সেঞ্চুরিয়ান সাব্বিরে বিরক্ত মাশরাফি

দলীয় ২ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট হারানো বাংলাদেশের স্কোর যখন ৪০/৪, তখন ক্রিজে গিয়েছিলেন সাব্বির রহমান। ৩৩০ রানের জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশ তখন রীতিমতো ধুঁকছে। নিউজিল্যান্ডের পেসের সাথে তাল মেলাতে না পেরে কিছুক্ষণ পর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকেও ফিরে যেতে দেখেছেন। এমন পরিস্থিতিতে ধরে খেলাই স্বাভাবিক।

কিন্তু সাব্বির রহমান বেছে নিলেন প্রতি আক্রমণের পথ। যে টিম সাউদির পেসে ছাড়খার বাংলাদেশের টপ অর্ডার সেই সাউদিকে একের পর এক সীমানা ছাড়া করতে লাগলেন। কিউই পেসের বিপক্ষে গুটিয়ে না থেকে দাপট দেখিয়ে ব্যাটিং করেছেন। তাতেই বাজিমাত, আজ ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটা পেয়ে গেছেন সাব্বির।

বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তে সাব্বিরের এমন সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবাই খুশি। সবচেয়ে বেশি খুশি হয়তো মাশরাফি বিন মর্তুজা। নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও মাশরাফিই যে নিজ দায়িত্বে সাব্বিরকে দলে ঢুকিয়ে দিলেন! এ নিয়ে কম কথা হজম করতে হয়নি ওয়ানডে অধিনায়ককে। আজ সাব্বির সেঞ্চুরি করাতে তার খুশি হওয়ারই কথা।

তবে সেটা প্রকাশ না করে তরুণ ক্রিকেটারকে শাসালেন মাশরাফি। অবশ্য সাব্বির নিজের দোষেই বকা খেয়েছেন অধিনায়কের কাছ থেকে। সেঞ্চুরি করার পর সাব্বিরের উদযাপনে ছিল ভিন্ন কিছুর ইঙ্গিত। আমার ব্যাট কথা বলতে জানে, সমালোচকরা চুপ থাকো-উদযাপন দেখে মনে হচ্ছিল এমন কিছু একটা বুঝাতে চাচ্ছেন সাব্বির।

বিষয়টি পছন্দ হয়নি মাশরাফির। ম্যাচ শেষে বিষয়টি নিয়ে সাব্বিরকে নাকি জিজ্ঞেসও করেছেন তিনি। ওয়ানডে অধিনায়ক বলেন, ‘ওকে জিজ্ঞেস করলে ও বলেছে, আমি বলতে চেষ্টা করেছি, আমার ব্যাট অনেক দিন পর কথা বলেছে।’

কিন্তু আসলে যে তা নয় সেটা মাশরাফি ভালোই বুঝেছেন। কারণ ওয়ানডে অধিনায়ক তারপরই বলেছেন, ‘ভবিষ্যতে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে শিখতে হবে।’

সাব্বিরকে শুভ কামনাও জানিয়েছেন মাশরাফি, ‘আমি আশা করি, ও যা করেছে, তা এই সিরিজেই থেমে থাকবে না। সামনে আমাদের অনেক খেলা। ও এমন আরও অনেক পারফরম্যান্স করবে।’