তবুও সৌম্য কেন, ইমরুল কেন নয়

২, ১, ১৪, ১০, ১২; শেষ পাঁচ ম্যাচে সৌম্য সরকারের পাঁচটি ইনিংস। শুধু সর্বশেষ পাঁচ ইনিংসে নয়, আবাহনী লিমিটেডের হয়ে চলতি প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে শুরু থেকেই অফ ফর্মে সৌম্য। জাতীয় দলের হয়ে পারফরম্যান্সের নাজেহাল অবস্থা আরও বেশি।

গত নিউজিল্যান্ড সিরিজে টেস্টে একটা ইনিংস বাদ দিলে পুরোপুরি ফ্লপ ছিলেন সৌম্য। নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন গত উইন্ডিজ সফরে। গত বিপিএলেও যাচ্ছেতাই। তাছাড়া ইংল্যান্ডের মাটিতে অনুষ্ঠিত গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও ব্যর্থ ছিলেন তরুণ ওপেনার। সব মিলিয়ে সৌম্যকে বিশ্বকাপ খেলতে নিয়ে না যাওয়ার পক্ষে কথা বলছিলেন অনেকেই। কিন্তু বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেয়েছেন তরুণ ওপেনার।

সৌম্যর মতো অতোটা বাজে অবস্থায় না থাকলেও অপর তরুণ ওপেনার লিটন কুমার দাসও অনেকদিন ধরে প্রত্যাশামতো পারফর্ম করতে পারছেন না। কিন্তু সৌম্য-লিটন দুজনকেই রাখা হয়েছে বিশ্বকাপ দলে।

অনুমিতভাবেই বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। কারণ অফ ফর্মে থাকা সৌম্যদের জায়গা করে দিতে যে দলের বাইরে রাখা হয়েছে অভিজ্ঞ ইমরুল কায়েসকে।
দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে হঠাৎ ডাক পেয়ে তাক লাগানো পারফরম্যন্স দেখিয়েছিলেন ইমরুল। তিন ম্যাচের সিরিজে তার তিনটি ইনিংস ছিল যথাক্রমে ১৪৪, ৯০, ১১৫। তারপর উইন্ডিজ সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডেতে ভালো করতে না পারাতে দল থেকে বাদ পড়েছিলেন। তবে চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে বেশ ভালো রান করেছেন। গত বিপিএলেও রান পেয়েছেন ইমরুল।

তাছাড়া অভিজ্ঞতায় সৌম্য-লিটনের চেয়ে ছিলেন অনেক এগিয়ে। তামিম ইকবালের সঙ্গে টপ অর্ডারে তার জমেও বেশ। তারপরও তাকে না নিয়ে কেন সৌম্য-লিটন দুজনকেই বিশ্বকাপে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত?

এই প্রশ্নের উত্তর প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু দিলেন এইভাবে, ‘সাম্প্রতিক সময়ে সৌম্য ও লিটন হয়তো খুব একটা ফর্মে নেই। তবে তারা দুজন কিন্তু প্রমাণ করেছে যে তারা বড় মঞ্চে কার্যকরী ইনিংস খেলতে পারদর্শী। অতীতে তারা অনেক কার্যকরী ইনিংস খেলে দেখিয়েছে। আমাদের বিশ্বাস বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে তারা পুনরায় নিজেদের মেলে ধরতে পারবে।’