রাজি করানো হলো হাফিজ- আজহারকে

অবশেষে পাকিস্তান জাতীয় দলের ফিটনেস ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করতে রাজি করানো হলো মোহাম্মদ হাফিজ ও আজহার আলিকে। পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিটনেস ক্যাম্পে ডাক পাওয়া মোহাম্মদ আমির থাকায় তারা দলে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।

হাফিজ ও আজহারের দলে যোগ দেয়ার খবর সংবাদ মাধ্যমকে দিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) প্রেসিডেন্ট শাহরিয়ার খান।

সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, 'তারা উভয়েই আমার সাথে দেখা করেছে এবং দলের যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা যে বিষয়ে চিন্তিত ছিলো, আমি তার প্রতি সম্মান জানাই। কিন্তু তাদের সিদ্ধান্তের কিছু বিষয় অগ্রহণযোগ্য ছিলো।'

খান জানান, হাফিজ ও আজহারকে পরে পিসিবি বুঝিয়ে বলেছে। এরপরই 'নিঃশর্তে' জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।

২০১০ সালে ইংর‍্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডস টেস্টে স্পট ফিক্সিং করেন আমির। এ কারণে তাকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করে আইসিসি। সেই নিষেধাজ্ঞা কাটি এ বছরের প্রথম দিকে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফেরার অনুমতি পান তিনি।

সেপ্টেম্বরের এক তারিখে উঠে যায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার নিষেধাজ্ঞাও। এরপর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে ভালো পারফর্ম করে জাতীয় দলে ফের ডাক পাওয়ার দাবি জোরালো করে তুলেন আমির।

বিপিএলের পরপরই নতুন মৌসুম শুরু করার আগে ২৬জন সদস্যকে নিয়ে ফিটনেস ক্যাম্পের আয়োজন করে পিসিবি। সেই ক্যাম্পে ডাক পেয়ে যান আমিরও। কিন্তু বিপত্তি বাধে হাফিজ ও আজহারকে নিয়ে। তারা আমিরের অন্ধকার অতীতের কথা উল্লেখ করে তার সাথে এক দলে খেলতে অস্বীকৃতি জানান।

প্রসঙ্গটি টেনে এনে শাহরিয়ার খান বলেন, 'আমরা হাফিজ ও আজহারকে বুঝিয়েছি। আমিরকে কেবল ফিটনেস ক্যাম্পে নেয়া হয়েছে। তাকে জাতীয় দলে নেয়া হয়নি। যদি হয়ও, সেটা মেনে এই দুজনের উচিত আমিরের পাশে দাঁড়ানো। আজহার অধিনায়ক আর হাফিজ দলের অন্যতম সিনিয়র খেলোয়াড়। তাদের উচিত, পুরো দলকে এক পরিবারের মতো মনে করা।'

এ দিকে ক্যাম্পে যোগ দিতে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানানোর পর সংবাদ মাধ্যমের সামনে হাফিজ বলেন, 'যে দেশের গৌরব ও সম্মান নষ্ট করেছে, তার কোনো দ্বিতীয় সুযোগ থাকতে পারে না। আমার এই সিদ্ধান্তের প্রতি আমি চিরকালই সুদৃঢ় থাকবো।'

তিনি আরো বলেন, 'পাকিস্তান ক্রিকেটের স্বার্থের কথা বলে বোর্ড প্রধান আমার সাথে কথা বলেছেন। এ জন্য আমি খুশি। আমি জানি যে, আমি একজন সাধারণ খেলোয়াড়। তারপরও আমি আমার প্রতিভা কাউকে দেখানোর প্রয়োজন মনে করি না। ক্রিকেট আমার শখের জায়গা। আমি পাকিস্তানের জন্য কিছু করতে পারলে খুশি হবো।'

আপনি আরো পড়তে পারেন

নিষেধাজ্ঞার শঙ্কায় নতুন ‘জয়সুরিয়া’

আমির কাঁদলেন, জড়িয়ে ধরলেন হাফিজ-আজহার!

২০১৫ সালটা ভুলতে দিবেন না মুস্তাফিজ