সুখী দম্পতি হতে চাইলে

সুখী দম্পতি হওয়াটা আজকাল খুব কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু কিছু অভ্যাস বা পদক্ষেপের মাধ্যমে আমরা এই কঠিন কাজটাকে সহজ করে তুলতে পারি। আপনি এবং আপনার সঙ্গীর মধ্যে যদি নিচের এই অভ্যাসগুলো বিদ্যমান থাকে তাহলে আপনারা সুখী দম্পতি নিঃসন্দেহে!

ফোকাস পরিবর্তন

অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব শুধু যদি দেখার দৃষ্টিটা একটু পরিবর্তন করা যায়। সঙ্গীর নেগেটিভ দিকগুলো নয় বরং পজিটিভ দিকগুলো কিংবা তার যা যা পছন্দ সেগুলোতে মনোযোগ দেয়া উচিত।

একই সময়ে ঘুমাতে যান

একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা সত্যিই আপনার সম্পর্ককে জোরদার করে বহুদূর নিয়ে যেতে সাহায্য করে। দুজনের ঘুমের সময়সূচী সবসময় মেলানো সম্ভব নয়, কিন্তু চেষ্টা করুন একই সময় ঘুমাতে।

শুভরাত্রি জানানো

আমরা সবসময় জেনে আসছি যে রাগ নিয়ে ঘুমাতে যাওয়া ঠিক নয় এবং এটাই সত্যি। যতই ঝগড়া করুন না কেন, ঘুমাবার আগে শুভরাত্রি জানান এবং তা আন্তরিকভাবেই। বুঝিয়ে দিন আপনি সম্পর্কটায় আনন্দিত।

বিশ্বাস এবং ক্ষমা

প্রতিটি দম্পতির মধ্যেই মতবিরোধ রয়েছে কিন্তু আপনি কীভাবে তা মোকাবেলা করছেন সেটাই আপনার সম্পর্ক সংজ্ঞায়িত করে। দম্পতিদের মধ্যে এমন অনেক ছোট ছোট সমস্যার সৃষ্টি হয় যা আসলে খুব সহজেই সমাধান করা সম্ভব। খুব ছোট সমস্যা হলে রাগারাগি করার আগে ভাবুন। তার উপর সন্দেহ ও রাগের চাইতে বিশ্বাস-আস্থাটাই বেশি এবং ক্ষমা করুন।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে একটু সময়

আপনার পৃথক কাজ বা দায়িত্বের জন্য সারাদিন আলাদা কাটাতে পারেন। তাই কাজের ফাঁকে ফাঁকে যেমন দুপুরে খাবার সময় একটি ফোন কল বা বিকালে ইমেইল বা টেক্সটিং কিংবা ইনস্ট্যান্ট ম্যাসেজিং করে জানান দিনটি কেমন যাচ্ছে। যোগাযোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই কাজের ফাঁকে ফাঁকে কিছুটা সময় বের করে নিন সঙ্গীর জন্য।

পছন্দ যখন একই

বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন বিষয়ে আগ্রহ থাকে এবং এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দুজনের পছন্দ বা আগ্রহের বিষয় যদি একই হয় তাহলে এটি সম্পর্ক মজবুত করতে সাহায্য করবে। তাই নতুন কোন আগ্রহ তৈরি করুন বা এমন কিছু করুন যা দুজনেরই ভালো লাগবে, যা একসাথে করতে পারবেন।

প্রাধান্য দেওয়া

লেখক গ্যারি চ্যাপম্যান বলেন, বিভিন্ন মানুষ ৫টি স্বতন্ত্র উপায়ে তার অনুভূতি প্রকাশ করে যেমন: সুন্দর সময় কাটানো, উপহার দেয়া, কাজকর্মের মাধ্যমে অথবা কথার মাধ্যমে। তাই এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, আপনার সঙ্গী কীভাবে তার অনুভৃতি প্রকাশ করছেন তাতে মনোযোগী হওয়া।

রাতের খাবার

সম্ভব হলে চেষ্টা করুন রাতের খাবার একসাথে রান্না করতে এবং একসঙ্গে খেতে। সবসময় না হলেও মাঝে মাঝে এমন করতেই পারেন।

দিনটি ভাল কাটুক

একটি ছোট নোট বা চিরকুট লিখুন সঙ্গীর জন্য। হতে পারে সেটা 'তোমায় ভালোবাসি' অথবা 'দিনটি ভালো কাটুক'। এটি খুবই জরুরী। কারণ আপনার সঙ্গী দিনের বাকি কাজ বা অন্যান্য দায়িত্বে উৎপীড়নের সম্মুখীন হলে এই চিরকুট তাকে ধৈর্যশীল এবং সহনশীল রাখবে।

একসঙ্গে সিদ্ধান্ত নিন

সুখী ও নিরাপদ দম্পতিরা একসাথে সমানভাবে তাদের জীবন কাটান। এখানে যোগাযোগ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের গুরুত্ব রয়েছে। যে কোনো বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সবসময় সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলুন, মতামত নিন।

নিজের প্রতি ভালোবাসা

প্রতিটি ব্যক্তিই প্রশংসিত হতে ভালোবাসে। সুখী দাম্পত্যের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঙ্গী যেমনই হোক তার তারিফ করুন এবং সবচেেয়ে জরুরী সে যে রকম সেরকম ভাবেই তাকে গ্রহণ করা। কোন রকম পরিবর্তনের চেষ্টা করবেন না। বরং নিজের ভালোলাগা বা পছন্দ দুজন দুজনের সাথে শেয়ার করুন।

পাশাপাশি

সঙ্গীর সঙ্গে কীভাবে হাঁটছেন তাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে আপনার সম্পর্কে। তাই আগে অথবা পিছনে নয় বরং পায়ে পা মিলিয়ে হাঁটুন পাশাপাশি।

আপনি আরোও পড়তে পারেন

কাটিয়ে উঠুন ‘মানি ক্রাইসিস’

সুখী থাকতে নিজের কাজটাকে ভালোবাসুন

সফল হতে চাই শুদ্ধ উচ্চারণ