দুর্দান্ত জয়ে সমতায় ক্যারিবীয়রা

আগের ম্যাচে বিধ্বংসী এক সেঞ্চুরি করেও দলকে জেতাতে পারেননি ক্রিস গেইল। শুক্রবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঠিকই ২৬ রানের দুর্দান্ত জয়ে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতায় ফিরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এদিন গেইল নয়, ব্রিজটাউনে সেঞ্চুরি করে নায়ক বনে গেছেন শিমরন হেটমায়ার।

মিডল অর্ডারের এই ব্যাটসম্যানের বিধ্বংসী শতকের ওপর দাঁড়িয়ে নির্ধারিত ওভারে ছয় উইকেটে ২৮৯ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ তুলে ক্যারিবীয়রা। জবাব দিতে নেমে ক্যারিবীয়দের বোলিং তোপে ইনিংসের ১৪ বল বাকি থাকতেই ২৬৩ রানে গুটিয়ে গেছে ইংল্যান্ড।

অথচ প্রথম ওয়ানডেতে ৩৬১ রানের লক্ষ্যমাত্রায় ইংলিশরা পৌঁছে গিয়েছিল ছয় উইকেট হাতে রেখেই! সেই একই মাঠ ব্রিজটাউনে কাল রান তোলার জন্য কী সংগ্রামটাই না করতে হলো সফরকারী ইংল্যান্ডকে। ২৫ ফেব্রুয়ারি সেন্ট জর্জে তৃতীয় ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে।

শুক্রবার টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা মন্দ হয়নি। উদ্বোধনী জুটিতে ৬১ রান করার পর ক্যারিবীয় টপ অর্ডারের প্রায়সব ব্যাটসম্যান আউট হয়েছেন উইকেটে থিতু হয়ে। এদের মধ্যে ৫০ রান করেছেন ক্রিস গেইল। জন ক্যাম্পবেল (২৩), শাই হোপ (৩৩) ও ডারেন ব্রাভো (২৫) তাদের ইনিংস লম্বা করতে পারেননি।

সেই দুঃখ ভুলিয়ে দিয়েছেন পাঁচে ব্যাট করতে নামা হেটমায়ার। ৮৩ বলে ১০৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন তিনি। ইনিংসে সাতটি চার ও চারটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন হেটমায়ার। তার দুর্দান্ত এই সেঞ্চুরির সুবাদে তিন শর কাছাকাছি চলে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

২৯০ রানের কঠিন লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ইংল্যান্ড। ১০ রানের মধ্যে ফিরে যান দুই ওপেনার জেসন রয় ও জনি বেয়ারস্টো। ৬০ রানে দলের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেব আউট হন জো রুট। ফেরার আগে ৪০ বলে ৩৬ রান করেছেন প্রথম ওয়ানডের সেঞ্চুরিয়ান।

এরপর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক ইয়ন মরগান ও বেন স্টোকস। এই দুজনের ব্যাটে একটা পর্যায়ে জয়ের স্বপ্নও দেখছিল ইংলিশরা। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৯৯ রান রান যোগ করেন মরগান-স্টোকস। পাঁচটি চার ও তিন ছক্কায় ৭০ রানে আউট হয়েছেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক।

তবে মরগান ফিরে গেলেও আশার প্রদীপ হয়ে টিকে থাকলেন স্টোকস। শতকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন তিনিও। কিন্তু পারেননি। সাতটি চার ও দুই ছক্কার সুবাদে ৭৯ রান করেছেন ইংলিশ অলরাউন্ডার। ২২৮ রানে দলের পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে স্টোকস আউট হতেই ম্যাচের নাটাই চলে যায় ক্যারিবীয়দের হাতে।

শুরুর মতো পুনরায় ধুঁকতে থাকে ইংল্যান্ড। ৩৪ রান করা জস বাটলার শেষ ভরসা হয়েও সুন্দর সমাপ্তি টানতে পারেননি। শেষ দিকে মঈন আলির ১২ ও আদিল রশিদ ১৫ রান ইংলিশদের হারের ব্যবধান শুধু কমিয়েছে মাত্র। পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে ইংল্যান্ডের টপ ও লোয়ার অর্ডার গুঁড়িয়ে দিয়েছেন শেলডন কটরেল। তিন উইকেট তুলে নিয়ে সফরকারীদের মিডল অর্ডারে ধস নামিয়েছেন জেসন রয়।