পরিসংখ্যানে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা

বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের দ্বাদশ আসর। তবে বাংলাদেশের জন্য টুর্নামেন্ট শুরু হবে ২ জুন থেকে। টাইগারদের এই স্বপ্নযাত্রায় সারথি ১৫ জন। এদের মধ্যে বেশ কজনেরই বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছে। নতুন কয়েকজনের অভিষেক হবে এবার। একনজরে দেখে নেওয়া যাক তাদের বিশ্বকাপ ও ওয়ানডে পরিসংখ্যান:

তামিম ইকবাল: প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে পাঁচ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন তামিম ইকবাল। তিনটি বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। ১৯৩ ওয়ানডে ম্যাচে ১১টি সেঞ্চুরি ও ৪৬টি হাফসেঞ্চুরির সুবাদে তামিমের ব্যক্তিগত সংগ্রহ ৬৬৩৬ রান। তামিমের স্ট্রাইকরেট ৮৭.১১।

সৌম্য সরকার: ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের উত্থানের পেছনে যে কজন নায়ক আছেন তাদের মধ্যে একজন সৌম্য সরকার। নতুন বলে ব্যাট হাতে ঝড় তুলতে পারেন তিনি। পার্টটাইম বোলার হিসেবেও দেখা গেছে তাকে। ৪৪টি ওয়ানডেতে দুটি সেঞ্চুরি ও ১০টি হাফ সেঞ্চুরিতে ১৪৬৭ রান করেছেন তিনি। সৌম্যের স্ট্রাইক রেট ৯৯.৯৩।

লিটন দাস: বাংলাদেশ দলের দ্বিতীয় উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান লিটন দাস ২৮ ম্যাচে করেছেন ৫৮৪ রান। ক্যারিয়ারে একটি করে সেঞ্চুরি ও হাফ সেঞ্চুরি আছে তার। লিটনের স্ট্রাইক রেট ৮২.৯৫।

সাকিব আল হাসান: ওয়ানডে ফরমেটের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার হিসেবে বিশ্বকাপ খেলতে নামবেন সাকিব। এই বিশ্বকাপ দিয়েই দুশো ওয়ানডের মাইলফলক ছোঁয়ার অপেক্ষায় আছেন তিনি। ১৯৮ ম্যাচে ২৪৯ উইকেট নিয়েছেন সাকিব। ব্যাট হাতে সাতটি সেঞ্চুরি ও ৪২টি হাফ সেঞ্চুরির সুবাদে তার মোট রান ৫৭১৭। এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের অন্যতম সেরা অস্ত্র সাকিব।

মুশফিকুর রহিম: এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের উইকেটের সামনে এবং পেছনে অন্যতম ভরসার নাম মুশফিক। এ পর্যন্ত ২০৫টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ক্যারিয়ারে ছয়টি সেঞ্চুরি ও ৩৩টি হাফসেঞ্চুরির সুবাদে এই ফরম্যাটে ৫৫৫৮ রান করেছেন তিনি। তার স্ট্রাইক রেট ৭৮.১৬।

মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ: বিশ্বকাপের ইতিহাসে বাংলাদেশের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান মাহমুদুল্লাহ। ১৭৫টি ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তিনি যে তিনটি সেঞ্চুরি পেয়েছেন তার দুটি বিশ্বকাপের মঞ্চ থেকে। মিডল অর্ডারে বাংলাদেশ দলের অন্যতম ভরসা তিনি। ৩৪.১৫ ব্যাটিং গড়ে মাহমুদুল্লাহ করেছেন ৪৯৩৮ রান। ২০টি হাফসেঞ্চুরি করা এই অলরাউন্ডার ৭৬টি উইকেটও নিয়েছেন।

সাব্বির রহমান: লোয়ার মিডল অর্ডারে হাল ধরার জন্য নেওয়া হয়েছে সাব্বির রহমানকে। ৬১ ওয়ানডে ম্যাচে ১২১৯ রান করেছেন তিনি। ক্যারিয়ারে একটি সেঞ্চুরি ও পাঁচটি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে তার। সাব্বিরের স্ট্রাইকরেট ৯১.৫১।

