৭৫ ভাগ মসজিদ ধ্বংস করে ফেলেছে ইসরায়েল!

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার প্রায় ৭৫ ভাগ মসজিদ ধ্বংস করেছে ইসরায়েল। দেশটির আক্রমণে গত ৫১ দিনে ৭৩টি মসজিদ পুরোপুরি ধ্বংস এবং ২০৫টি মসজিদ আংশিক ধ্বংস হয়ে গেছে। ফিলিস্তিনের হযরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম মসজিদ বন্ধ করে দেয়ার পর এ তথ্য সামনে এলো।

মিডল ইস্ট মিররের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিন ইকোনোমিক কাউন্সিল ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কন্সট্রাকশনের (পিইসিডিসি) একটি কমিটি গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ক্ষয়ক্ষতির একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে। তাতে দেখা যায়, মসজিদ, স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান এবং দাতব্য কার্যালয় ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় প্রায় ৪০.৪ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে।

ইসরায়েলি হামলায় যেসব মসজিদ ধ্বংস হয়েছে তার মধ্যে বিখ্যাত মসজিদ আল-ওমরিও রয়েছে। শুধু তাই নয়, দুটি গির্জাসহ ১০টি সমাধিস্থলও সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে।

জানা গেছে, ২০০৮ ও ২০০৯ সালে হামরায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া মসজিদটি ২০১৯ সালের হামলায় পুরোপুরি ধ্বংস করে হয়ে যায়। এছাড়া হযরত আমর ইবনুল আস (রা:) এর আমলে নির্মিত ১৩৬৫ বছরের প্রাচীন একটি মসজিদ মানারাত আল-জাহেরও ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ৩ হাজার বর্গমিটারের মসজিদটিতে একসঙ্গে প্রায় ২০০০ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারতেন।

বিভিন্ন পরিসংখ্যান বলছে, ২০০৮ ও ২০০৯ সালের চেয়ে ২০১৯ সালে প্রায় তিন গুণ বেশি ইসরায়েলি আক্রমণের শিকার হচ্ছে ফিলিস্তিনিরা। এ সব আক্রমণের উল্লেখযোগ্য লক্ষ্যবস্তু ছিল গাজার মসজিদগুলো।

এদিকে ইসরায়েলি আক্রমণে ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত মসজিদগুলো পুনঃর্নিমাণের উদ্যোগ নিয়েছে ফিলিস্তিনের মসজদি কর্তৃপক্ষ। এতে সহায়তা করার জন্য বিভিন্ন মুসলিম দেশ ও ব্যক্তির প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। সেইসঙ্গে এরইমধ্যে যারা সহায়তা করেছেন, তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতাও জানানো হয়েছে।