ভারতের এমন জয়ের ‘কলকাঠি’ নেড়েছেন ধোনি!

জয়ের জন্য শেষ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল ১১ রান। হাতে দুই উইকেট থাকলেও অজিদের দিকেই তখন জয়ের পাল্লা হেলে ছিল। দুর্দান্ত ব্যাটিং করতে থাকা মার্কাস স্টোনিস যে ছিলেন স্ট্রাইক প্রান্তে। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে বিজয় শঙ্করের হাতে বল তুলে দেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি।

যিনি কিনা ম্যাচে তখন পর্যন্ত বোলিং করেছিলেন মাত্র এক ওভার, রান দিয়েছেন ১৩টি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও একেবারে নতুন এই অলরাউন্ডার। কিন্তু সেই বিজয় তিন বলেই জিতিয়ে দিলেন ভারতকে। প্রথম বলেই স্টোনিসকে ফিরিয়েছেন। এক বল পর অ্যাডাম জাম্বাকে ফিরিয়ে কাল ভারতীয়দের বিজয় আনন্দে মাতিয়েছেন শঙ্কর। এই আনন্দের উপলক্ষ্য তৈরি করতে পেছন থেকে কলকাঠি নেড়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি।

শেষ তিন ওভারের সমীকরণ ছিল জিততে হলে অস্ট্রেলিয়ার দরকার ২১ রান। এদিকে, ততোক্ষণে কুলদ্বীপ যাদব ও রবীন্দ্র জাদেজার কোটার দশ ওভার শেষ। জাসপ্রিত বুমরাহ ও মোহাম্মদ শামির একটি করে ওভার বাকি ছিল। অর্থাৎ একটি ওভার অনিয়মমিত বোলার দিয়ে করাতেই হতো।

এমন সময় ধোনির পরামর্শ ছিল অনিয়মিত বোলারকে দিয়ে আগে বোলিং করানো যাবে না। স্টোনিসরা অনিয়মিত বোলারকে পেয়ে বেশি রান তুলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারে। সেক্ষেত্রে নিয়মিত বোলারদের দিয়ে বোলিং করিয়ে তাদের ওপর আরও চাপ বাড়াতে হবে। যাতে শেষ ওভারে চাপে পড়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলে অজিরা।

এই পরামর্শ মতোই কাজ করেছেন কোহলি, আর তাতেই সফলতা। বুমরাহ ও সামি তাদের ওভারে অজিদের আরও চাপে রেখেছেন। শেষ ওভারে তাই অনিয়মিত বিজয় শঙ্করকেও ঠিকভাবে খেলতে পারেননি সফরকারীরা।

ম্যাচ শেষে ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি ঘটনাটি নিজেই জানিয়েছেন। কোহলি জানিয়েছেন, ওই মুহূর্তে ধোনির পরামর্শ নিতে গিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে সহ-অধিনায়ক রোহিত শর্মাও ছিলেন।

কোহলি বলেন, ‘মনে করেছিলাম বিজয়কে দিয়ে আগেই একটা ওভার করিয়ে নেব। কিন্তু রোহিত এবং মাহির (মহেন্দ্র সিং ধোনি) সঙ্গে কথা বলে বিজয়কে শেষ ওভারের জন্য রেখে দিই। তার আগে সামি ও বুমরাহ চাপটা ধরে রাখুক এমনটা চেয়েছিলাম। সেটা ওরা করেছেও, আর শেষ ওভারটা বিজয় তো দুর্দান্ত করল।’