এমন অভিজ্ঞতা চাননি তামিম

হারানো রাজত্ব উদ্ধারের অভিযানে দুর্দান্ত গতিতে ছুটছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। বিপিএলের চলমান আসরের পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই জয় তুলে নিয়েছে তারা। কিন্তু দল ভালো করলেও টুর্নামেন্টের ষষ্ঠ আসরটা মোটেও ভালো যাচ্ছে না তাদের ওপেনার তামিম ইকবালের।

এবারের বিপিএলে প্রথম তিন ম্যাচে তার রানসংখ্যা- ৩৫, ৪, ২১। সবশেষ দুই ম্যাচে তো রানের খাতাই খুলতে পারেননি তামিম। দুবারই আউট হলেন শূন্য রানে। এক দশকেরও বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে এমন অভিজ্ঞতা এবারই প্রথম হলো তামিমের। যদিও ছন্দে ফেরা নিয়ে ভাবছেন না তিনি।

অথচ ইনজুরি কাটিয়ে কী দুর্দান্তভাবেই না ফিরেছিলেন বাঁ-হাতি ওপেনার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকেই লেগেছে শনির দশাটা। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে তিন ম্যাচ মিলে করেছেন ২৮ রান। বিপিএলে দুটি ম্যাচে ছন্দে ফেরার আভাস দিয়েও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি।

ব্যাটিং যে ভালো হচ্ছে না সেটা মঙ্গলবার ম্যাচ শেষে নিজ থেকেই বললেন তামিম, ‘জীবনে প্রথমবার যে কোনো পর্যায়ের ক্রিকেটে টানা দুই ম্যাচে শূন্য করলাম! সত্যি বলতে, আমার ব্যাটিং একদমই ভালো হচ্ছে না। আমি খুব ভালো অনুভব করছি না। আপনাকে মেনে নিতে হবে, সবসময় সবকিছু আপনার পক্ষে যাবে না। আপনি সবসময় রান করতেই থাকবেন, যেটা আমি করে এসেছি এত বছর ধরে, এটা হয় না। কিছু সময় আসবে, যখন আমি রান পাব না।’

অবশ্য ব্যাটে রানখরা দেখা দিলেও এটা নিয়ে চিন্তিত নন। সামনের ম্যাচগুলোতে রান না পেলেও হতাশ হবেন না তিনি। তামিম বলেছেন, ‘আমি এটা নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত না। কারণ, আমি জানি কীভাবে এমন অবস্থা থেকে ফিরতে হয়। যদি সামনের ম্যাচগুলোতেও রান না হয়, তাহলেও অস্থির হবো না। চেষ্টা করব, কঠোর পরিশ্রম করব। আমি নিশ্চিত, একটা ভালো ইনিংস হলেই সব কিছু বদলে যাবে।’

গত আসরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক ছিলেন তামিম। কিন্তু এবারের আসরে স্টিভেন স্মিথের হাতে নেতৃত্বের দায়ভার তুলে দিয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। দুর্ভাগবশৎ, ইনজুরি শেষ করে দিয়েছে স্মিথের বিপিএল। অস্ট্রেলিয়ান তারকা দেশে ফিরে যাওয়ার পর তার ডেপুটি ইমরুল কায়েস হয়েছেন নতুন অধিনায়ক। জাতীয় দলের সতীর্থের কাঁধে নেতৃত্বের জোয়াল তুলে দেওয়াটাকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন তামিম।

মঙ্গলবার বিপিএলের দ্বিতীয় ম্যাচে কুমিল্লা বোলারদের দুর্দান্ত তোপের মুখে মাত্র ৬৮ রানে গুটিয়ে গেছে সিলেট সিক্সার্স। পরে আট উইকেটের বিশাল জয় তুলে নিয়েছে কুমিল্লা। তাদের এই দারুণ জয়ের পার্শ্বনায়ক কয়েকজন থাকলেও জয়ের মূল কৃতিত্ব। মেহেদি হাসান। এদিন চার ওভারে ২২ রান খরচায় চার উইকেট তুলে নিয়ে অবধারিতভাবেই ম্যাচ সেরা হয়েছেন মেহেদি।

তন্মধ্যে এই স্পিনারের তিনটি উইকেটই এসেছে এক ওভার থেকে। সতীর্থের এমন পারফরমেন্সে ভীষণ খুশি তামিম। বলেছেন, ‘আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লাগে, ও দারুণ আত্মবিশ্বাসী। ও বিশ্বাস করে দুনিয়ার যে কোনো ব্যাটসম্যানকে আউট করতে পারে। এই বিশ্বাস ওর সবচেয়ে বড় সম্পদ। বাজে বল প্রায় দেয়ই না। ওকে খেলতে হলে ব্যাটসম্যানকে ঝুঁকি নিতে হবে, কারণ ও মারার সুযোগ দেবে না। ও খুব ভালো বোলিং করছে। আশা করছি এটাই করে যাবে।’