জ্বলে উঠলেন লিটন-ওয়ার্নার

দুই দলেরই হার তিনটি করে। সিলেট সিক্সার্স ও রংপুর রাইডার্স উভয় দলের জন্যই কোয়ালিফায়ারে যাওয়ার পথটা কঠিন হয়ে উঠেছে। এমন চাপের সময়ই মুখোমুখি হলো দল দুটি। যেখানে টস জিতে আগে সিলেট সিক্সার্সকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় রংপুর অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।

সিলেট সিক্সার্সের ব্যাটিং অর্ডারের শুরুতেই চমক। ওপেনিংয়ে নেই অস্ট্রেলিয়ার বিধ্বংসী ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। অধিনায়ককে সাজঘরে রেখেই জুটি উদ্বোধন করতে চলে এলেন লিটন দাস ও সাব্বির রহমান। শুরুর এই বাজিটা কাজে লেগেছে স্বাগতিক শিবিরের।

বিপিএলের শুরু থেকেই ব্যর্থ সিলেট সিক্সার্সের টপ অর্ডার। প্রায়সব ম্যাচেই উদ্বোধনী জুটি বিচ্ছিন্ন হয়েছে প্রত্যাশা পূরণের আগেই। আজ রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে সেই ধারা থেকে বেরিয়ে এসেছে সিলেট সিক্সার্স। ঘরের মাঠ সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে উড়ন্ত এক সূচনাই করেছে তারা।

অগ্নিপরীক্ষার ম্যাচে শুরুতেই জ্বলে ওঠেন ওপেনার লিটন। উদ্বোধনী জুটিতে তাকে শুধু সঙ্গ দিয়ে গেলেন সাব্বির। সুযোগ বুঝে ব্যাট চালিয়েছেন তিনিও। দুই বাংলাদেশির রসায়নটা ভালোই জমে উঠেছিল। আট ওভারে বিনা উইকেটে ৭২ রান করে ফেলেছিল সিলেট সিক্সার্স।

পরের ওভারে জুটি ভেঙে রংপুরকে স্বস্তি এনে দিয়েছেন বেনি হাওয়েল। সাব্বিরের বিদায়ে ভাঙে জুটি। ২০ রান করেছেন তিনি। ফেরার আগে ২০ বলের ইনিংসে একটি করে চার-ছক্কা হাঁকিয়েছেন সাব্বির। সঙ্গী হারালেও সঙ্গ হারাননি লিটন।

এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে থেকে ঝড় অব্যাহত রাখলেন ডানহাতি এই ওপেনার। ১২৯ রানে দলের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফিরেছেন লিটন। সাজঘরের পথ ধরার আগে শতকের সম্ভাবনাও জাগিয়েছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৪৩ বলে ৭০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে গেছেন লিটন। ইনিংসে নয়টি চারের পাশাপাশি একটি চার মেরেছেন সিলেট ওপেনার।

অবশ্য লিটন ফিরলেও রানের চাকা ঠিকই সচল থাকল স্বাগতিকদের। তার দেখানো পথেই হাঁটলেন তিনে নামা ওয়ার্নার। আসরের শুরু থেকেই নিজেকে হারিয়ে খোঁজা অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার এদিন বেরিয়ে এসেছেন নিজের খোলস ছেড়ে। রংপুর রাইডার্সের বোলারদের তুলোধুনো করে হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ওয়ার্নার।

৩৬ বলে ৬১ রানের আগ্রাসী এক ইনিংস খেলেছেন তিনি। বিপিএলে দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরিটি ছয়টি চার ও দুটি চারের সহায়তায় সাজিয়েছেন ওয়ার্নার। শেষ দিকে তাকে সঙ্গ দেওয়ার পাশাপাশি একটা ক্যামিও ইনিংস দলকে উপহার দিয়েছেন নিকোলাস পুরান। ১৬ বল খরচ করে ২৬ রান করেছেন তিনি।

টপ অর্ডারের এই চার ব্যাটসম্যানের দৃঢ়তায় শেষ পর্যন্ত রংপুরকে ১৮৭ রানের কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে সক্ষম হয়েছে সিলেট সিক্সার্স। কে বলবে এই দলটাই আগের ম্যাচে নিজেদের সর্বনিম্ন ৬৮ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল। আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছে সিলিটের ব্যাটসম্যানরা। তারা তাদের কাজটা ঠিকঠাক করেছেন। এবার সুন্দর একটা সমাপ্তি টানার দায়িত্ব বোলারদের।

সিলেট সিক্সার্সের মারমুখি ব্যাটসম্যানদের বিপরীতে রংপুরের সবচেয়ে সফল বোলার শফিউল ইসলাম। সিলেটের পতন হওয়া পাঁচ উইকেটের তিনটিই নিয়েছেন ডানহতি এই পেসার। বেনি হাওয়েলের শিকার একটি।