ষার্থীরা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুললে মারধর ও জুতা ছুড়ে মারেন ওই শিক্ষিকা।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এক প্রতিবেদনে জানায়, দলিত গবেষকদের হেনস্তার ঘটনায় এনসিএসটি’র প্রতিবেদনে প্রকাশ হওয়ার পর দুই সপ্তাহ আগে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য রাকেশ ভাটনগর।

তবে বিএইচইউ’র জনসংযোগ কর্মকর্তা রাজেশ সিং বলেন, দলিত গবেষকদের দিয়ে টয়লেট পরিষ্কারের কোন ঘটনা সম্পর্কে তারা জানেন না।

এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি) কর্মী ও বহিরাগতরা এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের দলিত অধ্যাপক মনোজ কুমার ভার্মার ওপর হামলা চালায়।