উইঘুর মুসলিম নির্যাতন, জাতিসংঘে তুরস্কের উদ্বেগ

চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর ও অন্যান্য মুসলমানদের ওপর রাষ্ট্রীয় দমনপীড়ন নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তুরস্ক। সেইসঙ্গে ওই অঞ্চলের মুসলমানদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সাংস্কৃতিক পরিচিতি রক্ষায় বেইজিংয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আঙ্কারা।

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ৪৭ সদস্যবিশিষ্ট মানবাধিকার কমিশনের চার সপ্তাহব্যাপী বার্ষিক সম্মেলনের প্রথম দিন সোমবার এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত ক্যাভুসোগ্লু।

জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন ও গণমাধ্যমগুলো তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করে বলে আসছে, চীন জিনজিয়াংয়ে ১০ লাখের বেশি উইঘুর ও অন্যান্য মুসলিম সম্প্রদায়ের লোককে বন্দি শিবিরে আটকে রেখে ব্যাপক নির্যাতন চালাচ্ছে। কিন্তু বেইজিং তা অস্বীকার করে আসছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী চীনা মুসলিমদের গণক্যাম্পে বন্দি করে রাখার কথা উল্লেখ করেননি। তবে তিনি বলেছেন, জিনজিয়াংয়ে উইঘুর ও অন্যান্য মুসলমানদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের খবর ব্যাপক উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জিনজিয়াং থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালিয়ে যাওয়া উইঘুর মুসলমানরা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কাছে নির্যাতনের ভয়ংকর চিত্র বর্ণনা করে অভিযোগ করেছেন, চীনা কর্তৃপক্ষ তাদের ক্যাম্পে বন্দি করে রেখেছে। সেখানে তাদের ওপর অমানষিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে যাতে তারা আল্লাহর আনুগত্য ছেড়ে দেশটির কমিউনিস্ট শাসনের আনুগত্য করে।

কিন্তু বেইজিং বলছে, তারা পিছিয়ে পড়া ওই জনগোষ্ঠীকে পুনঃশিক্ষণের মাধ্যমে কারিগরি শিক্ষা দিয়ে সমাজের মূল ধারায় আনার চেষ্টা করছে। তবে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা ওই অঞ্চল পরিদর্শন করতে চাইলে তাদের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।

ক্যাভুসোগ্লু বলেন, ‘সন্ত্রাসী ও নিরপরাধ মানুষের’ মধ্যে একটি সুনির্দিষ্ট পার্থক্য থাকা উচিত।