মেহেদি হাসান মিরাজ: স্পিন আক্রমণে সাকিব আল হাসানকে সঙ্গ দেবেন মিরাজ। ২৮ ম্যাচের ওয়ানডে অভিজ্ঞতা প্রাপ্ত মিরাজকে লোয়ার অর্ডারে দেখা যাবে। বল হাতে ২৯টি উইকেট ও ব্যাট হাতে ২৯১ রান করেছেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে আলো ছড়ানো মিরাজের এবার বড় মঞ্চে অভিষেক হতে যাচ্ছে।

মোহাম্মদ মিঠুন: মুশফিক ও লিটন মতো কিপিংও করতে জানেন মোহাম্মদ মিঠুন। তবে তাকে বিশ্বকাপ দলে নেয়া হয়েছে মূলত ব্যাটসম্যান হিসেবে। ১৮টি ওয়ানডে ম্যাচে ৪২০ রান মিঠুনের। চারটি হাফসেঞ্চুরি করা এই ব্যাটসম্যানের স্ট্রাইক রেট ৭৬.৬৪।

মোসাদ্দেক হোসেন: লোয়ার অর্ডারে একাদশে জায়গা পেতে সাব্বির রহমানের সঙ্গে লড়াই চলছে মোসাদ্দেকের। ২৬টি ওয়ানডে ম্যাচে ৪০৭ রানের ১১টি উইকেট নিয়েছেন এই তরুণ অলরাউন্ডার।

মাশরাফি বিন মর্তুজা: এবারের বিশ্বকাপে অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফিকে এগিয়ে রাখা হচ্ছে সর্বমহলে। এনিয়ে দ্বিতীয়বার বাংলাদেশকে বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন এই পেসার। এটা মাশরাফির ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপও বলা যায়। এ পর্যন্ত ২০৯টি ওয়ানডে খেলা মাশরাফি নিয়েছেন ২৬৫টি উইকেট। এ ছাড়া ব্যাট হাতে ১৫১ ইনিংসে ১৭৫২ রান করেছেন তিনি।

মুস্তাফিজুর রহমান: বিশ্বের বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানদের আতঙ্কের নাম মুস্তাফিজ। এ পর্যন্ত ৪৬টি ওয়ানডেতে ৮৩টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। বল হাতে এক ম্যাচে পাঁচ নেওয়ার নজির তিনবার দেখিয়েছেন তিনি।

রুবেল হোসেন: গত বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বোলিং বিভাগের অন্যতম সেরা শক্তি ছিলেন রুবেল। এটা হতে যাচ্ছে তার তৃতীয় বিশ্বকাপ। ৯৭ ম্যাচের ওয়ানডেতে ১২৩টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। ইনিংসে পাঁচ নিয়েছেন একবার। তবে ক্যারিয়ারে সাতবার চার উইকেট শিকার করেছেন রুবেল।

মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন: মূলত বোলার হিসেবে দলে ডাক পেয়েছেন সাইফুদ্দিন। কিন্তু ব্যাট হাতেও ঝড় তুলতে পারদর্শী তিনি। লোয়ার অর্ডারে ব্যাট হাতে ভরসার নাম সাইফুদ্দিন। ১৩ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ১১টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। একটি হাফ সেঞ্চুরিসহ তার মোট রান ১৭৫। স্ট্রাইকর রেট ৭০।

আবু জায়েদ চৌধুরী রাহি: টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছে রাহির। কিন্তু অভিষেক হয়নি ওয়ানডে ফরমেটে। এবারের বিশ্বকাপে স্বপ্নের ওয়ানডে অভিষেক হচ্ছে তার। তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে চার উইকেট নেওয়া রাহির প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ভালোই অভিজ্ঞতা আছে।