স্বাধীনতার পর ভয়াবহ হামলা, নিহত বেড়ে ৪০

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে আত্মঘাতী হামলায় নিহত বেড়ে ৪০ জন হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। কারণ আহতদের মধ্যে এখনও অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ভারতের স্বাধীনতার পর এটি ভয়াবহ হামলা বলে উল্লেখ করেছে দেশটির গণমাধ্য।

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, হতাহতরা সবাই কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) সদস্য। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হতাহতরা দেশটির আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্য।

খবরে বলা হয়েছে, সেনাদের একটি বহর জম্মু থেকে রাজধানী শ্রীনগরের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় শ্রীনগর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে শ্রীনগর-জম্মু হাইওয়েতে একটি কার সেনাবহরকে ওভারটেক করে এবং একটি বাসের সঙ্গে ধাক্কা দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটায়।

ওই বাসটিতে ৪৪ জন সেনা অফিসার ছিল। বহরটিতে সিআরপিএফের ৭৮টি বাসে আড়াই হাজারের মতো সেনা সদস্য ছিল বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে। কারণ অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

কর্মকর্তারা বলছেন, বিস্ফোরণের পর লুকিয়ে থাকা সন্ত্রাসীরা এলোপাথারি গুলি চালিয়েছে। কারণ আক্রান্ত বাসটির বডিতে অনেক বুলেটের চিহ্ন রয়েছে।

পাকিস্তানভিত্তিক বিদ্রোহী গ্রুপ জইশ-ই-মুহাম্মাদ স্থানীয় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আদিল আহমাদ দার ওরফে ‘ওয়াক্কাস কমান্ডো’ এই হামলা চালিয়েছে। গত বছর জইশ-ই-মুহাম্মাদে যোগ দেওয়া আদিল কাকাপোড়া এলাকার বাসিন্দা।

বিবিসি বলছে, বিগত দুই দশকের মধ্যে এটি নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা। এর আগে ২০১৬ সালে উরি সামরিক ঘাঁটিতে এক হামলায় ১৯ সেনা সদস্য নিহত হয়।

ভারতের ইতিহাসে অন্যতম এ হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ ছাড়া বিরোধী দল কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী এই হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত’ বলে মন্তব্য করেছেন।

অন্যদিকে, টুইটারে ভয়াবহ এ হামলার নিন্দা জানিয়েছেন ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতি।