গোলান নিয়ে ট্রাম্পের ঘোষণাকে সমর্থন দেবে না ইইউ

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মোগেরিনি বলেছেন, দখলকৃত গোলান মালভূমির ইসরায়েলের সার্বভৌমত্বের যে স্বীকৃতি আমেরিকা দিয়েছে, তাকে সমর্থন দেবে না ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

ইইউ পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে মোগেরিনি বলেন, অধিকৃত গোলান মালভূমির ওপর ইসরায়েলের মালিকানা স্বীকৃতি দেয়ার মার্কিন পদক্ষেপ ইউরোপ কখনোই মেনে নেবে না।

প্রসঙ্গত, ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় সিরিয়ার গোলান মালভূমির দুই-তৃতীয়াংশ দখল করে নেয় ইসরায়েল। কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তার কোনো স্বীকৃতি দেয়নি।
কিন্তু আন্তর্জাতিক আইনকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে গত ২৫ মার্চ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড দখলকৃত গোলানের ওপর ইসরায়েলের মালিকানার স্বীকৃতি দেন।

ট্রাম্পের ওই স্বীকৃতির কয়েক দিন পরই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পার্লামেন্ট নির্বাচনের আগে ঘোষণা করেন যে, তিনি নির্বাচিত হলে পশ্চিম তীরের অবৈধ ইহুদি বসতিগুলোকে ইসরায়েলি সীমান্তের অন্তর্ভুক্ত করবেন। ইতোমধ্যে তিনি নির্বাচিতও হয়েছেন।

স্বাভাবিকভাবেই শঙ্কা দেখা দিয়েছে যে, নেতানিয়াহু পশ্চিম তীরের ওপর মালিকানা চাইলে আবারো আন্তর্জাতিক আইন-কানুনকে উপেক্ষা করে তাতে স্বীকৃতি দিতে পারেন ট্রাম্প।

ইরানি গণমাধ্যম পার্সটুডে বলছে, ইউরোপের শীর্ষ কর্মকর্তা মোগেরিনি বলেন, ১৯৬৭ সালে অনুমোদিত জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ২৪২ নম্বর প্রস্তাব এবং ১৯৮১ সালে অনুমোদিত ৪৯৭ নম্বর প্রস্তাবে গোলান মালভূমিকে সিরিয়ার অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। ইউরোপ এই আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলবে।

একই সঙ্গে জর্দান নদীর পশ্চিম তীরে যেকোনো ধরনের নির্মাণ কাজকে আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ উল্লেখ করে মোগেরিনি তা না করার জন্য ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানান।