ইয়েমেন যুদ্ধ: সৌদি-মরক্কো কূটনৈতিক উত্তেজনা

সৌদি আরবের নেতৃত্বে ইয়েমেনে শিয়াপন্থী হোথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ, যা নিয়ে অনেক সমালোচনা রয়েছে, চলছে তাতে আর অংশ নেবে না মরক্কো। বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে। দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন।

২০১৫ সালে ইয়েমেনে মরক্কোর একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার খবর প্রকাশের পর থেকে অংশগ্রহণ হ্রাস করে রাবাত। ছবি: আলজাজিরা

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মরক্কোর দুই কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বৃহস্পতিবার বলেছেন, সৌদি আরবে নিযুক্ত মরক্কোর রাষ্ট্রদূতকেও ডেকে পাঠানো হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে ওই কর্মকর্তারা বিস্তারিত কিছু বলেননি। তবে তারা জানিয়েছেন, রাবাত ইয়েমেনে আর কোনো সামরিক হস্তক্ষেপ এবং সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেবে না।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের শুরুর দিকে ইয়েমেনের হোথি বিদ্রোহীরা রাজধানী সানাসহ বেশ কিছু এলাকার দখল নেয়। এ সময় ইয়েমেনের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আব্দু রাবু মানসুর হাদি রিয়াদে গিয়ে আশ্রয় নেন।

এর পর ২০১৫ সালে দেশটিতে সামরিক হস্তক্ষেপ করে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট। যে যুদ্ধ আজও অব্যাহত আছে। আর এই যুদ্ধে সৌদি আরবকে লজিস্টিক্যাল সাপোর্ট দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোথি নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলো উদ্ধারে সৌদি জোট ১৮ হাজারের বেশি বিমান হামলা চালিয়েছে। বিয়ে বাড়ি, দাফন অনুষ্ঠান, স্কুল ও হাসপাতাল এবং পানি ও বিদ্যুৎকেন্দ্র কোনো কিছুই বাদ যায়নি এসব হামলা থেকে।