জরিপ: পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি পেতে পারে ২০ আসন

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম তথা সর্বশেষ ধাপ শেষ হয়েছে আজ রোববার। আর ভোট শেষ হতে না হতেই শুরু হয়ে গেছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বুথ ফেরত সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ।

নির্বাচনের আগে অনেক সমীক্ষাতেই বিজেপি ভালো ফল করবে বলে ইঙ্গিত মিলেছিল। কিন্তু এতটা ভালো ফলের ইঙ্গিত ছিল না। যাবতীয় জল্পনাকে সরিয়ে ইন্ডিয়া টুডের সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে বেশি আসনে জয় পেতে পারে বিজেপি।

ওই রিপোর্ট দাবি, রাজ্যে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস পেতে পারে ১৯-২২টি আসন। অর্থাৎ গত লোকসভা নির্বাচনে জেতা ৩৪ থেকে অনেকটাই কমে যাবে তৃণমূলের আসন সংখ্যা। অন্যদিকে, বিজেপি ২ আসন থেকে বেড়ে পেতে পারে ১৯-২৩টি আসন। আর কংগ্রেসের আসন তিনটি কমে হতে পারে ১টি। বামেরা গত লোকসভা নির্বাচনে ২ আসনে জিতলেও এবার একটি আসনেও না জেতার সম্ভাবনা।

শুধু ইন্ডিয়া টুডে নয়, এখনও পর্যন্ত প্রকাশিত অন্যান্য সমীক্ষা রিপোর্টও বলছে, বিজেপি বাংলায় ভালো ফল করতে পারে। তবে কেউই বিজেপিকে ২০-র বেশি আসন দেয়নি।

বিভিন্ন সমীক্ষা রিপোর্টের মধ্যে এবিপি-এসি নিয়েলসেন বলছে, বাংলায় এবার তৃণমূল কংগ্রেস ২৪, বিজেপি ১৬, কংগ্রেস ২ এবং বাম শূন্য আসন পেতে পারে।

টাইমস নাউ-ভিএমআর বলছে, এ রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ২৮, বিজেপি ১১, কংগ্রেস ২ এবং বাম ১টি আসন পেতে পারে।

রিপাবলিকের জরিপ বলছে, তৃণমূল কংগ্রেস ২৯, বিজেপি ১১, কংগ্রেস ২টি এবং বামরা কোনো আসন পাবে না।

জন কী বাত তাদের জরিপের ফলাফলে বলেছে, তৃণমূল কংগ্রেস ১৭, বিজেপি ২২, কংগ্রেস ৩টি আসন পেতে পারে এবং বামরা কোনো আসন পাবে না।

দ্য ওয়াল তাদের প্রতিবেদনে বলছে, বুথ ফেরত সমীক্ষার ব্যাপারে একটা কথা পরিষ্কার জানিয়ে রাখা ভাল। তা হলো-এ ধরনের সমীক্ষা সব সময়ই যে সঠিক ফলাফল আন্দাজ করা যায় তা নয়। বুথ ফেরত সমীক্ষার সঙ্গে প্রকৃত ফলাফল মেলেনি এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে। তবে সমীক্ষা মিলতেও দেখা গেছে বেশ কয়েকবার।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বুথ ফেরত সমীক্ষা থেকে ভোট শতাংশের যে ইঙ্গিত পাওয়া যায় সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তা থেকে মোটামুটিভাবে একটা ট্রেন্ড বোঝা যায়। কিন্তু ভোট শতাংশ থেকে প্রকৃত সংখ্যা নির্ধারণ করার প্রক্রিয়া ত্রুটিমুক্ত নয়।

সেদিক থেকে উল্লেখযোগ্য হলো এখনও পর্যন্ত প্রকাশিত সমস্ত বুথ ফেরত সমীক্ষাই জানাচ্ছে, এনডিএ বেশ খানিকটা এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস জোট থেকে।

উল্লেখ্য, আগামী ২৩ মে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হবে। আর ওই দিনই জানা যাবে কে হচ্ছেন ভারতের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।