ভারতীয় সেনাবহরে হামলার আগে কী বলেছিল আদিল?

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের পুলওয়ামারের অবন্তিপোরায় গতকাল বৃহস্পতিবার সেনাবহরে যে হামলা হয়েছে তাতে সর্বশেষ খবর পর্যন্ত ৪৪ জন সেনা সদস্য নিহত হয়েছে।

হামলার দায় স্বীকার করেছে জইশ-ই-মুহম্মদ নামের একটি সংগঠন। এমনকি তারা হামলার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে বলে দাবি করছে ভারতীয় গণমাধ্যম।

খবরে বলা হয়েছে, অন্যতম হামলাকারী হিসেবে উঠে এসেছে আদিল হুসেন দার ওরফে ওয়াক্কাস নামে এক যুবকের নাম। হামলার পর সংগঠনটির পক্ষ থেকে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, পেছনে জইশ-ই-মুহম্মদের পতাকা আর সামনে থরে থরে সাজানো স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র। ভিডিওতে গোটা কাশ্মিরকে ভারতবিরোধী সংগ্রামে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ওয়াক্কাস।

হামলার পর আদিলের যে ভিডিও সামনে এসেছে, তাতে সে অন্যদের উদ্দেশে বলেছে, ‘এই ভিডিও যখন তোমাদের কাছে পৌঁছবে তখন আমি জান্নাতে থাকব।’

উত্তর কাশ্মিরের বার্তাবাহক হিসেবে সে বলে, ‘এবার কাশ্মিরের বাকি অংশ এবং জম্মুর সময় এসেছে ভারতবিরোধী সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার।’

কিন্তু কে এই আদিল হুসেন, যে আড়াই হাজার সেনার বহরে ঢুকে আত্মঘাতী হামলা চালালো?

পুলিশের বরাত দিয়ে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলওয়ামা জেলার গুন্ডিবাগে থাকতো আদিল। তার দুই ভাই আছে। মাঝপথেই সে স্কুলের লেখাপড়ায় ইতি টেনে রাজমিস্ত্রি হিসেবে কাজ শুরু করে। তৌসিফ নামে আদিলের এক বন্ধুর ভাই মঞ্জুর আহমেদ দার ছিল জইশ-ই-মুহম্মদের সদস্য। ২০১৬ সালে সেনা অভিযানে তার মৃত্যু হয়। আর ওই বছরই মার্চ মাসে তৌসিফ ও ওয়াসিম নামে আরও এক বন্ধুর সঙ্গে নিখোঁজ হয়ে যায় আদিল।