এক পাকিস্তানির চোখে বাংলাদেশ ক্রিকেট

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ব্যাটিং লাইনআপটা বেশ লম্বা আবার দুর্দান্তও বটে। ষষ্ঠ বিপিএল দলটির পক্ষে ইনিংসের সূচনা করতে নামছেন তামিম ইকবাল, এভিন লুইস। তারপর স্টিভেন স্মিথ, শোয়েব মালিক, শহিদ আফ্রিদি, ইমরুল কায়েস, এনামুল হক বিজয়রা অপেক্ষায় থাকেন ব্যাট হাতে নামার। কিন্তু এতো ভালো ব্যাটিং লাইনআপ থাকলেও কুমিল্লা ভুগছে এই ব্যাটিংয়েই।

বিপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সিলেট সিক্সার্সের ১২৮ রানের টার্গেট পেরিয়ে যেতে ঘাম ঝরাতে হয়েছে কুমিল্লাকে। দ্বিতীয় ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে গুটিয়ে গেল মাত্র ৬৩ রানে। বুধবার অনুশীলন শেষে দলের পক্ষে শোয়েব মালিক যখন কথা বলতে এলেন মনে হচ্ছিল ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়েই বেশি কথা হবে। হলোও অবশ্য, তবে বেশি নয়। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে যতোটা না কথা বললেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক তার চেয়ে বেশি মগ্ন ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের গুণকীর্তন করতে।

একটু প্রসঙ্গ উঠতেই বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে গড়গড় করে বলেই চললেন মালিক। পাকিস্তানি তারকা বলেন, ‘তিন সংস্করণেই বাংলাদেশ ক্রিকেটের অনেক উন্নতি হয়েছে। অনেক তরুণ ক্রিকেটার আছেন যারা ভীষণ প্রতিভাবান। তাদের একটু অভিজ্ঞ করে তুলতে হবে। এই দায়িত্বটা সিনিয়র ক্রিকেটারদের। তাদের শেখাতে হবে কীভাবে চাপ সামলাতে হয়। আজকাল ক্রিকেটে শুধু প্রতিভা দিয়েই হয় না। অভিজ্ঞতাও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য সিনিয়র ক্রিকেটারদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে তরুণদের সঙ্গে। বাংলাদেশ ক্রিকেট সঠিক পথেই আছে। বিশ্বের সেরা দল হতে একটু সময় লাগবে। দল হিসেবে তারা যখন ধুঁকেছে, ওই সময় থেকে এখানে খেলছি। এখন বাংলাদেশ অনেক শক্তিশালী একটা দল।’

কার্যকরী কিছু পরামর্শও দিলেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘তরুণদের সুযোগ করে দেওয়ার কাজটা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের। আমার মতে অনেক তরুণ ক্রিকেটার আছেন, যারা ভালো করছে। খুবই ভালো ও প্রতিভাবান এমন যদি এক-দুজনের নাম বলি তবে সেটা ঠিক হবে না।

'যখন দেশের হয়ে কেউ ভালো করতে পারছে না, উচিত তাকে সমালোচনা না করে সমর্থন দেওয়া। উপমহাদেশে এটা খুব বেশি হয়। সমালোচনা আপনার দেশকে শেষ করে দিতে পারে। আপনারা সবাই মশলাদার বিষয় পছন্দ করেন। আমরা দেখতে চাই মশালদার খবর। আমার মনে হয় খেলোয়াড়দের পাশে থাকাটা ভীষণ দরকার’ যোগ করেন শোয়েব মালিক।