আরব নারীর প্রথম ম্যানবুকার জয়

প্রথমবারের মতো আরবের কোনো নারী লেখিকা ব্রিটেনের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ সাহিত্য পুরস্কার ম্যানবুকার পুরস্কার জিতেছেন। ওমানি লেখিকার নাম জোখা আলহারথি।

যে উপন্যাসের জন্য তিনি এই পুরস্কার পেয়েছেন সেটির নাম 'সেলেস্টিয়াল বডিস’। ওমানে সামাজিক পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে চেষ্টা করছে এমন তিন বোন এবং তাদের পরিবারকে নিয়ে উপন্যাসের কাহিনী।

বিচারকরা লেখিকার ঐশ্বর্যময় কল্পনাশক্তি, লেখার চিত্তাকর্ষক শৈলি এবং কাব্যিক অন্তর্দৃষ্টির প্রশংসা করেছেন।

জোখা আলহারথি ও তার বইয়ের মার্কিন অনুবাদক মারিলিন বুথের মধ্যে ৫০ হাজার পাউন্ডের পুরস্কারের অর্থ ভাগাভাগি হবে।

জোখা আলহারথি সাংবাদিকদের বলেন, ‘তিনি রোমাঞ্চিত বোধ করছেন এই ভেবে যে, সমৃদ্ধ আরব সংস্কৃতির জন্য একটি জানালা খুলে গেল।’

তিনি বলেন, এই লেখার অনুপ্রেরণা এসেছে তার নিজের দেশ ওমান থেকে। কিন্তু তিনি মনে করেন, আন্তর্জাতিক পাঠকরাও এই গল্পের যেটি মূল বিষয়- স্বাধীনতা এবং ভালোবাসার মতো মূল্যবোধের সঙ্গে নিজেদের জীবনের মিল দেখতে পাবেন।

বইটি প্রকাশ করেছে স্যান্ডস্টোন প্রেস, একটি নতুন প্রকাশনা সংস্থা। মাত্র চার জন পূর্ণকালীন কর্মী নিয়ে এই সংস্থা বছরে ২০ হতে ২৫টি বই প্রকাশ করে। ম্যানবুকার পুরস্কার তাদের প্রকাশনা সংস্থার জন্যও এক বিরাট সাফল্য।

বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'সেলেস্টিয়াল বডিজ' উপন্যাসের কাহিনী আবর্তিত হয়েছে আল-আওয়াফি গ্রামকে ঘিরে। একটি সনাতনী সমাজ থেকে ঔপনিবেশ উত্তর যুগে যে সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে যাচ্ছিল ওমান, তিন বোনের মাধ্যমে সেই পরিবর্তন দেখাতে চেয়েছেন লেখিকা। বিশেষ করে, মধ্যবিত্ত ওমানিরা কীভাবে এই পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করছেন।

‘এতে দাসপ্রথার বিষয়টি নিয়েও কথা রয়েছে। আমার মনে হয়, এই আলোচনার সবচেয়ে উত্তম জায়গা হচ্ছে সাহিত্য’, বলছেন আলহারথি।

উল্লেখ্য, ওমানের কোনো উপন্যাস এই প্রথম ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করা হলো।

জোখা আলহারথি পড়াশোনা করেছেন যুক্তরাজ্যের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

এর আগে তার আরও কিছু বই বেরিয়েছে। এর মধ্যে আছে দুটি ছোটগল্প সংকলন, একটি শিশুতোষ বই এবং তিনটি উপন্যাস।