‘সুবিধা’ এখন বাংলাদেশের জন্য বড় অসুবিধা!

নিউজিল্যান্ডের উইকেট এমনিতেই অনেক গতিময়। তার উপরে দলটিতে ট্রেন্ট বোল্ট, লকি ফার্গুসনের মতো দ্রুতগতির পেসার। ফার্গুসন নিয়মিত ১৪০ বেগে বোলিং করতে পারেন। বোল্টও নিয়মিত ১৩৫ এর বেশি বেগে বোলিং করে থাকেন। নিউজিল্যান্ড সফরের আগে এই গতিই বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বেশি চিন্তার বিষয় ছিল।

ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে এতে ভুগেছেও বাংলাদেশ। দুই ম্যাচের কোনটিতেই সংগ্রহ আড়াইশ’তে নিতে পারেনি মাশরাফির দল। বেশিরভাগ ব্যাটসম্যানই গতির তোপে সুবিধা করতে পারেননি। এসবের মধ্যে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডের আগে উইকেট বিষয়ে সুখবর খুঁজছেন অনেকে।

সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেটা অনুষ্ঠিত হবে ডানেডিনে। ব্যাটসম্যানদের জন্য এই মাঠ বরাবরই বন্ধুসুলভ। বোলাররা বাড়তি বাউন্স বা সুইং পায় না এখানে। রানের বন্যা বইয়ে যায় বরাবরই। সেই কারণেই কারো কারো মনে স্বস্তি।

তৃতীয় ওয়ানডের আগে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা বললেন, ‘যতটুকু জানি ডানেডিনের উইকেট ব্যাট করার জন্য খুব ভালো। এখানে আমরা টেস্ট খেলেছি আগে। সেখানে আমরা ভালো ব্যাট করেছি, যদিও সেটা টেস্ট ছিল। আমার মনে হয় এখানে নিউজিল্যান্ড ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৪০ রান তাড়া করে জিতে গিয়েছিল ৪৫ ওভারেই (মূল তথ্য: ৩৩৫ রান তাড়া করে জেতে ৫০ ওভারে)। আশা করছি দারুণ ব্যাটিং উইকেট হবে। এটা মাথায় রেখে ভালো পরিকল্পনা করব।'

প্রশ্ন হচ্ছে বোলাররা বাড়তি সুবিধা না পেলে বা ব্যাটিং সহায়ক উইকেট হলে বাংলাদেশের লাভ কী তাতে? এই সুবিধা কাজে লাগিয়ে রান তোলার মতো ব্যাটসম্যান কই বাংলাদেশের একাদশে! বলা যায় এই সুবিধাই বাংলাদেশের জন্য এখন অসুবিধা।

সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পক্ষে যা একটু ব্যাটিং ক্ষমতা দেখাতে পেরেছেন সেই মোহাম্মদ মিঠুন থাকছেন না তৃতীয় ওয়ানডেতে। চোটের কারণে সিরিজের শেষ ম্যাচটা খেলা হচ্ছে না মিঠুনের। পাজরের ব্যথা বেড়ে যাওয়ার কারণে শঙ্কা আছে মিডল অর্ডারের নির্ভরযোগ্য মুশফিকুর রহিমের খেলা নিয়েও।

এই মুহূর্তে নিউজিল্যান্ডে এই দুইজনের বদলিও নেই। বাংলাদেশের এখন মাত্র একজন ব্যাটসম্যানই আছেন নিউজিল্যান্ডে, মুমিনুল হক। যিনি কিনা আবার ওয়ানডে স্কোয়াডে নেই, টেস্ট স্কোয়াডে আছে তার নাম। তারপরও হয়তো মিঠুনের জায়গায় মুমিনুলকে নামিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু মুশফিকও না খেলতে পারলে তার বদলে খেলার মতো লোক কই! শোনা যাচ্ছে, মুশফিকের বদলে নাকি পেসার রুবেল হোসেনকে একাদশে ডাকা হতে পারে।

তাহলে ডানেডিনের কন্ডিশন বাংলাদেশের জন্য অসুবিধাই তো। ব্যাটিং উইকেট হলে বড় স্কোরের জন্য একাদশে বেশি ব্যাটিং রাখা হয়। কিন্তু বাংলাদেশকে কিনা বাধ্য হয়ে একাদশে আনতে হচ্ছে একজন বাড়তি বোলার!