গাজায় যাচ্ছে কাতারের দেওয়া সাহায্যের তৃতীয় কিস্তি

কাতারের দেওয়া সাহায্যের তৃতীয় কিস্তির অর্থ অবরুদ্ধ গাজায় পৌঁছতে আগামী দুই চার দিনের মধ্যে ইসরায়েলি অনুমতি মিলবে বলে জানিয়েছে আলজাজিরা। এর আগে ইসরায়েল নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় গাজাবাসী এবং হামাস সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য কাতারের দেওয়া অর্থ সাহায্য সময় মতো পৌঁছেনি।

গাল্ফ রাষ্ট্রগুলোর দূত মোহাম্মাদ আল-এমাদি (ডানে)। বুধবার ইসরায়েলের ইরেজ ক্রসিং দিয়ে গাজায় পৌঁছেন তিনি। ছবি: আলজাজিরা

খবরে বলা হয়েছে, সীমান্ত বেড়ার কাছে গাজাবাসীর প্রতিবাদ-বিক্ষোভের কারণে ওই সাহায্য পৌঁছার ক্ষেত্রে অবরোধ আরোপ করে ইসরায়েল।

কাতারি দূতাবাসের এক সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি এমন খবর দিয়েছে বলে জানিয়েছে আলজাজিরা।

ইসরায়েলি গণমাধ্যমে বৃহস্পতিবার বলা হয়েছে, দেশটির নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রী পরিষদ গাজায় অর্থ নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিতে সম্মত হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।

খবরে বলা হয়েছে, গাজায় গাল্ফ রাষ্ট্রগুলোর দূত মোহাম্মাদ আল-এমাদি ইসরায়েলের ইরেজ ক্রসিং দিয়ে গাজা উপত্যকায় গেছেন। কিন্তু তিনি গাজার হামাস সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন এবং সেখানকার নিঃস্ব বাসিন্দাদের সহায়তা বাবদ যে দেড় কোটি ডলার দেওয়ার কথা তা ইসরায়েলি অবরোধের কারণে নিয়ে যেতে পারেননি।

একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ‘আমরা আশা করছি, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তৃতীয় কিস্তির অর্থ গাজায় পৌঁছানোর অনুমতি পাব।’তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানায়নি ওই সূত্র।

এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, গাজার দূত ওই অর্থ সঙ্গে করে নিয়ে যাবেন এমনটাই প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বুধবার তা আটকে দেওয়ার নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, ইসরায়েলের সীমানা ব্যবহার করা ছাড়া গাজায় পৌঁছার কোনো পথ নেই। সেজন্যই এই অর্থ পাঠাতে অনুমতি প্রয়োজন।

খবরে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার গাজা সীমান্তে এক হামলায় ইসরায়েলের এক সেনা সামান্য আহত হওয়ার পরই ওই সিদ্ধান্ত নেন নেতানিয়াহু। যদিও এর জবাবে ইসরায়েল হামাসের সামরিক নিরাপত্তা কেন্দ্রগুলি লক্ষ্য করে গুলি ও বিমান হামলা চালিয়েছে।

প্রসঙ্গত, এক চুক্তি অনুযায়ী কাতার গাজা উপত্যকায় হামাস সরকারের বেতন-ভাতা ও সেখানকার দুর্দশাগস্ত মুসলমানদের জন্য মাসে দেড় কোটি ডলার করে সাহায্য পাঠাবে। এটি হবে তৃতীয় কিস্তি।

চুক্তি অনুযায়ী, ছয় কিস্তিতে মোট নয় কোটি ডলার সাহায্য পাঠাবে দোহা। কিন্তু দ্বিতীয় কিস্তি পাঠানোর পরই খোঁড়া অজুহাতে তৃতীয় কিস্তি পাঠানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় ইসরায়েল।