রংপুরকে ঢাকার কঠিন চ্যালেঞ্জ

সাবেক দুই চ্যাম্পিয়নের লড়াইটা বিগ স্কোরিং হবে সেটা এক প্রকার অনুমিতই ছিল। হলোও তাই। আজ চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম ম্যাচটি খেলতে নেমে রংপুর রাইডার্সকে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে ঢাকা ডায়নামাইটস। ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তায় জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ২০ ওভারে ছয় উইকেটে ১৮৬ রান সংগ্রহ করেছে সাকিব আল হাসানের দল।

রনি তালুকদারের ঝড়ো হাফসেঞ্চুরি এবং আরো কজনের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল হিসেবে লড়াই করার মতো শক্ত পুঁজি পেয়েছে সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। ব্যাটসম্যানরা তাদের কাজটা ঠিকঠাক করেছেন, এবার দলকে জয়ে ফেরানোর দায়িত্ব ঢাকার বোলারদের। তাদের অনুপ্রাণিত করতে পারে একটা তথ্য। এবারের বিপিএলের চট্টগ্রামপর্বে রান তাড়া করে জেতেনি কোনো দলই।

আজ টস জিতে প্রত্যাশিতভাবেই সতীর্থদের হাতে ব্যাট তুলে দিয়েছেন ঢাকা অধিনায়ক সাকিব। ব্যাট হাতে শুরুতে অবশ্য খু্ব একটা সুবিধা করতে পারেনি সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। প্রথম পাঁচ ওভারে স্কোর বোর্ডে মাত্র ৩৫ রান জমা করেছেন দুই ওপেনার হজরতউল্লাহ জাজাই ও সুনিল নারাইন। এরপর রানের চাকার গতি বাড়াতে গিয়ে আউট হয়ে গেছেন জাজাই।

১৮ বলে ১৭ রান করেছেন আফগান ওপেনার। তবে ১৯ বলে ২৮ রানের (তিন চার, দুই ছক্কা) ঝড়ো ইনিংস খেলে আউট হয়েছেন নারাইন। দলীয় ৫১ রানের মধ্যে বিদায় দিয়েছেন ঢাকার দুই ওপেনার। পরে তৃতীয় উইকেট জুটিতে জমে ওঠে সাকিব ও রনি তালুকদারের রসায়ন। ঝড় ওঠে দুজনের ব্যাটেই। ১২ বলে ২৪ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরেছেন সাকিব।

রনি অবশ্য হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। ৩২ বলের ইনিংসে ছয়টি চার ও একটি ছক্কার সুবাদে ৫২ রান করেছেন রনি। ১০৫ রানে দলের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়েছেন সাকিব। পরে আন্দ্রে রাসেলকে (আট বলে ১৪) অল্পতেই ফিরিয়েছে রংপুর। কিন্তু কাইরেন পোলার্ডকে আর আটকাতে পারেননি মাশরাফিরা।

২৩ বলে ৩৭ রানে শেষ পর্যন্ত অজেয় ছিলেন পোলার্ড। তার ইনিংসে পাঁচটি চারের পাশাপাশি ছিল একটি ছক্কার মার। ঢাকার দলীয় সংগ্রহ আরো বাড়তে পারতো। সেটা হয়নি দুটি কারণে। প্রথমটি হলো শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে আসা নুরুল হোসনে ছয় বলে মাত্র তিন রান করেছেন! অন্য কারণটি রংপুরের দুর্দান্ত ফিল্ডিং।

এদিন তিনটি দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেছেন রংপুরের দুই ফিল্ডার ফরহাদ রেজা ও অ্যালেকস হেলস। নারাইন ও রাসেলকে তালুবন্দি করে ঢাকার রানের চাকার গতি কমিয়ে দেন ফরহাদ। পরে রনিকে হেলস যেভাবে তালুবন্দী সেই ক্যাচটাও ছিল চোখে প্রশান্তি এনে দেওয়ার মতো। রংপুরের বোলারদের মধ্যেও সবচেয়ে সফল ফরহাদ। দুটি উইকেট নিয়েছেন তিনি। ঢাকার পতন হওয়া বাকি চারটি উইকেট মাশরাফি বিন মর্তুজা, নাজমুল ইসলাম, শফিউল ইসলাম ও শহিদুল ইসলামের।