বশির: আরো একটি ‘আরব বসন্তের’ চেষ্টা হচ্ছে

২০১১ সালের মত সুদানে আরও একটি আরব বসন্ত (অভ্যুত্থান) ঘটানোর ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন কায়রো সফররত সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশির। তিনি গতকাল রোববার মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দুল ফাত্তাহ আল সিসির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশির (বামে) এবং মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দুল ফাত্তাহ আল সিসি (ডানে)

বশির বলেন, ‘খারতুম নিয়ে যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে এর পেছনে কোনো বিদেশি শক্তি ইন্ধন যোগাচ্ছে।’

দ্রব্যমূল্য ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি ইস্যুতে মাসব্যাপী বিক্ষোভের মাঝেই দ্বিতীয় বারের মত বিদেশ সফরে কায়রো গেলেন বশির। বিক্ষোভকারীরা ইতোমধ্যেই তার পদত্যাগ দাবি করেছে।

বৈঠককালে সুদানের পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট সিসিকে অবহিত করেন ওমর আল বশির। অপরদিকে সিসি খারতুমের পাশে থাকারও প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় সুদানকে সমর্থন করে যাবো।’

সুদানে বিক্ষোভকারীরা।

প্রেসিডেন্ট সিসি আরও বলেন, ‘সুদানের সঙ্গে আমাদের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। প্রেসিডেন্ট বশির আজ যে ষড়যন্ত্রের মুখে, ২০১১ সালে মিশরও এমনই এক পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছে।’

যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এই দুই নেতা বলেন, ‘এ অঞ্চলে অনেকগুলো শক্তি কাজ করছে যারা সবসময়ই সরকার উৎখাতের চেষ্টা চালাচ্ছে।’

রুটি, তেল এবং অবকাঠামো নির্মাণ সামগ্রীসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বাড়ায় গত মাসে উত্তর সুদানের আটবারা শহর থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়। যা ক্রমেই বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভটি এক পর্যায়ে প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরকে ক্ষমতাচ্যুত করার আন্দোলনে রূপ নেয়। আইন শৃঙ্খলাবাহিনী আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট ছোড়ে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩০ জন মারা গেছে। তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, মৃত্যুর সংখ্যা অন্তত ৪০ জন হবে।

প্রসঙ্গত, ১৯৮৯ সালে সেনা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সুদানের ক্ষমতায় বসেন ওমর আল বশির।