আমির খানের উপর প্রতিশোধ নিল বিজেপি

কিছুদিন আগে ভারতে চলমান বিতর্কিত ইস্যু অসহিষ্ণুতা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন বলিউডের শীর্ষ নায়ক আমির খান। সে জন্যই কিছু কৌশল অবলম্বন করে ভারত সরকার প্রচারাভিযান ‘ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া’ থেকে বাদ দিয়েছে এ অভিনেতাকে। যদিও সরকার বলছে চুক্তির মেয়াদ না থাকাতেই নিয়ম অনুযায়ী বাদ পড়েছেন আমির খান। কিন্তু বাদ দেয়ার আসল রহস্য দেশটিতে কারো কাছেই অজানা নয়।

গতকাল সন্ধায় দেশটির কেন্দ্রীয় পর্যটন ও সংস্কৃতি মন্ত্রী মহেশ শর্মা ভারতীয় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে আমির খানকে ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া থেকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদে কাছে বলেন, 'প্রচারণার জন্য একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল। ওই সংস্থাই আমির খানকে বিজ্ঞাপনটিতে অংশগ্রহণ করার জন্য চুক্তি করে নিয়ে আসে। এখন বিজ্ঞাপনী সংস্থার সঙ্গে আমাদের চুক্তি শেষ তাই স্বাভাবিকভাবে আমির খানের সঙ্গেও আমাদের এ ব্যাপারে আর কোন সম্পর্ক নেই।'

তবে আমির খানকে পর্যটন দফতরের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে রাখা হচ্ছে কি না এ প্রশ্ন করলে তার উত্তরে এ ধরনের কোন সম্ভাবনা নেই বলেও সাফ সাফ জানিয়ে দেন মহেশ শর্মা।

আমির খানের সাথে এ ধরনের আচরণ ভারতের তরুণ প্রজন্ম খুব একটা ভাল চোখে দেখছে না। বিষয়টি অনলাইন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে বেশ বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এ বিষয়ে বিজেপি’র আইটি, ওয়েবসাইট এবং সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে থাকা অমিত ‘ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া’-র ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে থাকা আমির খানকে সরানো হল বলে একটি টুইট করার পরই বিতর্কের ঝড় ওঠে অনলাইনে।

তারপর থেকেই বিভিন্ন চ্যানেলে গুরুত্বের সাথে খবরটি প্রকাশ করতে থাকায় বিতর্কের মুখে পড়ে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। ভারতের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা মনে করছেন, সর্বশেষ এ ঘটনার মাধ্যমে সরকার আমির খানের উপর অঘোষিত প্রতিশোধই নিলো।

আপনি আরো পড়তে পারেন 

২০১৭ -এর মার্চ মাসে ক্ষমতা ছাড়বেন আসাদ?

এস কে শিন্ডে: বিজেপি ক্ষমতায় এলেই সন্ত্রাস বেড়ে যায়

উ. কোরিয়ার হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষায় রাশিয়ার নিন্দা