ভারতকে কাঁদিয়ে কাঁদতে বসেছিল অস্ট্রেলিয়াও

জয়ের জন্য শেষ দুই ওভারে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ১৬ রান, হাতে পাঁচ উইকেট। ক্রিজে ছিলেন সেট ব্যাটসম্যান পিটার হ্যান্ডসকম্ব। অস্ট্রেলিয়া জিতবে না, ভারতীয় সমর্থকদেরও তখন এই কথা ভাবার সুযোগ নেই। লো-স্কোরিং এই ম্যাচে রোমাঞ্চ ছড়িয়েছে কয়েক দফায়। তবে শেষ পর্যন্ত জিতেছে অস্ট্রেলিয়াই।

১৯তম ওভারের শেষ দুই বলে দুই উইকেট হারাল অস্ট্রেলিয়া। সেট ব্যাটসম্যান পিটার হ্যান্ডসকম্ব আর কুটার-নেইলকে ফেরান জাসপ্রিত বুমরাহ। ভারতীয় পেসার ওই ওভারে রান দিলেন মাত্র ২টি। ম্যাচ হঠাৎ ঘুরে যায় ভারতের দিকে। শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৪, উইকেটে দুই পেসার প্যাট কামিন্স ও রিচার্ডসন ছিলেন বলে ভারতীয়দের সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই দেখা যাচ্ছিল।

কিন্তু উমেশ যাদবের তালগোল পাকানো বোলিংয়ে শেষ বলে গিয়ে অষ্ট্রেলিয়া নাটকীয় জয় পেল। শেষ বলে অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল দুই রান। উমেশ যাদবের করা বলটিতে প্যাট কামিন্স যেভাবে দুই রান নিয়ে নিলেন তাতে ভারতের বাজে ফিল্ডিংই বড় ভুমিকা রাখলো। ফলে তিন উইকেটের জয় নিশ্চিত করলো অস্ট্রেলিয়া। অজিদের পক্ষে সর্বোচ্চ স্কোরার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ৪৩ বল খেলে ৫৬ রান করেছেন এই আজি তারকা।

এই হারের জন্য উমেশের বাজে বোলিংয়ের পাশাপাশি ভারতের ব্যাটসম্যানদেরকেও দোষাবেন সমর্থকরা। এই তো কিছুদিন আগে অস্ট্রেলিয়াকে তাদের মাটিতে সিরিজ হারিয়ে এলো ভারত। টেস্ট ওয়ানডে দুটোই জেতার পাশাপাশি টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ড্র করেছিল বিরাট কোহলির ভারত। নিউজিল্যান্ডে এসেও সহজে জিতেছে উড়তে থাকা কোহলির দল। সেই দলটা দেশের মাটিতে খেলতে নামলে রান উৎসব হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বিশাখাপট্টনামে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের কাঁদিয়ে ছাড়লেন অস্ট্রেলিয়ান বোলাররা।

দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে কোহলির দল মাত্র ১২৬ রান তুলতে পেরেছিল। অনেক দিন ধরে অফ ফর্মে থাকা লোকেশ রাহুলই কেবল দাঁড়াতে পেরেছেন। ৩৬ বলে ঠিক ৫০ রান করেছেন রাহুল। নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ১২৬ রান তোলে ভারত।