মাহমুদুল্লাহর আক্ষেপ, আমাদের কোনো কিছুই ভালো হয়নি

প্রায় বিধ্বস্ত চেহারা নিয়েই সংবাদ সম্মেলন কক্ষে প্রবেশ করেছিলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। কথা বলতেই কষ্ট হচ্ছিল তার। তবু কাঁপা কাঁপা স্বরে গণমাধ্যমের প্রশ্নগুলোর উত্তর দিচ্ছিলেন খুলনা টাইটানস অধিনায়ক। সংবাদ সম্মেলনটা শেষ হলেই যেন বাঁচেন! আসলেই তাই, ব্যর্থতার গ্লানি নিয়ে কথা বলতে কারই বা ভালো লাগে!

আক্ষরিকভাবে খুলনা টাইটানসের বিদায় নিশ্চিত হয়ে আছে। আজ সিলেট সিক্সার্সের কাছে ৫৮ রানে হেরে আনুষ্ঠানিকভাবে বিপিএল থেকে ছিটকে গেছেন মাহমুদুল্লাহরা। ১০ ম্যাচের আটটিতে হেরে সবার আগে বিদায় নিতে হলো তাদের। টুর্নামেন্টের বাকি দুই ম্যাচ খুলনার জন্য এখন শুধুই নিয়মরক্ষার।

খুলনার এখন আর হারানোর কিছু নেই। তাদের চাওয়া এখন সম্মানজনকভাবে আসরটা শেষ করা। আজ সংবাদ সম্মেলনে দলের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ তাই বললেন, ‘টেবিলের নিচে থাকলে এই ধরনের (টুর্নামেন্ট শেষ হলেই যেন বাঁচি) চিন্তা ধারা আসতে পারে। আমি ব্যক্তিগতভাবে ওভাবেই চিন্তা করছি না। আমাদের এখনো দুটি ম্যাচ আছে। ইনশাল্লাহ যদি জিততে পারি, তাহলে হয়তো ভালো কিছু দিয়ে শেষ করতে পারবো। জয়টা অবশ্যই খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

এভাবে বিদায় নেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই হতাশ খুলনা অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। এই হতাশার গভীরতা কতটুকু সেটা তিনি নিজেও নির্ণয় করতে পারছেন না। আজ ম্যাচ শেষে মাহমুদুল্লাহ বলেছেন, ‘ফ্র্যাইঞ্চাইজির একটা প্রত্যাশ থাকে। সমর্থকদের প্রত্যাশা থাকে। নিজের প্রত্যাশা থাকে। কোনোটিরই প্রতিফলন ঘটেনি। আমাদের সুপার ফোরের কোনো সুযোগ নেই। খুবই হতাশাজনক অবশ্যই। বিশ্লেষণ করা কঠিন।’

খুলনা টাইটানসের দলপতি আক্ষেপের সুরে বলেছেন, ‘প্রথম ৫/৬ ম্যাচের মধ্যে আমরা যদি কয়েকটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ জিততে পারতাম। তখন হয়তো পয়েন্ট টেবিল ভিন্নরকম হতো। আমাদের আত্মবিশ্বাস তখন বেশি থাকতো। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত আমরা ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং কোনো বিভাগেই ভালো করতে পারিনি। নিজেরা কথা বলার চেষ্টা করেছি, সমস্যা বের করার চেষ্টা করেছি। ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন করেছি। কেউই দলের জন্য অবদান রাখতে পারছে না। এটা দলের জন্য হতাশাজনক।’

বলা হচ্ছে আসরের সবচেয়ে দুর্বলতম দল গঠন করেছেন খুলনা টাইটানস। তবে এমনটা মানতে নারাজ মাহমুদুল্লাহ। তিনি দাবি করলেন, ‘দল যথেষ্ঠ ভালো করা হয়েছিল। জুনায়েদ, মালিঙ্গা অনেক দিন ধরে ক্রিকেট খেলছে। শান্ত উঠতি ক্রিকেটার। আরিফুল শেষ দুই বছল ধরে ভালো খেলেছে। জহুরুল অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। বোলিং বিভাগেও বৈচিত্র ছিল। ভালো অলরাউন্ডার ছিল। কিন্তু কোনো বিভাগ থেকেই দলের জন্য অবদান রাখতে পারিনি।’