২০০ কিমি বেগে ভারতে আঘাত হেনেছে ‘ফণি’

আজ শুক্রবার বিকাল ৩টা নাগাদ ভারতের ওড়িশায় ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’ আছড়ে পড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল দেশটির আবহাওয়া দপ্তর। কিন্তু তার ৫-৬ ঘণ্টা আগেই ২০০ কিলোমিটার বেগে আজ সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে ওড়িশার পুরী উপকূলে আঘাত হেনেছে ফণি। ঘূর্ণিঝড় পূরীর পর আরেক সমুদ্রসৈকত শহর গোপালপুরেও আঘাত হেনেছে। তবে এখন পর্যন্ত প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

স্থানীয় একজন ফটো সাংবাদিক বলছিলেন, ঝড়ের মধ্যে অন্ধকার বাথরুমে ঢুকে পড়েছিলাম। পরে দেখলাম হোটেলের এক একটি অংশ ভেঙে পড়ছে। ভবনের কাঁচের জানালাগুলো ভেঙে পড়ছে, পুরো শহর বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। মনে হচ্ছে, সাগরের পানিতেই পুরো শহরটা তলিয়ে যাবে।

ভারতীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে ১২টার মধ্যে যেকোনো সময়ে পুরী সংলগ্ন গোপালপুরে ফণি আছড়ে পড়বে। এরপর পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশের দিকে চলে যেতে পারে। গত ২০ বছরের মধ্যে এ অঞ্চলে এটিই হচ্ছে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়। এর আগে ১৯৯৯ সালে এমন এক সুপার সাইক্লোনে প্রায় ১০ হাজার মানুষের প্রাণহানিসহ বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ওড়িশা সরকার আগেই উপকূলীয় এলাকার মানুষকে নিরাপদ ও উঁচু স্থানে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নিয়েছে। সেনাবাহিনী, নৌ ও বিমান বাহিনীসহ কোস্টগার্ড ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে।

প্রবল এ ঘূর্ণিঝড় থেকে বাঁচতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারগুলো। এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ঝুঁকিতে থাকা এলাকা থেকে ৮ লাখের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ বিকালে দিল্লিতে তিনি শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকেও বসছেন। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বসে নেই। তিনিও ঝড় মোকাবেলায় রাজ্য কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রস্তুতি নিয়েছেন।