বিজেপিতে পরিবর্তন আসছে

ভারতের সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পাবার পর ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) শীর্ষ পদে পরিবর্তন আসছে। বিশাল এ বিজয়ের নেপথ্য কারিগর দলটির সর্বভারতীয় প্রধান অমিত শাহ নতুন সরকারের স্বরাষ্ট্র অথবা পররাষ্ট্রমন্ত্রী হচ্ছেন। এই পরিবর্তনের ফলে বিজেপির সভাপতির পদে পরিবর্তন আসছে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, লোকসভার ভোটে বিজেপি এককভাবে ৩০৩ আসনে জয়লাভ করে। যার পেছনে অমিতের ‘মাইক্রো ম্যানেজমেন্ট’ বড় ভূমিকা রাখে। উত্তরপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীনদের সাফল্যের পেছনেও তার ‘চাণক্য নীতি’র অবদান রয়েছে বলে মনে করা হয়।

এছাড়া নির্বাচনের আগে থেকেই শোনা যাচ্ছিল, এবার বিজেপি জোট সরকার গঠন করলে অমিত শাহকে মন্ত্রিসভায় দেখা যাবে। এখন গুঞ্জন চলছে তাকে স্বরাষ্ট্র অথবা পররাষ্ট্র মন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হতে পারে। ফলে নিয়ম অনুযায়ী দলীয় শীর্ষ পদ ছাড়ছেন মোদির ‘সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড’ অমিত। এমতাবস্থায় কে আসছেন এ পদে?

এ ব্যাপারে বিজেপির তিন জন শীর্ষস্থানীয় নেতা জানিয়েছেন, অমিত শাহকে কাজের ‘পুরস্কার স্বরূপ’ মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দেয়া হতে পারে। বিজেপির শীর্ষ পদে কে আসছেন, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

সাম্প্রতিককালে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) সঙ্গে বিজেপির কিছুটা মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে। তারপরেও দলীয় নেতৃত্ব নির্বাচনে আরএসএসের একটা ভূমিকা থাকছে, তাদের আশীর্বাদ নেয়াটা দলের রীতি।

এখন পর্যন্ত বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি পদে সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে স্মৃতি ইরানির নাম। তিনি ১৫ বছর পর কংগ্রেস দুর্গ আমেঠিতে রাহুল গান্ধীকে পরাজিত করে আসছেন। স্মৃতির এই বিজয়কে ১৯৭৭ সালে ইন্দিরা গান্ধীকে পরাজিত করা রাজ নারায়ণের জয়ের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে।

এর আগে ২০১৫ সালে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি রাজনাথ সিং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ায় দলের শীর্ষ পদে আসীন হন অমিত শাহ। ২০১৬ সালে পুনরায় সার্বজনীন বিজেপির সভাপতি হন অমিত। এ পদে তিন বছরের মেয়াদ শেষ হয় গত জানুয়ারিতে। কিন্তু দলের পক্ষ থেকে লোকসভা নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালনে তাকে অনুরোধ করা হয়।