গ্যালারি কেন খাঁ খাঁ?

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ষষ্ঠ আসর শুরু হয়েছে গত পাঁচ জানুয়ারি। ইতোমধ্যে আটটি ম্যাচও অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে। কিন্তু কোনো ম্যাচেই সেরকম দর্শক সমাগম দেখা যায়নি। এখন পর্যন্ত দর্শক টানতে পারেনি এবারের বিপিএল। অথচ গত আসরগুলোর তুলনায় এবারের বিপিএলে অনেক বেশি তারকা ক্রিকেটারের উপস্থিতি।

ক্রিস গেইল, স্টিভেন স্মিথ, অ্যালেক্স হেলস, ডেভিড ওয়ার্নার, আন্দ্রে রাসেল, এভিন লুইস, কাইরেন পোলার্ড, সুনিল নারিন, শহিদ আফ্রিদি, শোয়েব মালিকের মতো টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্টরা বিপিএল খেলতে এসেছেন এবার। তারপরও প্রতি ম্যাচেই গ্যালারি অনেকটা খাঁ খাঁ!

বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক কোনো ম্যাচ হলে টিকিট পেতে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয় সাধারণ খেলাপাগল দর্শকদের। কদিন আগে শেষ হওয়া উইন্ডিজ সিরিজের টিকিটও সাধারণদের জন্য সোনার হরিণ হয়ে পড়েছিল। কিন্তু কাল বুধবার দেখা গেল টিকিট কিনতে স্টেডিয়ামের বাইরে মাইকিং করা হচ্ছে! কেন এমন হচ্ছে, দর্শক টানতে পারছে না বিপিএল?

কাল চিটাগং ভাইকিংসের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম বললেন, এখন মোবাইলে যেখানে সেখানে বসে খেলা দেখা যাচ্ছে। তাহলে কষ্ট করে কেনই বা স্টেডিয়ামে আসবেন দর্শকরা!

কেউ বলছেন, দর্শক না টানতে পারার ব্যর্থতা বিপিএলেরই। ফ্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি লিগে দর্শকরা চার-ছয় দেখতে মাঠে আসে। ঘন ঘন চার-ছয় হবে তাতে গ্যালারি মেতে থাকবে এটা দর্শকদের কাঙ্খিত পরিবেশ। কিন্তু বিপিএলে তো সেভাবে রানই হচ্ছে না। হযরতুল্লাহ জাজাই দুবার ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন, টি-টোয়েন্টিতে আদর্শ ব্যাটিং হিসেবে বলার মতো এই দুইটা ইনিংসই। বেশিরভাগ ম্যাচই হচ্ছে লো স্কোরিং।

কাল খুলনা বনাম রাজশাহীর ম্যাচে ছক্কা হয়েছে মাত্র তিনটি। এসব দেখতে কারই-বা আগ্রহ থাকবে স্টেডিয়ামে আসার! তাছাড়া জাতীয় নির্বাচনের ছুটিতে বাড়িতে যাওয়া অনেকেই এখনো ঢাকায় এসে পৌঁছায়নি। শিক্ষার্থীরা অনেকে এখনো গ্রামেই। এটাও একটা কারণ হতে পারে। টিকিটের মূল্য বা সময়ও কারণ হতে পারে।

ম্যাচ শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টায়। দিনের দুই ম্যাচের খেলা শেষ হচ্ছে রাত আটটার পর। এতো লম্বা সময় মাঠে থাকা অনেকের পক্ষেই সম্ভব নয়। তবে প্রত্যাশা করা হচ্ছে, সময় গড়ার সাথে সাথে বিপিএল দর্শক টানতে পারবে। টুর্নামেন্টে পয়েন্ট টেবিলের হিসেব যখন কঠিন হয়ে দাঁড়াবে দর্শকরা হয়তো তখন মাঠের দিকে ঝুঁকবেন।