রংপুরকে উড়িয়ে ফাইনালে বরিশাল

সাব্বির রহমানের অনবদ্য ৭৯ রানে ভর করে ফাইনালে উঠে গেলো বরিশাল বুলস। আসরে প্রথমবারের মতো ১৬০ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতলো তারা। ১৫ ডিসেম্বরের ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের সঙ্গী হলো তারা। গেইল ও লুইসবিহীন ম্যাচে তারা জিতেছে পাঁচ উইকেটে।

এর আগে লিন্ডল সিমন্সের ৭৩ রানে ভর করে ১৬০ রান তুলে রংপুর। এ দিন টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সাকিব আল হাসান। আগের ম্যাচে তিনি ফিল্ডিং নিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ উইকেটের চরিত্র বদলে যাওয়ায় এবার আর সে সিদ্ধান্ত নেননি তিনি।

লিন্ডল সিমন্স এবং রাসেল আল মামুনের ৫২ রানের ওপেনিং জুটিতে ভর করে বড় রানের স্বপ্নটা দেখা শুরু করে রংপুর। শেষ পর্যন্ত তা হয়েও যায়। যদিও সৌম্য সরকার এ দিনও ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন। ব্যর্থ ছিলেন সাকিবও। আগের ম্যাচে শূন্য করা সাকিব এ দিন করেন মাত্র ১৩ রান।

বরিশালের হয়ে চার উইকেট নেন কেভন কুপার। তার বোলিংই ছিলো দলের হয়ে সেরা। এই ম্যাচে চার উইকেট নেয়াই তাকে উইকেট শিকারী বোলারদের তালিকায় দুই নম্বরে নিয়ে এসেছে। এক নম্বর জায়গাটা এখনো আবু হায়দার রনির। তার শিকার ২১ উইকেট। আসরে প্রথমবার পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন কেভন কুপারই। পরে আল আমিনও হ্যাটট্রিকসহ পাঁচ উইকেট নেন।

আসরের ১৬তম ম্যাচে ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে ১৫৮ রান চেজ করে জিতেছিলো বরিশাল। অর্থাৎ গতকালের ম্যাচটি জিততে হলে তাদের সামর্থ্যের নতুন পরীক্ষাই দিতে হতো। সেই পরীক্ষা দিতে গিয়ে ১০ রানেই দুই উইকেট হারায় বরিশাল।

এরপরই দারুণ দৃঢ়তায় দাঁড়িয়ে যান শাহরিয়ার নাফীস ও সাব্বির রহমান। এভিন লুইস ও ক্রিস গেইল না থাকায় বরিশালের পক্ষে বাজি ধরার লোকের অভাব ছিলো। কিন্তু এ দুজন ১২৪ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে দলকে নিয়ে যান স্বপ্ন পূরণের পথে। এবারের বিপিএলে এই ১২৪ রান তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি।

সর্বোচ্চ ১৪০ রানের জুটিটা গড়েছিলেন সবার আগে বিপিএল থেকে বাদ পড়া চিটাগং ভাইকিংসের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল এবং তিলকারত্নে দিলশান। তাদেরকে ছাড়িয়ে যেতে না পারলেও বরিশালের ফাইনালের স্বপ্নটা গুছিয়ে দেন তারা।

আপনি আরো পড়তে পারেন

গেইল আছেন নাকি চলে গেছেন?

পিএসএলে সাকিবসহ ১০ বাংলাদেশি

আবু হায়দার রনি: জাতীয় দলের নতুন সম্ভাবনা