আত্মবিশ্বাস বেড়েছে সিলেটের

একঝাঁক দেশি তারকা। সঙ্গে ডেভিড ওয়ার্নারের নেতৃত্ব। সবমিলিয়ে সিলেট সিক্সার্স দলটা ছিল আশা জাগানিয়া। কিন্তু শক্তিশালী দল নিয়েও বিপিএলের ষষ্ঠ আসরে ধুঁকতে হয়েছে তাদের। রবিন লিগ রাউন্ডে ঢাকায় দুই পর্বের ম্যাচে সিলেট জিতেছে একটিতে। ঘরের মাঠে তিন ম্যাচ খেলেও একটির বেশি জিততে পারেনি সিলেট সিক্সার্স।

বিপিএল চট্টগ্রামে ফিরতেই বদলে গেছে সিলেট সিক্সার্সের পারফরম্যান্স। পরপর দুই ম্যাচে বড় জয় তুলে নিয়েছে ওয়ার্নারবিহীন সিলেট। আজ জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৮৪ রানের বড় জয় তুলে নিয়েছে তারা। এই জয়ে খুলনাকে বিদায় করার পাশাপাশি কোয়ালিফায়ারের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে সিলেট।

প্রথম আট ম্যাচ খেলে দুটিতে জয়। ধুঁকতে থাকা সিলেট চট্টগ্রামে দুই ম্যাচে দুটিতেই জিতেছে। স্বাভাবিকভাবেই আত্মবিশ্বাস বেড়েছে সিলেটের। আজ ম্যাচ জয়ের পর সেই কথাই বললেন সংবাদ সম্মেলনে সিলেটের প্রতিনিধি হয়ে আসা নাবিল সামাদ, ‘আসলে ম্যাচ জিততে থাকলে আত্মবিশ্বাস বাড়তে থাকে। আমাদের দল আগেও অনেক ভালো ছিলে এখনো ইনশাল্লাহ ভালো।’

আজকের জয়ে শেষ চারের আশা বেঁচে থাকল সিলেটের। তবে এখনই কোয়ালিফায়ার নিয়ে ভাবছে না তারা। তাদের লক্ষ্য সামনের দুই ম্যাচ জেতা। নাবিল বলেছেন, ‘আমাদের একটা-দুইটা ওভারের জন্য, ছোটখাটো ভুলের জন্য ফল হচ্ছিল না। এখন যেহেতু ফল হচ্ছে, আমরা জিততে শুরু করেছি তাই আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। (কোয়ালিফায়ারে) যাই কিনা যাই জানি না, তবে আমাদের লক্ষ্য যতগুলো ম্যাচ আছে সেগুলো জেতার।’

লক্ষ্য পূরণে নিজেদের সবটুকু নিংড়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ঝরেছে নাবিলের কণ্ঠে। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেছেন, ‘আমরা আসলে আমাদের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করতে পারি। আগে (সিলেট ও ঢাকা পর্বে) আগে হয়তো আমাদের কোনো ঘাটতি ছিল। ছোটখাটো ভুলের জন্য, সিদ্ধান্তের জন্য আমরা জিততে পারিনি। আসলে ম্যাচের ফলে কারোর ক্ষমতা নেই। আমরা আমাদের মতো চেষ্টা করতে পারি। এখন রেজাল্ট হচ্ছে এটা ভালো জিনিস।’

খুলনার বিপক্ষে জয়ের জন্য আজ টপ অর্ডার নিয়ে একটা বাজি ধরেছে সিলেট সিক্সার্স টিম ম্যানেজমেন্ট। বাজিটা কাজে দিয়েছে। উদ্বোধনী জুটিতে এসে লিটন দাসের সঙ্গে ৭২ রানের জুটি গড়েছেন আফিফ হোসেন। টপ অর্ডারে পরিবর্তন প্রসঙ্গে নাবিলের ভাষ্য, ‘একেক দিন কোচের একেকটা পরিকল্পনা থাকে। আজকে হয়তো কোচের মনে হয়েছে ডানহাতি বাঁ-হাতি কম্বিনেশন করলে হয়তো ভালো হবে। আফিফ যেহেতু তিনে খেলে সেজন্য আফিফকে ওপেনিংয়ে পাঠানো।’