হুট করেই বার্সেলোনা পরিবারে নতুন সদস্য

তারা দুই ভাই। দুজনেই বড় হয়েছেন জার্মানিতে। খেলেছেন জার্মানদের বয়সভিত্তিক দলে। শেষ পর্যন্ত ছোট ভাই জেরমি বোয়াটেং বেছে নিয়েছেন জার্মানি জাতীয় দলকে। এক বছরের বড় ভাই কেভিন প্রিন্স বোয়াটেংয়ের অভিষেক হয়েছিল ঘানা ফুটবল দলে।

জেরমি প্রাধান্য দিয়েছেন মায়ের পছন্দকে। কেভিন প্রিন্স বাবার মতামতকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। আন্তর্জাতিক ফুটবলে তাদের দুই দেশের জার্সিতে অভিষেক হলেও ক্লাব ফুটবলে একই ছাতার (হার্থা বার্লিন) নিচে শুরু হয়েছিল তাদের পেশাদার ক্যারিয়ার। এক যুগের ক্যারিয়ারে জেরমি খেলেছেন তিনটি ভিন্ন ক্লাবে।

সেখানে প্রিন্স বোয়াটেং ইতোমধ্যেই নয়টি ক্লাবে খেলে ফেলেছেন। তার দশম ঠিকানা হয়ে গেল স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনা। সোমবার কাতালান ক্লাবটি ঘোষণা দিয়েছে প্রিন্স বোয়াটেংয়ের সঙ্গে চুক্তি করেছে তারা। তাতে করে আবারো স্প্যানিশ ফুটবলে প্রত্যাবর্তন হতে যাচ্ছে ঘানাইয়ান ফরওয়ার্ডের।

এর আগে স্পেনের আরেক ক্লাব লাস পালমাসের জার্সিতে খেলেছিলেন প্রিন্স বোয়াটেং। ২০১৬-১৭ মৌসুমে পালমাসের হয়ে খেলেছিলেন তিনি। তার লি লিগায় ফেরার ব্যবস্থা করে দিয়েছে বার্সেলোনা। ক্লাবের ওয়েবসাইটে কাতালানরা জানিয়েছে, হুট করেই প্রিন্স বোয়াটেংয়ের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে তাদের।

ইতালিয়ান ক্লাব সাস্যুলো থেকে এই ফরওয়ার্ডকে উড়িয়ে এনেছে বার্সা কোচ এরনেস্তো ভালভার্দে। অনেকটা সস্তা মূল্যে বোয়াটেং ভাইদের বড়জনকে কিনেছে বার্সা। তাদের খরচ হয়েছে মাত্র নয় মিলিয়ন ডলার। তবে মাঝপথে আসা মৌসুমের জন্য বার্সাকে খসাতে হবে দুই মিলিয়ন ইউরো।

প্রিন্স বোয়াটেংকে স্বাগত জানিয়ে বার্সা তাদের ওয়েবসাইটে লিখেছে, ‘কেভিন-প্রিন্স বোয়াটেং এমন একজন খেলোয়াড় যিনি দ্রুতই দলের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারবেন। ইউরোপের বড়বড় লিগ- প্রিমিয়ার লিগ, বুন্দেসলিগা, ইতালিয়ান সিরি’এ এবং লা লিগায় খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। তিনি যেখানেই ছিলেন সেখানেই গোল করেছেন।’

অবশ্য বার্সার আগেই ঠিকানা পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছেন ৩১ বছর বয়সী বোয়াটেং। স্কাই স্পোর্টসকে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘বার্সা, আমি আসছি! সাস্যুলোর জন্য আমার খারাপ লাগছে। কিন্তু এটা (বার্সেলোনায় আসাটা) আমার জন্য বড় একটা সুযোগ।’