জার্সি পরিবর্তনের অনুমতি দিলো আইসিসি

নতুন জার্সির বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে আইসিসি। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিবর্তিত জার্সি পরেই বিশ্বকাপ খেলতে যাবে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। ধানমণ্ডিতে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

পাপন বলেন, 'প্রথমে জার্সি নির্ধারণ করে আমাদের ওয়ার্কিং কমিটি নিয়মানুযায়ী আইসিসিতে পাঠিয়েছে। সেই জার্সিও ছিল সবুজ। তবে ব্যতিক্রম ছিলো জার্সির বুকে বাংলাদেশ লেখাটি এবং পেছনে নাম্বার ও খেলোয়াড়ের নাম ছিল লাল রঙে লেখা। তবে আইসিসি এই লাল নিয়ে আপত্তি জানায়। তাদের নির্দেশনা, লাল রঙয়ে নাম লেখা যাবে না। সাদা করতে হবে। পরে দেশের নাম, জার্সি নাম্বার এবং খেলোয়াড়ের নাম সাদা করে দিয়েছি। এমনটাই হচ্ছে নতুন জার্সি আর কিছু না।'

জার্সি পরিবর্তনের বিষয়ে পাপন বলেন, 'আমরা চেষ্টা করছি আগের লাল রঙয়ে নাম ও জার্সি নাম্বার লেখা ছিল সেটা কোনোভাবে অনুমোদন করানো যায় কি না। তবে এ ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা রয়েছে। যদি আইসিসি জার্সি বিক্রি করার জন্য অন্য কাউকে স্বত্ত্ব দিয়ে দেয় তবে সম্ভব নয়। আইসিসির কাছে জার্সি পরিবর্তনের বিষয়ে দুটি অপশন পাঠানো হয়েছিল। সেক্ষেত্রে আইসিসি আমাদের আশার আলো দেখিয়েছে। তারা জানিয়েছে, উই ক্যান চেঞ্জ (আমরা পরিবর্তন করতে পারি)। আইসিসির অনুমোদন পাওয়ার পরই নতুন ডিজাইনটা ঠিক করা হয়।'

বোর্ড সভাপতি বলেন, 'আইসিসির অনুমোদন পাওয়ার পর আমরা পুরনো লাল রঙয়ে লেখা ডিজাইনে যেতে পারতম। তবে আমরা নতুন কোনো জটিলতায় যেতে চাই না। আকরামকে (আকরাম খান) বলেছিলাম নতুন ডিজাইন চাই। আজ আমাকে এই ডিজাইনটা দেয়া হলো। অথ্যাৎ অ্যাওয়ে জার্সির সরাসরি উল্টোটা। বুকের ওপর লাল, তার ওপর সাদা রঙয়ে নাম লেখা। এছাড়া হাতায়ও কিছুটা লাল থাকবে। শুধু তাই নয়, ট্রাউজারেও সাইডে লাল স্ট্রাইপ থাকবে।

এর আগে, গতকাল এই জার্সি উন্মোচন করার পরেই সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভক্ত শুভানুধ্যায়ীদের দাবি, এই জার্সি পাকিস্তানের আদলে তৈরি করা হয়েছে। সমর্থকরা যে যেভাবে পেরেছেন এই জার্সি নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। পাশাপাশি দাবি করেন দ্রুত সময়ের মধ্যে এই জার্সির ডিজাইন পরিবর্তনের। ব্যপক সমালোচনার মুখে সোমবার মধ্যরাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে কথা বলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সেখানে তিনি সবুজ জার্সি বদলে ফেলার কথা জানান।