মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের পর ‘ইসলামি রাষ্ট্র’ হবে আফগানিস্তান!

আফগানিস্তানে একটি ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায় তালেবান। কাতারের রাজধানী দোহায় অনুষ্ঠিত ছয় দিনের বৈঠকে তালেবান যুক্তরাষ্ট্রকে এ বার্তা দিয়েছে। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

তালেবানের রাজনৈতিক শাখার প্রধান আব্দুল ঘানি বারাদার ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত জালমি খালিদজাই।

পাকিস্তানের মধ্যস্থতায় মার্কিন বিশেষ দূত জালমি খালিদজাইয়ের সঙ্গে ওই আলোচনায় তালেবানের পক্ষে ছিলেন তাদের রাজনৈতিক শাখার প্রধান আব্দুল ঘানি বারাদার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আফগানিস্তান, পাকিস্তান, সৌদি আরব, আরব আমিরা ও কাতারের প্রতিনিধিগণ।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, আলোচনায় একটি খসড়া চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। চুক্তির শর্তের একটি কপি রয়টার্স তালেবান সূত্রে পেয়েছে। তবে তালেবান রয়টার্সের এমন দাবি মিথ্যা বলে জানায়।

খবরে বলা হয়, তালেবান-মার্কিন খসড়া চুক্তি অনুযায়ী- আগামী ১৮ মাসের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করবে যুক্তরাষ্ট্র।

চুক্তির পর দুপক্ষই যৌথ কোনো বিবৃতি দেয়নি। তবে মার্কিন দূত এক টুইট বার্তায় বলেন, আলোচনা ফলপ্রসু হয়েছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আলোচনায় প্রস্তাবিত বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করা হবে। এজন্য আফগান সরকারের সঙ্গে দেখা করে বিষয়গুলো তাদের অবহিত করা হবে।

এদিকে তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লা মুজাহিদ এক টুইটবার্তায় জানান, ‘আলোচনায় ইসলামিক আমিরাতের বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে মার্কিন প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সব সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়া হবে। এরপর চুক্তির পরবর্তী বিষয়গুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন হবে।’

অপরদিকে জালমি খালিদজাই বলেন, ‘আলোচনায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আমরা একমত হতে পেরেছি। তবে পর্যায়ক্রমে আরো অনেক ইস্যু নিয়ে কাজ করতে হবে। ’

এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও শনিবার টুইটারে লিখেছেন, ‘খলিলজাদের কাছ থেকে খুশি হওয়ার মতো খবর পেয়েছি। আফগানিস্তানে শান্তি ফেরাতে আমরা একমত। সেই সঙ্গে এই ভূখণ্ড যেন সন্ত্রাসীদের ঘাঁটিতে পরিণত না হয় সেদিকেও নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্র।’

তবে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো দিনক্ষণ উল্লেখ করেননি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।